রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৩০ পূর্বাহ্ন

মুন্সীগঞ্জে ট্রিপল মার্ডারের পরিকল্পনাকারী ও হত্যাকারীরা কেউ বাঁচতে পারবে না -পৌর মেয়র ফয়সাল বিপ্লব

হুমায়ুন কবির, মুন্সীগঞ্জ :
  • আপডেট সময় রবিবার, ২৭ মার্চ, ২০২২

বিচারের নামে তিনজনকে হত্যা করে একটি সংঘবদ্ধ বিএনপি জামায়াত চক্র। সেই হত্যাকান্ডের ঘটনার সাথে জড়িতদের এক বছরেও বিচারের আওতায় আনতে পারেনি পুলিশ প্রশাসন। উত্তর ইসলামপুর বিএনপি জামায়াত অধ্যুসিত এলাকা। একমাত্র মিন্টুই আওয়ামীলীগের কার্যক্রম ধরে রেখেছিল এবং দলটিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। সেটাকে ধমানোর জন্য মুন্সীগঞ্জে বিএনপি ও জামায়াতের প্রেতাত্মারা এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত। এখন পর্যন্ত ষড়যন্ত্রকারী ও পরিকল্পানাকারীরা তাদের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। এই হত্যাকান্ডের সাথে যারা জড়িত সে পরিকল্পনাকারী হউক অথবা হত্যাকারী কেউ বাঁচতে পারবে না। ট্রিপল মার্ডারের শোকসভায় শুক্রবার (২৫মার্চ) পৌর মেয়র তার বক্তব্যে এসব কথা বলেন। মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সমাজসেবক আওলাদ হোসেন মিন্টু, কলেজ ছাত্র ইমন পাঠান ও সাকিবের হত্যাকারী ও পরিকল্পনাকারীদের দ্রুত চার্জশীট দিয়ে দ্রুত ট্রাইব্যুনালে বিচার করে ফাঁসির দাবী জানিয়েছেন শোকশভায় আসা নিহত পরিবার ও শহর আওয়ামীলীগের নেতারা। শুক্রবার শহরের মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ের সামনে পৌর মেয়র হাজী ফয়সাল বিপ্লবের নেতৃত্বে হাজার নারী-পুরুষ বিক্ষোভ মিছিল করে। বিক্ষোভ মিছিলটি শহর প্রদক্ষিণ করে জেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরবর্তীতে জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে শুক্রবার (২৫ মার্চ) স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। শহর আওয়ামীলীগের উদ্যোগে শোক সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট আব্দুল মতিন। শোকসভায় বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র হাজী ফয়সাল বিপ্লব, আইনজীবি সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শাহিন মোহাম্মদ আমান উল্লাহ, এডভোকেট কাজী মোজাম্মেল হোসেন রোমেল, শহর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন নান্নু, মিন্টুর বন্ধু হুমায়ুন ফরিদ, মিন্টুর বড় ভাই মনির হোসেন, নিহত ইমনের মা, সাকিবের বাবা, মিন্টুর স্ত্রী, দুই ছেলে ও ছোট শিশু মেয়ে আয়শা। মুন্সীগঞ্জ পৌর মেয়র বলেন, পরিকল্পনাকারী এবং ষড়যন্ত্রকারী যারাই রয়েছে তারা কেউ হত্যাকারীদের বাঁচাতে পারবে না। হত্যাকারীদের শাস্তি পেতেই হবে। নিহত মিন্টুর বিষয়ে পৌর মেয়র বলেন, মিন্টু ছিলো সাদা মনের মানুষ, সংগঠক, সাংস্কৃতিক মনা এবং আওয়ামীলীগের উত্তর ইসলামপুরের প্রাণ পুরুষ। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী মিন্টুসহ তিনজনকে হত্যা করা হয়েছে। এডভোকেট মোজাম্মেল হোসেন রোমেল বলেন, উত্তর ইসলামপুরের হত্যাকান্ডটি একটি পরিকল্পিত ঠান্ডা মাথায় হত্যাকান্ড। এক বছর অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত মামলার চার্জ গঠন করা হয়নি কার স্বার্থে? চার্জ গঠন না হওয়ার পিছনেও ষড়যন্ত্রকারী রয়েছে। শিশু মেয়ে আয়েশার (৮) বক্তব্যে বলেন, আমার বাবাকে অনেক মিস করি। বাবার জন্য আমার ঘুম আসেনা। আমার বাবাকে যারা হত্যা করেছে তাদের ফাঁসি দাবী করেন। এ সময় মেয়ের আবেগঘন বক্তব্যে শোক সভায় উপস্থিত সকলেই কেঁেদ ফেলেন।
এ সময় নিজের সন্তানদের নিয়ে খুবই অসহায় অবস্থায় জীবন যাপন করছেন মিন্টুর স্ত্রী খালেদা আক্তার। নিহত আওলাদ হোসেন মিন্টুর স্ত্রী খালেদা আক্তার বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকা-। না হলে এমন নির্মমভাবে ৩ জন মানুষকে হত্যা করতে পারে না। হত্যাকারীরা যেন কোনোভাবে আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে না যায় সেজন্য সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছি। দ্রুত বিচার শেষ করে এই ঘটনার সাথে জড়িত সকলের ফাঁসির দাবী করেন তিনি। উল্লেখ্য, গত (২৪ মার্চ ২১) বুধবার রাত ১০টার দিকে স্থানীয় একটি বিরোধ নিয়ে দুই পক্ষকে নিয়ে সালিসে বসে মিন্টু প্রধান। এ সময় জামাল হোসেন, সৌরভ, সিহাব, শামীম, অভি কিশোর গ্যাংরা ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে বিচারক আওলাদ হোসেন মিন্টু প্রধান (৪০), কলেজ ছাত্র মো. ইমন হোসেন (২২), মো. সাকিব হোসেনকে (১৯)। তাদের সবার বাড়ি উত্তর ইসলামপুর এলাকায়। পরে মিন্টু প্রধানের স্ত্রী খালেদা আক্তার বাদী হয়ে ২৫ মার্চ একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলায় ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করা হয়।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com