যারা প্লেনে নিয়মিত যাতায়াত করেন তারা ফ্লাইট মোড বা এয়ারপ্লেন মোড খুবই পরিচিত। প্লেনে ওঠার পর আপনার অ্যান্ড্রোয়েড ফোনটিকে নিশ্চয়ই ফ্লাইট মোডে রাখেন। যে কোনো আধুনিক প্যাসেঞ্জার এয়ারক্রাফট ইলেক্ট্রনিক যোগাযোগ ও ন্যাভিগেশন সিস্টেমের উপর ব্যাপকভাবে নির্ভর করে। ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক এনার্জি ট্রান্সফারে কাজ করে এসব ডিভাইস, আর স্মার্টফোনের নেটওয়ার্ক এই যোগাযোগে ব্যাঘাত ঘটাতে সক্ষম।
এজন্যই মূলত প্লেনে ফ্লাইট মুড ব্যবহার করা হয়। তবে ফ্লাইট চলাকালীন সময়ের পাশাপাশি এয়ারপ্লেন মোডের আরও অন্যান্য ব্যবহার রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক স্মার্টফোন ও অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসে এয়ারপ্লেন মোডের ব্যবহারসমূহ-
ব্যাটারি লাইফ সেভ করা:কোনো জরুরি মূহুর্তে ফোনের ব্যাটারির চার্জ দীর্ঘ সময় ধরে বাঁচাতে চাইলে ফ্লাইট মোড ব্যবহার করতে পারেন। ফোনের এয়ারপ্লেন মোড চালু করলে ওয়াইফাই, ব্লুটুথ, জিপিএস ও নেটওয়ার্ক কানেকটিভিটি বন্ধ থাকে। যার ফলে ফোনের ব্যাটারি লাইফ আরও বাড়বে।
ফোন দ্রুত চার্জ করা:এয়ারপ্লেন মোড চালু করলে নেটওয়ার্ক ফিচারসমূহ বন্ধ থাকে, শুধুমাত্র ফোনের বেসিক ফাংশনগুলো চালু থাকে। এর ফলে এয়ারপ্লেন মোড চালু থাকলে ফোনের ব্যাটারি অপেক্ষাকৃত দ্রুত চার্জ হয়। তাই দ্রুত ফোন চার্জ করতে এয়ারপ্লেন মোড ব্যবহার করতে পারেন।
ডিসট্রাকশন কমানো:যেহেতু এয়ারপ্লেন মোড চালু করলে ইন্টারনেট সংযোগ থাকেনা। তাই ফেসবুক, ইউটিউব, ইন্সটাগ্রাম এর মতো অধিকাংশ অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন না। তাই কোনো কাজে অনেক বেশি মনোযোগ ধরে রাখতে ব্যবহার করতে পারেন এয়ারপ্লেন মোড।
মিটিংয়ের সময় ব্যবহার করতে পারেন:এ ছাড়াও ফোনের নোটিফিকেশন বন্ধ থাকায় ফোন নীরব থাকে। যার ফলে ফোকাস হারানোর সুযোগ নেই। ফ্লাইট মোড চালু করলে ইনকামিং ফোন কল ও মেসেজ আসেনা। এক্ষেত্রে কাজের মাঝে বিরতি নিয়ে কল ও মেসেজ চেক করতে পারেন।
ভালো ঘুমের জন্য:যাদের রাতে ঘুমানোর আগে কিছুক্ষণ ফোন চালানো অভ্যাস তারা এটি ব্যবহার করতে পারেন। আবার ঘুমানোর সময় নোটিফিকেশন, মেসেজ, কল ইত্যাদির সাউন্ডে জেগে উঠতে না চাইলে ব্যবহার করতে পারেন এয়ারপ্লেন মোড। তবে ফোনের এলার্ম ক্লক কিন্তু ঠিকভাবেই কাজ করে। যে কারণে সারারাত মোবাইল এয়ারপ্লেন মোডে থাকলেও কোনো সমস্যা নেই।
শিশুদের হাতে ফোন দেওয়ার ক্ষেত্রে:ফোনে যদি বাচ্চারা গেম খেলতে চায় বা কোনো অ্যাপ ব্যবহার করতে চায়, তাদের হাতে ফোন দেওয়ার আগে অবশ্যই ফ্লাইট মোড চালু করুন। ভুলে ক্ষতিকর ওয়েবসাইট ও ইন-অ্যাপ পারচেজগুলো ব্যবহার থেকে বাচ্চাদের রোধ করবে ফ্লাইট মোড। এছাড়াও ভুলে কাউকে কোনো মেসেজ পাঠানো বা ফটো ও ভিডিও পাঠানো থেকে বাঁচা যাবে।