সামাজিক মাধ্যম ও বিনোদনের অন্যতম প্লাটফর্ম হচ্ছে ইউটিউব। হাজার হাজার কনটেন্টে ঠাসা এই প্লাটফর্মটি। হাজার হাজার তরুণ তরুণীর আয়ের পথও খুলে দিয়েছে ইউটিউব। তারা বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট তৈরি করছেন এখানে। দর্শকদের ভালো লাগা মন্দ লাগা জানতে পারতেন লাইক, ডিসলাইক এবং কমেন্টের মাধ্যমে। আবার বুলিংও হতেন ডিসলাইকের সংখ্যার জন্য।
তবে এবার ব্যবহারকারীদের ‘ডিসলাইক বোম্বিং’ থেকে বাঁচাতে ভিডিও স্ট্রিমিং প্লাটফর্ম ইউটিউব নতুন উদ্যোগ নিয়েছে। ইউটিউব ব্যবহারকারীরা অদূর ভবিষ্যতে ডিসলাইক দেখতে পারবেন না। এর ফলে কনটেন্ট ক্রিয়েটররা বিব্রত হওয়া থেকে বাঁচবেন। ‘ডিসলাইক’ উঠিয়ে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েছে ইউটিউব। ইউটিউবের নেওয়া এই পদক্ষেপটি নিয়ে মশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। অনেক কনটেন্ট ক্রিয়েটর সাধুবাদ জানালেও কেউ কেউ এটিকে ‘ডিসলাইক বোম্বিং’-এর বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নয় বলে মন্তব্য করেছেন। তবে মজার ব্যাপার, ইউটিউবের এ ঘোষণাটিতে এ পর্যন্ত ৫৩ হাজার ডিসলাইক পড়েছে! কারণ ইউটিউব এখনো প্রক্রিয়াটি পুরোপুরি কার্যকর করেনি।
বিষয়টা কতটা কার্জকর হবে উদাহরণ দিয়ে বোঝাতে গিয়ে বলা হয়েছে, ব্র্যাডফোর্ডের ১৮ বছর বয়সী এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের ইউটিউবে তার মিউজিক আপলোড করা চ্যানেলে মাত্র ২০০ সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। ইউটিউবের ওই সিদ্ধান্তের ফলে এমন ছোট আকারের কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের মোট ডিসলাইক লুকানো থাকবে। ফলে তারা বেশি সুরক্ষিত থাকবে। যদি ডিসলাইকের মোট সংখ্যাগুলোকে সরিয়ে দেওয়া হয়, তা নির্মাতাদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য সহায়ক হবে। এদিকে, ইউটিউব সব অ্যান্টি-ভ্যাকসিন সংক্রান্ত ভুল তথ্য মুছে ফেলতে এ বছরের শুরুর দিক থেকেই কাজ করেছে। পাশাপাশি জলবায়ু সংক্রান্ত ভুল তথ্যের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করেছে। অনলাইন ট্রলদের দ্বারা সমন্বিত আক্রমণ কমাতে টোটাল ডিসলাইক হাইড করে দিয়েছে ইউটিউব। সূত্র: বিবিসি