গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে নির্মান (পাকা) হচ্ছে ১৬ গ্রামের মানুষের স্বপ্নের সড়ক। নির্মান কাজ শেষ হলে ১৬টি গ্রামের মানুষ অল্প সময়ে এবং অল্প খরচে খুব সহজেই জেলা সদর ও উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে পারবে। জানাগেছে, দেবাসুর -ঘোনাপাড়া- বিদ্যাধর-নিজড়া সড়কটি কাশিয়ানী উপজেলা ও গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ১৬ টি গ্রামের মানুষের কাছে স্বপ্নের সড়ক। প্রায় ০৫ কিলো মিটার এই স্বপ্নের সড়কটি পাকা (কাপেটিং) হলে ওই এলাকার ১৬টি গ্রামে থেকে খুব সহজেই জেলা ও উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে পারবে। এই সড়কটি পাকা না থাকায় ওই এলাকা থেকে জেলা সদর খুব কাছে হলেও তাদেরকে অনেক রাস্তা ঘুরে এবং অনেক অর্থ ব্যায় করে দৈনন্দিন কাজের জন্য জেলা ও উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে হয়। এই স্বপ্নে সড়কটি কাপের্টিং হলে ১৬টি গ্রামের মানুষ খুব সহজেই জেলা ও উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে পারবে। কমবে তাদের ভোগান্তী বাঁচবে অর্থ। জোতকরা গ্রামের ৭০ বছর বয়সী মোঃ নিয়ামত আলী জানা,জোতকোরা -ঘোনাপাড়া খালের পাশ দিয়ে যে রাস্তাটি দীর্ঘদিন আধাঁপাকা অবস্থায় হয়ে পড়ে ছিলো। এটি কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। কাজ শেষ হলে আমাদের এলাকার মানুষ খুব সহজেই জেলা সদরে যাতায়াত করতে পারবে। এই সড়ক আমাদের এলাকার মানুষের স্বপ্নের সড়ক। ঘোনপাড়া গ্রামের কৃষক মোঃ সেলিম জানান, রাস্তাটি কাপেটিং শেষ হলে শ,শ কৃষক তাদের মাঠের ফসল সহজেই বাড়তে আনতে পারবে। এতে কমবে খরচ। এ ছাড়া আমাদের উৎপাদিত ফসল খুব সহজে কম খরচে গোপালগঞ্জ জেলা শহরে নিয়ে বেচাকেনা করতে পারবো। মোঃ হানিফ উদ্দিন খসরু বলেন, আমাদের জেলা শহরে যেতে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় লাগে অনেক রাস্তা ঘুরে গোপালগঞ্জ জেলা শহরে যেতে হয় এবং খরচ হয় অনেক বেশী। অনেক সময়ে রোগী নিয়ে সদর হাসপাতালে যেতে হয় তখন আমাদের ভোগান্তীর শেষ থাকে না। এলাকার এই সড়কটি কাপেটিং শেষ হলে জেলা শহরে খুব অল্প খরচে যাতায়াত করতে পারবো। মোঃ জন্নু মোল্যা জনান, মাত্র পাচঁ কিলো রাস্তাটির নির্মান কাজ শেষ হলে এই এলাকার সকল শ্রেনী পেশার মানুষ উপকার পাবে। জেলা শহরের সাথে এই এলাকার মানুষের সেতু বন্ধন হবে। উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, মাননীয় সাংসদ শেখ ফজলুল করিম সেলিম স্যারের অগ্রাধিকার প্রকল্প এটি। এই ০৫ কিলোমিটার সড়ক কাপেটিং হলে এলাকার মানুষ সহজেই জেলা ও উপজেলা শহরে যাতায়াত করতে পাবে। বর্ষার পানি আসার পূর্বেই সড়কের কাপেটিং শেষ করতে ঠিকাদারকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। কাজটি দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো জানান নির্বাহী প্রকৌশলী নিজেই একাধিক বার তদারকী করেছেন।