থার্টিফাস্ট নাইটে আমাদের ছেলেমেয়েরা কি করে? নাচ-গান করে, নাচানাচি ইত্যাদি করে। কেন করে? কারণ একটা বিশ্বাস আছে যে, থার্টিফার্স্ট নাইটে যখন রাত ১২টা বাজে তখন নতুন বছর শুরু হয়। নতুন বছরের প্রথম মুহূর্তটা যদি আনন্দ-ফুর্তিতে কাটাই তাহলে আমাদের সারা বছর আনন্দ-ফুর্তিতে কাটবে। এই যে বিশ্বাস, এটি কি ইসলামী বিশ্বাস? অবশ্যই না। এখন প্রশ্ন হলো- এটি কি বিজ্ঞানসম্মত বিশ্বাস? আমাদের কিছু ছাত্র ভাই আছেন যারা বিজ্ঞানভিত্তিক অসা¤প্রদায়িক শিক্ষাব্যবস্থা চেয়ে থাকেন। তাদের কাছে প্রশ্ন; এই যে থার্টিফার্স্ট নাইট বা পয়লা বৈশাখ উদযাপন, এটা কি বিজ্ঞানসম্মত? আমরা বৈশাখ উৎযাপনের নামে বলে থাকি; ‘এসো হে বৈশাখ’, বৈশাখ কি আমাদের এই কথা শুনতে পায় অথবা আমাদের এই কথা শুনে বৈশাখ কি একটু তাড়াতাড়ি চলে আসে? উত্তর হবে, অবশ্যই না। এ ছাড়া আমরা বলে থাকি, ‘বৈশাখ আমাদের সব অমঙ্গল মুছে দেবে। পুরাতন সব গ্লানি মুছে নতুন সুন্দরে আমাদের ভরিয়ে দেবে।’ এই বিশ্বাস কি ইসলামী বিশ্বাস? না-কি বিজ্ঞানসম্মত বিশ্বাস?
আসলে পয়লা বৈশাখ ও থার্টিফার্স্ট নাইট ঘিরে এই সব বিশ্বাসের কোনো ভিত্তিই নেই। এটি মূলত প্রাচীন প্যাগানিজম। প্রকৃতি পূজা। প্যাগানিজম কি? এটি হলো পৌত্তলিকতাবাদ বা পেগানবাদ (লাতিন পেগানাস থেকে এসেছে) (ইংরেজি : Paganism) একটি শব্দ, যার অর্থ খ্রিষ্টীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখলে দাঁড়ায় ইবরাহিমীয় ধর্মমতবহির্ভূত সংস্কৃতির কিছু আত্মিক, সামাজিক আচার ও বিশ্বাস। মূর্তিপূজা বা প্রতিমাপূজাকে পৌত্তলিকতাবাদের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হিসেবে গণ্য করা হয়।
অতীত যুগে যদি কখনো দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হতো তখন জঙ্গলি মানুষ গায়ে কাদা মাখত। আমাদের দেশেও একসময় ছিল। তার মানে আমার গায়ে যখন কাদা মাখানো থাকবে; তা পরিষ্কার করার জন্য প্রকৃতি আমাকে বৃষ্টি দিয়ে দেবে। আমাদের অনেকে ইসলামের সমালোচনা করে বলেন, ইসলাম অবৈজ্ঞানিক। কিন্তু এই প্রাচীন প্রকৃতি পূজা বা প্যাগানিজম নিয়ে তথাকথিত বিজ্ঞানমনস্ক মানুষগুলো সমালোচনা করেন না। বরং তারা এই বর্বর প্রকৃতি পূজাকে রিভাইভ বা পুনরায় জীবিত করছে। এটি মূলত তাদের আদর্শিক দৈন্যদশা। তারা আসলে বিজ্ঞানের দোহাই দিয়ে অযৌক্তিকভাবে ইসলামের বিরোধিতা করে। অথচ পৃথিবীর ওপর ইসলামই একমাত্র যৌক্তিক ও বিজ্ঞানসম্মত জীবনব্যবস্থা। তবে মজার বিষয় হলো, সমালোচনাকারীরা ইসলামের ভেতর অবৈজ্ঞানিক কী কী আছে তা বলে না বা বলতে পারে না।
তাদের দাবি, থার্টিফার্স্ট নাইটে রাত ১২টায় একটু হাসাহাসি, ফুর্তি করলে সারা বছরই ভালো যাবে। খুব ভালো কথা। এখন বলুন, থার্টিফার্স্ট নাইটে গরম পড়ে নাকি শীত পড়ে? আমরা জানি, ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশে প্রচ- শীত পড়ে। এই প্রচ- শীতে পথশিশু বা বস্তির মানুষ অনেক কষ্ট পাচ্ছে তাই না? এখন প্রশ্ন হলো- কোনো মিডিয়া, কোনো যুবনেতা, কোনো সামাজিক সংগঠন কি বছরের প্রথম দিনে এই দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। যেন তাদের সারা বছর সুন্দরভাবে কাটে। কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী অথবা দেশের যুবক-যুবতী শ্রেণী তাদের নিজেদের খরচের টাকা বাঁচিয়ে থার্টিফার্স্ট নাইটের প্রথম প্রহরে কনকনে শীতের রাতে অবহেলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে?
