জন্ম হিন্দু ঘরে। মা-বাবার দেয়া নাম আবির দাস (২০)। তার বয়স যখন ১২ বছর, তখন মা মারা যান। এলাকার মুসলিম বন্ধুদের সাথে তার ছিল ভালো সম্পর্ক। তাদের দেখতেন কী ধীরপ্রশান্ত চিত্তে তারা দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন। রমজান মাসেও তাদের রোজা রাখার ব্যাপারটি তাকে অভিভূত করত। সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করত ইফতারির আগ মুহূর্তটা। খাবার সামনে থাকলেও কেউ খেতেন না। অপেক্ষা করতেন কখন আজান হবে। তারপর যখন আজান হত এবং সবাই একসাথে ইফতার করত, তখন আবির মন্ত্রমুগ্ধের মতো তা দেখতেন; দেখতেন কত সুন্দরভাবে ধর্মপালন করেন মুসলিমরা। এই দুটি বিষয় দেখেই তার ইসলাম ধর্মের প্রতি মুগ্ধতা বাড়ে। এক সময় সিদ্ধান্ত নেন ইসলাম গ্রহণ করবেন। মুন্সীগঞ্জ সদর থানার মাকহাটি গ্রামের জয়দেব দাসের ছেলে আবির পরে সত্যিই কালিমা পড়ে ইসলাম গ্রহণ করেন। এটি আজ থেকে আরো অন্তত ছয় মাস আগের ঘটনা। নওমুসলিম আবিরের নতুন নাম মোহাম্মদ আলী। নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে নাম এফিডেভিট করে নিয়েছেন তিনি।
নওমুসলিম মোহাম্মদ আলী এখন উপজেলার নয়াকান্দি এলাকার আব্দুল কুদ্দুস ব্যাপারীর বাড়িতে ভাড়া থাকেন। রাজমিস্ত্রীর কাজ করে যা পান তা দিয়েই জীবনযাপন করেন। সদর উপজেলার মাঠপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনা আছে তার। তিনি জানান, শৈশব থেকেই মুসলিমদের জীবনপ্রণালী তাকে দারুণভাবে আকৃষ্ট করত। নামাজ, রোজা পালন ও রমাজানে ইফতারির মুহূর্তটা তাকে ইসলাম ধর্মের প্রতি আগ্রহী করে তোলে। তখন থেকেই তার নামাজ আদায় ও রোজা পালন করতে মন চাইত। কিন্তু পারতেন না। তাই পরে ইসলাম গ্রহণ করেন। মোহাম্মদ আলী জানান, এখন তিনি একজন পূর্ণ মুসলিম।