শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৭ অপরাহ্ন

১১ জনকে আসামি করে মামলা 

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় বুধবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২১

কুমিল্লায় কাউন্সিলর হত্যা : মাদক ব্যবসায়ী শাহ আলমকে খুঁজছে পুলিশ 

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ১৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. সোহেল ও হরিপদ সাহা হত্যার ঘটনায় ১১ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনওয়ারুল আজিম। তিনি বলেন, নিহত কাউন্সিলর সোহেলের ভাই সৈয়দ মোহাম্মদ রোমান রাতে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় শাহ আলমকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সোহেল ওরফে জেল সোহেল, মো. সাব্বির হোসেন, সুমন, সাজন, আশিকুর রহমান রকি, আলম, জিসান মিয়া, মাসুম, সায়মন, রনি। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
নিহত কাউন্সিলরের ছোট ভাই রোমান বলেন, আমার ভাই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় একদল সন্ত্রাসীর সঙ্গে শাহ আলম ছিল। তার নেতৃত্বে আমার ভাই ও তার সহযোগীকে নির্মমভাবে গুলি করা হয়েছে। সোহেল ভাইকে পরপর ৯টি গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করেছে শাহ আলম। শাহ আলম কী কারণে হামলা করেছে এমন প্রশ্নে রুমান বলেন, ভাইয়া শাহ আলমের বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করতেন। অস্ত্র মামলায় অভিযুক্ত ছিল শাহ আলম। নানা বিষয় নিয়ে শাহ আলমের সঙ্গে দ্বন্দ্ব ছিল ভাইয়ের। প্রসঙ্গত, গত সোমবার (২২ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসেছিলেন। এ সময় দুর্বৃত্তদের গুলিতে কাউন্সিলর সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহা নিহত হন। এ ঘটনায় চারজন গুলিবিদ্ধ হয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
কুমিল্লার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মোঃ সোহেলসহ দু’জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাত সোয়া ১২টার দিকে মামলাটি করেন নিহত সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মোঃ রুমন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কমল কৃষ্ণ ধর। মামলায় ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের শাহ আলমকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে ১০-১২ জনকে। জানা গেছে, সোমবার বিকেল আনুমানিক সোয়া ৪টার দিকে কাউন্সিলরের অফিসের আশপাশের রাস্তা ও গলিতে কয়েকটি গ্রুপে সন্ত্রাসীরা বিভক্ত হয়ে গুলি চালায়। কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কাউন্সিলর সোহেলের ব্যক্তিগত সহকারী বাদল সাংবাদিকদের জানান, কালো পোশাক পড়া সন্ত্রাসীদের একটি গ্রুপ কার্যালয়ে ঢুকে পড়ে গুলি চালায়। হাসপাতালে নেয়ার পর কাউন্সিলর সোহেল ও হরিপদ সাহাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
এদিকে প্রাথমিকভাবে তদন্তে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী শাহ আলমের জড়িত থাকার বিষয়টি আলোচনায় আসায় তাকে আটক করার চেষ্টা চলছে। তাকে আটক করতে পারলে ঘটনার পুরো রহস্য বের হয়ে আসবে বলেও পুলিশ জানিয়েছে। কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনওয়ারুল আজিম জানান, আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান চলছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com