গত এক সপ্তাহে খুলনার আলুর দাম আরও কমেছে। গত সপ্তাহে সাত কেজি একশ টাকা দরে বিক্রি হলেও চলতি সপ্তাহে দশ কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে একশ টাকায়। আলুর দাম কমলেও অন্যান্য সবজির দাম বেড়ে চলেছে। বিশেষ করে বেগুনের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। তবে পোল্ট্রি মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা কমে গেছে। সবজির দাম বাড়লেও কেন বেড়েছে তা বলতে পারছে না সরবরাহকারী ও বিক্রেতারা। তবে সবজি সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই বলেও জানিয়েছেন তারা।খুলনার বাজারে বর্তমানে খুচরা দোকানে আলু প্রতিকেজি ১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত ১৫ দিন আগে বিক্রি হয়েছে ২০ টাকা দরে। গত বছর এ সময়ে প্রতিকেজি আলু ২৬ থেকে ২৭ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। বাজারে অন্যসব সবজির সরবরাহ প্রায় আলুর মতো থাকলেও দাম যেনো আকাশ ছোঁয়া। তবে অন্য সবজির তুলনায় এক সময়ে দামের দিক থেকে শীর্ষে থাকা টমেটোও এখন মিলছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়। আলুর দরপতন অব্যাহত থাকলেও বেড়েছে বেগুনের দাম। ৫০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না বেগুন। বাজার ভেদে এবং সাইজ ভেদে বেগুনের দাম নেয়া হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত।
ফুলকপি, বাধাকপি, বিটকপি, শিম, লাউসহ শীতের অন্যন্য সবজি বিক্রি হচ্ছে বেশ চড়া দামে। ৪০ টাকার নিচে মিলছে না কিছুই। একটু ভালো মানের সবজি হলেই দাম চাওয়া হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি। ভরা মৌসুমেও চড়া দামে সবজি বিক্রি হওয়ায় বাজারে আসা ক্রেতাদের ক্ষোভ প্রকাশ যেন নিত্যদিনের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। নগরীর জোড়াকল বাজারের সবজি বিক্রেতা বাদশা, নাজমুল, রানা ও মনিরুল জানান, বাজারে শনিবার ফুলকপি ৪০, বাঁধাকপি ৩০, লাল বিটকপি ৫০, শিম ৪০ ও ৫০, লাউ প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০, লালশাক ৬০, পালংশাক ৪০, পেঁপে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
নগরীর টুটপাড়া জোড়াকল বাজারের মুরগি বিক্রেতা বাবু ও মনির জানান, গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৫৫ টাকা কেজি দরে। এছাড়া কক ও লেয়ার বিক্রি হয়েছে যথাক্রমে ২৫০ ও ২২০ টাকা দরে। তবে চলতি সপ্তাহে ব্রয়লারের দাম কমে হয়েছে ১৪০ টাকা। ব্রয়লারের দাম কমে যাওয়ায় লেয়ার ও ককের দামও কেজিতে ১০ টাকা কমে গেছে।