এখন প্রশ্ন হলো- থার্টিফার্স্ট নাইটে আমরা যদি অবহেলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কথা বলি তাহলে কি আমাদের যুবসমাজ নষ্ট হয়ে যাবে? আমাদের শিল্প-সংস্কৃতি ধ্বংস হয়ে যাবে? আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হয়ে যাবে? দেশ থেকে অনিয়ম-দুর্নীতি উৎখাত করা কষ্ট হয়ে যাবে? তাহলে আমরা বছরের প্রথম দিনে কেন এই ভালো কথাগুলো বলছি না? বলছি না তার কারণ হলো- এই থার্টিফার্স্ট নাইটের প্রচলন করা হয়েছে একটি বিশেষ উদ্দেশ্যে; সেটি হলো- বাণিজ্যিক সাম্রাজ্যবাদ। সারা বিশ্বের মানুষকে ভোগের নামে উদ্বেলিত করে কৌশলে তাদের সম্পদ ছিনিয়ে নেয়া।
এর মাধ্যমে মূলত দু’টি উদ্দেশ্য অর্জিত হয়। একটি হলো- মানুষ এর মাধ্যমে ভোগবাদী হবে অর্থাৎ খাও-দাও ফুর্তি করো। এই চিন্তা থেকে মানুষ মদসহ বিভিন্ন পানীয় ও ভোগ্যপণ্য কিনবে আর ওরা শুধু টাকা জমাবে। আর দ্বিতীয়টি হলো- মানুষ যখন ভোগবাদী হয়ে যাবে, তখন তাদের ভেতর থেকে মানবতা, মানবীয় মূল্যবোধ, স্বাধীনতা, স্বকীয়তা এগুলো থাকে না। যেমন একটি কুকুর বা গরুকে ভালো খেতে দিলেই পোষ মানে। এই ভোগবাদী মানুষগুলোও তেমন নিজের জাত-পাত ভুলে, নিজের ধর্ম-কর্ম ভুলে, নিজের শিল্প-সংস্কৃতি ভুলে অপসংস্কৃতির কাছে পোষ মানে। শেষে আমরা ভোগবাদী হয়ে পোষ মানা পশুতে পরিণত হয়ে যাই।
আমরা থার্টিফার্স্ট নাইটে আশপাশেই বাজির আওয়াজ শুনতে পাই। শুরু হয় যত অশ্লীলতা আর বেহায়পনা। সব দাওয়াতে মূল বিষয় হলো- অশ্লীলতা বন্ধ করা। কারণ অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়লে মানবতা টেকানো যায় না। সেটা কিভাবে? দেখুন, আধুনিক সভ্যতাও হেরোইন পাচার করলে মৃত্যুদ- দেয়া হয়। কারণ হেরোইন খেলে মানুষ ধ্বংস হয়ে যায়। এখন বিষয় হলো- হেরোইন খেলে ব্যক্তি ধ্বংস হয়। কিন্তু অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়লে মানবসভ্যতা ধ্বংস হয়ে যায়।
অশ্লীলতার প্রসারের কারণে ইউরোপ-আমেরিকার মূল নাগরিকদের ভেতরে বিয়ে বন্ধন উঠে গেছে। মানুষ জন্ম নেয়া বন্ধ হয়ে গেছে। তাদের জন্ম সংখ্যা বৃদ্ধির হার বিপরীতমুখী, অর্থাৎ দিন দিন তাদের দেশের জনসংখ্যা কমে যাচ্ছে। মানুষ যেই হারে মৃত্যুবরণ করছে সেই হারে জন্ম নিচ্ছে না। কারণ তারা পরিবার গঠন করে না। জৈবিক চাহিদা মেটাতে তারা বিয়ে করে না। পারস্পরিক সম্মতিতে তারা চাহিদা মেটায়। এতে বাচ্চা উৎপাদনের সুযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
