সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৭:০১ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
দিল্লি বিমানবন্দরে বাংলাদেশী গার্মেন্টসের রফতানি বাড়ায় ভারতীয়দের আপত্তি নকলায় বিএনপির ৪ নেতানেত্রীকে বহিষ্কার পালিয়ে বাংলাদেশে এলেন আরও ৮৮ বিজিপি সদস্য ১২ দিনে পানিতে ডুবে ১২ শিশুর মৃত্যু অর্থবছরের ছয় মাসে রাজস্ব আহরণ প্রায় ১৪ শতাংশ বেড়েছে: অর্থমন্ত্রী চাঁদপুর সেচ প্রকল্প বাঁধের মাটি ইটভাটায় ব্যবহারের অভিযোগ বরিশালে ৮ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর অভ্যন্তরীন ও দুরপাল্লার বাস চলাচল শুরু : অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আপনাদের সহায়তায় সুস্থ জীবন চাই শ্রীমঙ্গলে সদ্যপ্রতিষ্ঠিত নূরে মদিনা মাদরাসার শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা ও লেখাপড়ার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা ফুলপুরে চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিবের মিছিল

ঝুঁকি নিয়ে জবির দর্শন বিভাগে পাঠদান

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দর্শন বিভাগে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। বিভাগের ক্লাস ও অফিস রুমের বিভিন্ন স্থানে ফাটলসহ পলেস্তারা উঠে গেছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করছেন, ক্লাস চলাকালীন সময়েও ঝর ঝর করে পলেস্তারা পড়ে।
গতকাল মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনে দর্শন বিভাগের শ্রেণিকক্ষ, সেমিনার এবং শিক্ষকদের বসার কক্ষের বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরেছে। ছাদের বিভিন্ন অংশের পলেস্তারা খসে পড়েছে। জরাজীর্ণ এই ক্লাসরুমগুলোতে ঝুঁকি নিয়ে চলছে পাঠদান। আতঙ্কের মধ্যে ক্লাস করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বিভাগের শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা জানান, বৃষ্টি হলেই ছাদ চুঁইয়ে পানি পড়ে ভিজে যায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং বিভাগের ফাইলপত্র। এই বিভাগে প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছেন। ছাদ ও দেয়ালের প্লাস্টার ধসে পড়ায় ব্যবহার অযোগ্য রুমে শিক্ষার্থীরা যেকোনো সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন। আশির দশকেরও বেশি সময় আগে নির্মিত এই কলা ভবন বর্তমানে চার ও পাঁচতলা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দর্শন বিভাগের সেমিনারের লাইব্রেরিয়ান মো. আবুল হোসেন বলেন, ‘স¤প্রতি ছাদের একটি অংশ থেকে সিমেন্টের আস্তর ও পলেস্তারা খসে পড়েছে আমার টেবিলের ওপর। অল্পের জন্য আমি আঘাত পাইনি।’ একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, ক্লাসগুলো জরাজীর্ণ হওয়ায় আমরা চিন্তিত থাকি কখন যে দুর্ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের উচিৎ আমাদের শ্রেণিকক্ষগুলো দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করে ক্লাস করার মতো পরিবেশ তৈরি করা।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে রেট্রু ফিটিং নামক একটি পদ্ধতিতে বিজ্ঞান অনুষদের একটি ভবনের নীচতলায় নমুনা কাজ চালিয়েছি এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই পদ্ধতি দেখে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এই পদ্ধতিতে রড যখন ভঙ্গুর হয়ে যায়, তখন সেখান থেকে কেটে নতুন রড সংযুক্ত করে প্লাস্টার করে দেওয়া হয়। এছাড়াও, অনেক ধরনের পদ্ধতি রয়েছে, যেখানে যেই পদ্ধতি প্রয়োজন আমরা তা প্রয়োগ করবো। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাজেট হলেই আমরা কাজ শুরু করবো।’




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com