গেল মাসের মাঝামাঝি সময়ে প্রথমবারের মত যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান ঢাকাই সিনেমার শীর্ষ নায়ক শাকিব খান। সেখানে ঢালিউড ফিল্ম,মিউজিক অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানেও অংশ নেন। অনুষ্ঠান শেষে দেশে ফেরার কথা থাকলেও ফিরেন নি তিনি। কয়েক দফায় জানিয়েছেন, শিগগিরই দেশে ফিরবেন এ নায়ক। কিন্তু একে একে দিন গড়ালেও এখনও দেশে ফেরার নাম নেই শীর্ষ তারকার! এরমধ্যে পরিচালকরা ঢাকা থেকে উড়ে যাচ্ছেন তার কাছে। শোনা যাচ্ছে, নিউ ইয়র্কে নতুন সিনেমার কাজ শুরু করতে যাচ্ছেন শাকিব। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, আগামী আরও পাঁচ মাস শাকিব থাকবেন যুক্তরাষ্ট্র। শাকিবের বেশ পরিকল্পিত এ যাত্রা মাস ছয়েকের জন্য। আগামী মে মাসের আগে এ তারকাকে দেশে পাওয়া যাবে না। এমনকি জানুয়ারিতে হতে যাওয়া বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন না পেছালে সেখানেও অংশ নেবেন না বলে জানিয়েছেন শাকিব। তিনি জানান, জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝিতে যুক্তরাষ্ট্রে তাদের নতুন ছবির শুটিং শুরু হবে। এ কারণে নির্বাচন করা সম্ভব হবে না।
এদিকে, আলোচিত তিনটি ছবির দৃশ্যধারণ শেষ করে যুক্তরাষ্ট্র গেছেন শাকিব খান। যেগুলোর কোনও না কোনও কাজ এখনও বাকি আছে। ‘গলুই’ পরিচালক এসএ হক অলিক এরমধ্যেই পৌঁছেছেন নিউ ইয়র্কে। তিনি শুধু ডাবিংয়ের জন্য নায়কের কাছে ছুটে গেছেন। যা ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। ওয়াজেদ আলী সুমনের ‘অন্তরাত্মা’র কাজ পুরোপুরি শেষ। বাকি আছে চূড়ান্ত এডিটিং। এরপরই শুরু হওয়ার কথা ‘অন্তরাত্মা-২’ ছবির দৃশ্যধারণ। এছাড়াও বাকি ‘লিডার আমি বাংলাদেশ’ এর একটি গানের শুটিং।
‘গলুই’ ছবির প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরুর ভাষ্য, ‘ডিসেম্বরের মধ্যেই আমাকে ছবিটি জমা দিতে হবে। কারণ এটি অনুদানের চলচ্চিত্র। সেকারণে এস এ হক অলিক ডাবিংটি সারতে গেছেন। আগামী সপ্তাহেই পরিচালক দেশে ফিরবেন। আর শাকিব আমেরিকায় স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করেছেন। যে কারণে তাকে ছয় মাস সেখানে থাকতে হবে। ইতোমধ্যে একমাস হয়েছে। যদি সব ঠিকঠাক থাকেও তাও মিনিমাম আরও চার মাস তাকে সেখানে থাকতে হবে।’ এদিকে জানা যায়, একটি নয়, দুই বা ততোধিক ছবির শুটিং আমেরিকায় করবেন শাকিব খান। এরমধ্যে দুটি সিনেমা পরিচালনা করবেন হিমেল আশরাফ। যার একটির নাম ‘মায়া’।
একাধিক সূত্রে আরও জানা যায়, জানিয়েছেন, নায়ক দূর দেশে নিজের এসকে ফিল্মস থেকে চারটি ছবি নির্মাণের কথা ভাবছেন। এরমধ্যে একটি অথবা দুটি সিনেমার শুটিং, এডিটিং ও ডাবিং শেষে আগামী রোজার ঈদে সেখানকার হলে মুক্তি দেবেন। আর সেই ব্যবসার লাভসমেতই দেশে ফেরার পরিকল্পনা তার। সঙ্গে আমেরিকায় স্থায়ী বসবাসের সনদটাও হাতে নেওয়ার পরিকল্পনা তার। অবশ্য শাকিব নিজেই সে ইঙ্গিত দিয়েছেন। নিউ ইয়র্কে অংশ নেওয়া একটি পুরস্কার অনুষ্ঠানে গত ১৪ নভেম্বর জানান, যুক্তরাষ্ট্রে তিনি রোজার ঈদ উদযাপন করতে চান এবং ঈদ উপলক্ষে একটি সিনেমা করতে চান, যেটি বাংলাদেশের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রেও মুক্তি পাবে।