রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৯ অপরাহ্ন

সর্বোচ্চ এক বছর অস্থাবর সম্পত্তি বন্ধক রেখে ঋণ নেয়া যাবে

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় বুধবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২১

‘জামানত সুরক্ষা (অস্থাবর সম্পত্তি) আইন-২০২১’ আগামী বছরের শুরুতে জাতীয় সংসদে অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করা হতে পারে। এ দিকে আইনটি প্রণয়নের সাথে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জামানত আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এর আগে বলেছিলেন, বর্তমানে দেশে স্থাবর সম্পত্তি যেমন- জমি, বাড়ি, শিল্পপ্রতিষ্ঠান ইত্যাদি জামানত হিসেবে বন্ধক রেখে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেয়া যায়। কিন্তু স্থানান্তরযোগ্য বা অস্থাবর সম্পত্তি বন্ধক রেখে ঋণ প্রাপ্তির কোনো বিধান না থাকায় বৈধভাবে ঋণ গ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অনেকে। এ প্রেক্ষিতে প্রচলিত ঋণ/বিনিয়োগ ব্যবস্থায় স্থানান্তরযোগ্য/ অস্থাবর সম্পদকে জামানত হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে অধিক মানুষের নিকট ঋণ/ বিনিয়োগ সহজলভ্য করার উদ্দেশ্যে আইনটি প্রণয়ন করা হচ্ছে। আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ এক বছর অস্থাবর সম্পত্তি বন্ধক রেখে ঋণ নেয়া যাবে। কিন্তু আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট ঋণ গ্রহীতার পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে এই মেয়াদ বাড়ানো যেতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রণীত খসড়ায় আইনটি বাস্তবায়নে একটি ‘সিকিউরড ট্রানজ্যাকশন রেজিস্ট্রেশন কর্তৃপক্ষ’ গঠনের কথা বলা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর কিংবা তার কোনো মনোনীত ব্যক্তি সংস্থার পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং বোর্ড কর্তৃক নিযুক্ত একজন রেজিস্ট্রার হবেন বোর্ডের সচিব। পরিচালনা বোর্ডের অপর সদস্যরা হবেন- আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব কিংবা তার কোনো মনোনীত ব্যক্তি, বিএসইসি চেয়ারম্যান কিংবা তার কোনো মনোনীত ব্যক্তি, আরজেএসসির রেজিস্ট্রার কিংবা তার কোনো মনোনীত প্রতিনিধি এবং মাইক্রো ক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির চেয়ারম্যান কিংবা তার কোনো মনোনীত ব্যক্তি। ‘জামানত সুরক্ষা (অস্থাবর সম্পত্তি) আইন-২০২১’ -তে ১০ ধরনের অস্থাবর সম্পত্তি বন্ধক রেখে ঋণ নেয়ার বিধান রয়েছে। এর মধ্যে কোনো ভালো কোম্পানির শেয়ার বা স্বর্ণ বন্ধক রেখে ঋণ নেয়ার সুযোগ থাকছে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ যৌথভাবে আইনটির খসড়া প্রণয়ন করেছে। আইনে চিহ্নিত দশ ক্যাটাগরির অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে- প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট দ্বারা সমর্থিত ও সুরক্ষিত রফতানির উদ্দেশ্যে বা রফতানি আদেশ অনুযায়ী পণ্য তৈরির কাঁচামাল। ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে গচ্ছিত আমানতের সনদ। স্বর্ণ-রৌপ্য ও অন্যান্য মূল্যবান ধাতু যার ওজন ও বিশুদ্ধতার মান স্বীকৃত কর্তৃপক্ষ দ্বারা সার্টিফাইড। নিবন্ধিত মানসম্পন্ন কোম্পানির শেয়ার সার্টিফিকেট। মেধাস্বত্ব অধিকার দ্বারা স্বীকৃত মেধাস্বত্ব পণ্য (পেটেন্ট কপিরাইট)। কোনো সেবার প্রতিশ্রুতি, যার বিপরীতে সেবাগ্রহীতার মূল্য পরিশোধের স্বীকৃত প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে (ওয়ার্ক অর্ডার)। আসবাব-কাষ্ঠল উদ্ভিদ-ফলজ উদ্ভিদ-ঔষধি উদ্ভিদ-ইলেকট্রনিক পণ্য। সফটওয়্যার, অ্যাপস, যার মূল্য প্রাক্কলন করা সম্ভব। যান্ত্রিক বা অযান্ত্রিক যানবাহন। খনিজ সম্পদ (তেল, গ্যাস, হাইড্রোকার্বন ও ভূগর্ভস্থ মূল্যবান ধাতু) এবং যথাযথভাবে সংরক্ষিত কৃষিজাত পণ্য-প্রক্রিয়াজাত মৎস্য বা জলজ প্রাণিসম্পদ-আয় উৎসারী জীবজন্তু (অজাত শাবকসহ)। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আইনটি চলতি বছরে অনুমোদনের জন্য সংসদে উত্থাপনে চেষ্টা করা হচ্ছে। যদি তা না হয়, তবে আগামী বছরের শুরুতে সংসদে অনুমোদনের জন্য তোলা হবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com