সৌন্দর্যের রুপ ছড়াচ্ছে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাইয়ের ৩০ কিলোমিটার অংশ। বাহারি ফুলে ছেয়ে গেছে এখানকার মহাসড়কের চার লেনের আইল্যান্ডে। এমন ফুলের সমরোহে পথ পাড়ি দিতে যে কারোরই ভালো লাগবে। মনোমুগ্ধকর পরিবেশে চলতে পেরে চলাচলকারী যাত্রীদের মনে ফিরেছে স্বস্তির নিশ্বাস। কর্মব্যস্ততার ফাঁকে নগর জীবনের ক্লান্তিদূর করতে অনেকে ছুঁটছেন এ পথে। লাল, সাদা, বেগুণী, হলুদসহ বিভিন্ন প্রজাতির বাহারি ফুলের সৌন্দর্য্যে যেকেউ মুগ্ধ হবেন মহাসড়কের এ অংশটিতে। তবে অনেক স্থানে বিভিন্ন সড়ক দুর্ঘটনায় অনেক গাছ ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে যথাযথ পরিচর্যার অভাবে শুকিযে মারা যেতেও দেখা যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাসময়ে গাছগুলোর পরিচর্যা করলে সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধি পেত বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। সরেজমিনে মহাসড়কে অবস্থিত উপজেলার বড়দারোগার হাট, ছোটকমলদহ , নিজামপুর , হাদিরফকির হাট, বড়তাকিয়া, মিরসরাই সদর ,মিঠাছড়াসহ বিভিন্ন স্থানে দেখা মিলে হৈমন্তি, কৃষ্ণচূড়া, কাঞ্চন, কুচির্, টগর, রাধাচূড়া, বকুল, কদম পলাশ, কবরী, ক্যাসিয়া, জারুল, সোনালু। গাছগুলো ৮-১০ ফুট মতো বড় হয়েছে। এসব গাছে বাহারী ফুলের সুবাস মুগ্ধ করছে যাতায়াতকারীদের। অনেককে আবার গাড়ি থেকে নেমে নিজের ছবি কিংবা ভিডিও ধারণ করতেও দেখা যাচ্ছে। বাগানের মতো হয়ে আছে মহাসড়কের আইল্যান্ড। দুদিক থেকে দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। বিশেষ করে দ্রুতগতিতে চলাচলরত ট্রাক, কভার্ডভ্যান ও বাসের বাতাসে ফুলগুলো দোলার দৃশ্য সৌন্দর্য্য আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিডিএম পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস চালক মোঃ রাসেল বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে গাড়ি চালানোর সময় মনে হয় কোন পর্যটন স্পট দিয়ে যাচ্ছি। এমন মনোরম পরিবেশে গাড়ি চালাতে খুব ভালো লাগে। বিশেষ করে মিরসরাই অংশ দিয়ে। মহাসড়কে চলাচলকারী একই পরিবহনের যাত্রী সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন ফেনী থেকে চট্টগ্রাম শহরে যাতায়াত করি। মিরসরাই দিয়ে যাওয়ার সময় মনে হয় ফুলের বাগারেন ভিতর দিয়ে যাচ্ছি। বাহারি ফুলের সুসজ্জিত দৃশ্যে ভ্রমনের ক্লান্তি যেন ক্লান্তি মনে হয় না। সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) সূত্রে জানা যায়, সড়কে চলাচলরত আবস্থায় এক লেনের আলো যেন অন্য পাশে এসে বাধা সৃষ্টি করে দুর্ঘটনা ঘটাতে না পারে, পাশাপাশি সৌন্দর্য বৃদ্ধির চিন্তা মাথায় রেখে সড়কের আইল্যান্ডের মাঝে এ গাছগুলো লাগানো হয়েছে। সীতাকুন্ড উপ-সড়ক বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আশিক কাদির বলেন, চট্টগ্রাম শহরের প্রবেশ মুখ সিটি গেট থেকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম পর্যন্ত বাহারি রঙের বিভন্ন প্রজাতির ৪২ হাজার ফুল ও ফলগাছ লাগানো হয়েছে। আবার দাউদকান্দি থেকে সুয়াগাজী পর্যন্ত রয়েছে আরো ৫৪ হাজার গাছ। যার প্রকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারছে মানুষ।