বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:০৪ পূর্বাহ্ন

হাকিমপুরে গাছে গাছে ঝুলছে কাঁঠালের মুচি

মোসলেম উদ্দিন (হিলি) দিনাজপুর :
  • আপডেট সময় রবিবার, ২০ মার্চ, ২০২২

ফাল্গুন মাসের শুরুতেই ফাগুনের আগম। প্রকৃতি সেজেছে আপন মনে, গাছের পুরাতন পাতা ঝেড়ে বেড় হয়েছে নতুন কচি পাতা। আর কচি পাতার ফাঁকে উঁকি দিয়ে বেড় হয়েছে আম, কাঁঠাল আর লিচুর মুকুল। দিনাজপুর জেলাকে বলা হয় শষ্যের ভা-ার, ফলে ফুলে ভরপুর জেলার ১৩ টি উপজেলা। আম, লিচুর মুকলে ছেয়ে গেছে পুরো জেলা। আম, লিচুর মৌসুমকে সাজাতে যোগ দিয়েছে কাঁঠাল ম্ুঁচি। কাঁঠাল জাতীয় ফল, তার কোন যুড়ি নেই। এটি ফলের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ও পুষ্টিকর ফল। হাকিমপুর উপজেলার শহর সহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, বাড়ির ভিতর বাহিরে, রাস্তার পাশে, মাঠের আইলে সহ বিভিন্ন স্থানে রয়েছে কাঁঠালের গাছ। প্রতিটি গাছে ধরেছে কাঁঠালের মুচি। আর এক মাসের মধ্যে পাকতে শুরু করবে কাঁঠাল। ভাল ফল পাবার আশায় গৃহস্থরা সকাল-সন্ধ্যা পানি দিচ্ছে গাছে গোড়ায়। প্রতি বছরের মতো এবারও কাঁঠাল গাছে দেখা দিয়ে প্রচুর মুঁচি। কাঁঠাল গাছের প্রয়োজনীতা অপরিসীম। কাঁঠাল পাতার মুল্য অনেক, এক আটিঁ কাঁঠাল পাতার মুল্য ১২ টাকা। তা ছাগলের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে। কাঁঠালের বিচি তরকারি এবং পাকা কাঁঠালের ভুতি গরু-ছাগলের প্রিয় খাবার। আবার কাঁচা কাঁঠালের তরকারি গ্রাম-বাংলার প্রিয় তরকারি। হিলির ডাঙ্গাপাড়ার ফরিদুল ইসলাম বলেন, বাড়ি ভিতরে আমার একটি পুরাতন কাঁঠাল গাছ আছে। প্রচুর কাঁঠাল ধরে, এবারও অনেক মুঁচি আসছে। প্রতি বছর এই সময় পরিবার কাঁঠাল খেয়ে আবার প্রতিবেশীদের দিয়ে থাকি। হিলির লোহাচড়া গ্রামের ফরহাদ হোসেন বলেন, আমাদের বাড়ির চারপাশে পাঁচটি কাঁঠাল গাছ আছে। প্রতি বছর আমরা পরিবারের সবাই খেয়ে বাজারে বিক্রি করে থাকি। খাজতা জাতের কাঁঠাল, তাই সবাই এই কাঁঠাল পছন্দ করে। একবার খেলে আবার তা খোঁজ করে। প্রতিবছর কাঁঠাল ব্যবসায়ীরা বাড়িতে এসে কাঁঠাল কিনে নিয়ে যায়।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com