এতে কি হচ্ছে সেসব দেশে? তাদের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, কাজে যাওয়ার মতো লোক নেই, কর্মজীবীরা অবসরে যাচ্ছে, রাষ্ট্রের কোষাগার থেকে অবসর ভাতা নিচ্ছে কিন্তু সরকারকে ট্যাক্স বা কর দেয়ার নতুন লোক সৃষ্টি হচ্ছে না। এখন তাদের সামনে উপায় হলো- অন্য রাষ্ট্র থেকে লোক আনতে হবে, অন্যথায় তাদের জাতিসত্তা ধ্বংস হয়ে যাবে। তাদের সভ্যতাকে ধ্বংসের মুখে নিয়েছে অশ্লীলতা। সুনামি হলে কিছু এলাকা ধ্বংস হয়, কিছু এলাকা বাঁচে। কিন্তু যখন পরিবার গঠন উঠে যাবে, মানুষের সন্তান জন্মদান আর সন্তান পালন উঠে যাবে তখন এক প্রজন্মের মধ্যেই মানব সভ্যতা নষ্ট হয়ে যাবে। আর এ জন্যই সব আসমানি ধর্মে অশ্লীলতাকে বেশি নিন্দা ও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
থার্টিফাস্ট নাইটের নামে অশ্লীলতার প্রসার, অশ্লীলতার প্রজনন, অশ্লীলতার বিপণনের মাধ্যমে আমাদের যুবসমাজকে নষ্ট করা হচ্ছে। তাদেরকে ভোগবাদী হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। এতে ভবিষ্যৎ যুবসমাজের চিন্তাভাবনা ভোগবাদী সাম্র্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতাদের কাছে আবদ্ধ হয়ে থাকবে।
থার্টিফাস্ট নাইটে বস্তির মানুষদের নিয়ে তাদের গান শোনাব এবং তাদের গান শুনব। পয়লা বৈশাখে আমি নিজে নতুন জামা আর ইলিশ মাছ কিনব সাথে একজন গরিব মানুষকেও একটি জামা আর ইলিশ মাছ কিনে দেবো। থার্টিফার্স্ট নাইটে কেউ কি এ রকম কথা বলে? না, বলে না। অর্থাৎ এই থার্টিফার্স্ট বা পয়লা বৈশাখে প্রচলিত উদযাপন একটি ভোগবাদী সংস্কৃতি বা সভ্যতা।
ইসলাম ও অন্য সভ্যতার পার্থক্য এখানেই। ভালো করে বোঝার চেষ্টা করুন। ইসলাম হলো আত্মা, মন, মানবতা ও ব্যক্তি নিয়ে। ইসলামে দু’টি ঈদ আছে। এই দুই ঈদে মুসলমানরা দুই কেজি গোশত খাওয়ার আগে সারা বিশ্বের মুসলমান কয়েক বিলিয়ন-ট্রিলিয়ন ডলার গরিব মানুষের জন্য খরচ করে। মুসলানরা ঈদের আগেই ফিতরা দিয়ে দেয়। অর্থাৎ ঈদের দিনে আনন্দ করার আগেই গরিব ভাইকে জাকাত-ফিতরা দিয়ে দেয়া হয়। যেন তোমার অসহায় গরিব ভাইটি তোমার আগেই আনন্দিত হয়। ইসলাম স্বাবলম্বীদের বলে, তোমার সন্তান সেমাই খাওয়ার আগে যেন গরিবরা খায়। কোরবানির গোশত তোমার ঘরে প্রবেশ করার আগেই যেন গরিবের ঘরে প্রবেশ করে। তুমি দুই রাকাত নামাজ পড়ো (ঈদের নামাজ) তোমার মন বা আত্মা শান্তি পাক এরপর গরিবদেরকে দাও তোমার আত্মা তৃপ্ত হোক। এরপর তুমি খাও, আনন্দ করো, তোমার বাহ্যিক চাহিদা মিটুক। অর্থাৎ দেহ ও আত্মা মিলেই তোমার আনন্দ। শুধু দেহের আনন্দ হলে হবে না, আত্মাকেও খোরাক দিতে হবে। এটিই ইসলামের সৌন্দর্য।
কিন্তু পয়লা বৈশাখে, থার্টিফার্স্ট নাইটে অথবা ভ্যালেনটাইন ডেতে কোনো ত্যাগের কথা আছে? অবশ্যই নেই। আমরা দিন দিন একটি পাশবিকতার দিকে ধাবিত হচ্ছি। শুধু ভোগ আর ভোগ, খাও আর খাও। স্ত্রী স্বামীকে বলে, ‘যদি পয়লা বৈশাখে আমাকে একটা শাড়ি দিতে না পারো একটা দড়ি কিনে দিও।’ ১০টা শাড়ি থাকলেও আবার শাড়ি কিনে দিতে হবে। এটা বর্বরতা। মিডিয়াগুলো তাদের অপপ্রচারের মাধ্যমে চূড়ান্ত অসভ্য বর্বরতা সৃষ্টি করেছে। পরিবার ভাঙবে, মানুষ গলায় দড়ি দেবে, বিশৃঙ্খলা হবে, সন্তানরা বিচ্ছিন্ন হবে; কোনো সমস্যা নেই; বাণিজ্যিক সাম্রাজ্যবাদীরা টাকা পেলেই হবে।
