শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
জব্দ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর রিট আরেক হত্যা মামলায় সাবেক বিচারপতি মানিককে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে মানহানির মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান উৎপাদনে ফিরলো কর্ণফুলী পেপার মিল ২০৫০ সালের মধ্যে ৪ কোটি মানুষের মৃত্যু হবে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী সংক্রমণে দিল্লিতে মেয়ের সঙ্গে থাকছেন শেখ হাসিনা, দলবল নিয়ে ঘুরছেন পার্কে পিআইবির নতুন ডিজি ফারুক ওয়াসিফ, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের এমডি এম আবদুল্লাহ ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পোশাক শিল্প আইন আপনার হাতে তুলে নেয়ার কারো কোনো অধিকার নেই :স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা দেয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বললেন মির্জা ফখরুল

দুর্গাপুরে হাড় কাঁপানো শীতেও ইরি-বোরো চাষে ব্যস্ত কৃষকেরা

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় বুধবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২২

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় মাঘ মাসের শুরুতেই ঘনকুয়াশা, হিমেল হাওয়া ও কনকনে শীত উপক্ষো করে ইরি-বোরো ধান চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। স্থানীয় কৃষাণ-কৃষানিরা কোমড় বেঁধে পেটের খাবার জোগার করতে ধান চাষের জন্য মাঠে নেমেছেন। মাঠের পর মাঠ জুড়ে কৃষকরা কেউ চারা তুলছেন, কেউ জমি তৈরির কাজ করছেন আবার কেউবা ক্ষেতে পানি সেচের জন্য শ্যালো মেশিন চালু করছেন। বুধবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকাসহ আদিবাসী এলাকা ভবানীপুর গ্রামে গিয়ে এমনটাই দেখা গেছে। এ নিয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন জাতের ইরি-বোরা ধান চাষের লক্ষ্য মাত্রা ১৬ হাজার ৬’শ হেক্টর এবং এ পর্যন্ত রোপন হয়েছে প্রায় ৮ হাজার ৪২০ হেক্টর জমি। উপজেলার কুল্লাগড়া, দুর্গাপুর, গাওকান্দিয়া, চন্ডিগড়, বাকলজোড়া ও কাকৈরগড়া ইউনিয়নে বিভিন্ন গ্রামে ধুম পড়েছে বোরো আবাদের। গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের কৃষক হযরত আলী বলেন, আগাম বন্যা হওয়ার আশঙ্কায় এবার আগে-ভাগেই ধানের ক্ষেত তৈরী করে চারা রোপন শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত সার, কিটনাশক ও ডিজেলের সমস্যায় পড়তে হয়নি। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ আমাদের এলাকায় বোরো আবাদ ভালো করার জন্য সব সময়ইা পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। অত্র এলাকায় গত আমন ফসল বাম্পার হওয়ায় খুব আগ্রহ নিয়ে বোরো আবাদ শুরু করেছি। আশা করছি বোরো আবাদও বাম্পার ফলন হবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, বিভিন্ন জাতের ইরি-বোরা ধান চাষের লক্ষ্য মাত্রা ১৬ হাজার ৬’শ হেক্টর এবং এ পর্যন্ত রোপন হয়েছে প্রায় ৮ হাজার ৪২০ হেক্টর জমি। এর মধ্যে হাইব্রীড ধান ১০ হাজার হেক্টর এবং উচ্চ ফলনশীল উপসী ধান আবাদে আগ্রহ প্রকাশ করছেন কৃষকগন। এবার শীত মৌসুমে শৈত্য প্রবাহ, ঘনকুয়াসা ও কনকনে শীতের মধ্যেও বীজ তলার কোন ক্ষতি হয়নি। কনেকনে শীতকে উপেক্ষা করে কৃষকরা আপন গতিতে মাঘের শুরুতেই বীজতলা রোপন শুরু করেছেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ইরি বোরো চারা রোপনের লক্ষ্য মাত্রা শেষ করা যাবে বলে তিনি আশা করছেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com