সরকারিভাবে ধান-চাল সংগ্রহে যেকোনো প্রকার ঘুষ-দুর্নীতির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
ধান-চাল সংগ্রহে সংশ্লিষ্ট কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর দুর্নীতির বিষয়ে গোয়েন্দা ইউনিটের বিশেষ প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (১৭ মে) দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ এ বিষয়ে নির্দেশনা দেন।
দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারের ‘ধান-চাল সংগ্রহ কর্মসূচিত’ কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সংশ্লিষ্ট এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি নিজেরা লাভবান হতে ঘুষ-দুর্নীতির মতো অনৈতিক কাজে সম্পৃক্ত হচ্ছেন মর্মে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। গোয়েন্দা প্রতিবেদন ছাড়াও কমিশন ভার্চুয়াল মাধ্যমেও এ জাতীয় কিছু অভিযোগ পেয়েছে।’
এ প্রেক্ষাপটে কমিশনের গোয়েন্দা ইউনিট, সমন্বিত জেলা কার্যালয় ও বিভাগীয় কার্যালয়সমূহের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের এক বিশেষ জরুরি বার্তা দেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
বর্তায় দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘সরকারের ধান-চাল সংগ্রহ কর্মসূচিতে দুদকের কর্মকর্তাদের এলাকাভিত্তিক নিবিড় নজরদারি নিশ্চিত করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই ধান-চাল সংগ্রহে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা যেন কোনো প্রকার ঘুষ-দুর্নীতির সুযোগ না পায়। কথিত প্রভাবশালীদের চাপে কৃষক নয় এমন মধ্যস্বত্বভোগী দালালদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহের সুযোগও দেওয়া হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ’আপনারা এ জাতীয় অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিকভাবে বিশেষ টিম গঠন করে সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন। প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করবেন। দুর্নীতি প্রতিরোধ ও দমন দুটি কাজই আপনাদের করতে হবে। এটা আপনাদের আইনি দায়িত্ব।’
এমআর/প্রিন্স