যারা সমাজের ভালো চান তাদের বুঝতে হবে। আমি অবাক হই আমার নাতি, পাঁচ বছর বয়স। পেপার দিয়ে বন্দুক বানায়। আমি গেলে কাগজের ওই বন্দুক দিয়ে আমাকে গুলি করে। প্রশ্ন হলো, আমার নাতি এটা কোথা থেকে শিখেছে? আমাদের ঘরে টিভি নেই। আমার নাতি শিখেছে কম্পিউটার বা মোবাইল থেকে। কারণ কম্পিউটারে বা মোবাইলে যত গেমস আছে প্রায় সবই এ রকম গুলাগুলি।
আনন্দ দুই রকম। একটি হলো- মানবিক বা ত্যাগের আনন্দ। অন্যটি হলো ভোগের আনন্দ। একজন মানুষ পানিতে ডুবে যাচ্ছিল আপনি ঝাঁপ দিয়ে নিজের জীবন হুমকির মুখে ফেলে তাকে উদ্ধার করলেন। এই ঝাঁপ দিয়ে উদ্ধার করার মধ্যে একটা আনন্দ আছে। এতে আপনার আত্মা প্রশান্ত হয়। এটা মানবিক আনন্দ। আপনি নিয়ত করেছিলেন দুই কেজি গোশত কিনবেন। কিন্তু একজন অসহায় মানুষ এমনভাবে এসে বলল যে, আপনি টাকাটা ওর হাতে দিয়ে দিলেন। আপনি গোশত কিনতে পারলেন না; সন্তানের মুখে হয়তো আজ গোশত-ভাত উঠবে না কিন্তু আপনি আত্মিকভাবে বিশাল একটা আনন্দ পাচ্ছেন। কারণ একজন মানুষের উপকার করতে পেরেছেন। নিজে খাওয়ার যেমন আনন্দ আছে তেমনি অপরকে খাওয়ানোরও আনন্দ আছে। ভোগের যেমন আনন্দ আছে, ত্যাগেরও তেমন আনন্দ আছে।
আমাদের নতুন প্রজন্ম ত্যাগের আনন্দ জানে না। ওরা যত গেমস খেলে সেখানে অন্যকে আক্রমণ করাই প্রধান কাজ। একজন গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছে তাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিতে হবে, অন্যের বাড়ি-কারখানা দখল করতে হবে এগুলোই বর্তমান যুগের গেমস। ভাঙার আনন্দ, পোড়ানোর আনন্দ, ফেলে দেয়ার আনন্দ, ধাক্কা মারার আনন্দ, গুলি করার আনন্দ, হত্যা করার আনন্দ, ভোগের আনন্দ ও পাশবিক আনন্দ দেয়া হয় বর্তমান কম্পিউটার ও মোবাইলের খেলার মাধ্যমে। আমাদের প্রজন্মও এই ভোগ ও পাশবিক আনন্দই ভোগ করছে। কিন্তু বাঁচানোর আনন্দ, ত্যাগের আনন্দ, সেবার আনন্দ এটি এরা বোঝে না।
ইসলাম বলছে, তুমি অশ্লীলতা বন্ধ করো, মানবতা শেখাও, ত্যাগ শেখাও, এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে তৈরি করো। সুতরাং থার্টিফার্স্ট নাইট বা পয়লা বৈশাখে বর্ষবরণের নামে আমরা যা করছি এগুলো থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে। কারণ এতে মানবতার ক্ষতি ছাড়া আর কিছুই নেই। এসব উৎসব ইসলামসম্মতও নয়, যুক্তিসম্মতও নয়। এতে শুধু অশ্লীলতারই প্রসার ঘটছে। নিজে বাঁচুন এবং নিজের সন্তানকে এই কুসংস্কার থেকে বাঁচিয়ে রাখুন। অন্যথায় ইউরোপ-আমেরিকার মতো আমাদের সভ্যতাও ধ্বংস হয়ে যাবে। আল্লাহ আমাদের হিফাজত করুন। আমিন। লেখক; প্রফেসর ড. খোন্দকার আবদুল্লাহ জাহাঙ্গির রহ.-এর আলোচনা থেকে অনুলিখন সাইফুল্লাহ হিমেল।