দেশের একমাত্র দ্বীপ মহেশখালীর অচিরেই ধ্বংসের পথে! সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের ঘুম না ভাঙ্গায় প্রকাশ্যে যেভাবে কাটা হচ্ছে পাহাড়। অভিযোগের আঙ্গুল কিন্তু স্থানীয় বনবিভাগ ও জনপ্রতিনিধির দিকে। বনবিভাগ ও পাহাড় খেকোরা রমরমায় কাটছে মাটি। এভাবে পাহাড় কাটা অব্যহত থাকায় এ দ্বীপটি ধ্বংসের পথে। অপরদিকে সরকারের মেগা মেগা প্রকল্পগুলিতেও এর প্রভাব পড়ার সম্ভবনার আভাস এমন মন্তব্য করেন সুশীল সমাজ। অনুসন্ধানে গিয়ে দোখা গেছে, কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়ার নোনাছড়ি ফকিরাঘোনাস্থ পাহাড় থেকে মাটি লুটের মহোৎসব চললেও, বনবিভাগ রয়েছে নিরব ভূমিকায়। ধ্বংস হচ্ছে মহেশখালীর পাহাড়! একই ভাবে ক্ষতির সম্মূখীন হচ্ছে পরিবেশের ভাসসাম্য। এতে জনমনে সৃষ্টি হয়েছে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া। স্থানীয় প্রশাসনের ঘুম ভাঙ্গেনি কেন! এ নিয়ে সোস্যাল মিড়িয়ায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। জনমনে চলছে নানা ধরণের প্রচুর সমলোচনার ঝড়। স্থানীয়দের ভাষ্য এ পাহাড় কাটার বিক্রিত মাটি দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক। তবে সুশীল মহলের প্রশ্ন পাহাড়ের মাটি দিয়ে রাস্তা ভরাট করা কতটুকু যুক্তিযুক্ত? সচেতনমহল ও পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতারা পাহাড় কাটা থামানোর জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। মহেশখালী দ্বীপ রক্ষার্থে পাহাড় কাটা দ্র“ত বন্ধ করা প্রয়োজনও মনে করেন তাঁরা। না হয় সমুদ্রের ভূ-খন্ডে তলিয়ে যেতে পারে প্রাচীনতম এই জনবহুল এ দ্বীপটি। উল্লেখ্য গত কয়েকদিন পূর্বেও কালারমারছড়া ইউপি চেয়ারমানের নেতৃত্বে এ পাহাড় কাটা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্কেভেটার ড্রাইভারসহ স্থানীয়রা। মহেশখালীর কর্মরত সংবাদকর্মীর প্রদানকৃত রিপোর্টে জাতীয় দৈনিক খবরপত্রসহ কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় তৎসময় পাহাড় কাটা বন্ধ হয়েছিলো। তবে ওই প্রভাবশালী পাহাড় খেকো সিন্ডিকেট থেমে নেই তারা স্থান পরিবর্তন করে অন্যস্থান পাহাড় কাটা অব্যহত রেখেছে। কালারমারছড়া বনবিটের ইনচার্জ আবুল কালাম এর কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি জানান, পাহাড় কাটা বিষয়ে কোন খবর শোনেনি। তবে সরেজমিনে গিয়ে পাহাড় কাটা সাথে জড়িতদের বির“দ্ধে ব্যবস্থা নিব।