চাঁদপুরের মতলব উত্তরে সাদুল্লাপুর এলাকায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ড্রাগন চাষ করে সফল হয়েছেন সিকোটেক্স এ্যাগ্রো লিমিটেড। দুই বছর আগে ৩০ একর সম্পত্তির উপর ১লক্ষাধিক ড্রাগন গাছ ৫হাজার পিলারের খুঁটির সাথে লাগানো এবং চায়না পদ্ধতিতে বানিজ্যিক ভাবে ড্রাগন চাষ শুরু করেন সিকোটেক্স এ্যাগ্রো লিমিটেড এর পরিচালক নাছির উদ্দীন সরকার। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। এরই মধ্যে এই ফল বিক্রি করেছেন ৪০ লাখ টাকার ওপরে। উপজেলা কৃষি অফিস সুত্র সিকোটেক্স এ্যাগ্রো লিমিটেড এর পাশাপাশি এলাকার অনেকের কাছে অনুকরণীয় হয়ে উঠেছেন। এ উপজেলায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ড্রাগন চাষ করে বেকারদের স্বাবলম্বী হওয়ার অপার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানালেন স্থানীয় কৃষি বিভাগ। জানা যায়, সাদুল্লাপুর সুফি দরবারের এরিয়ায় এ বাগানে বাণিজ্যিকভাবে ২০১৯ সালের ড্রাগন ফলের চাষ শুরু করেন সিকোটেক্স এ্যাগ্রো লিমিটেড এর পরিচালক নাছির উদ্দীন সরকার। সিকোটেক্স এ্যাগ্রো লিমিটেড এর ড্রাগন ফল চাষ দেখে এলার অনেক উদ্যোক্তারা এর প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেছে। সরেজমিন ড্রাগন ফল বাগানে কথা হয় সিকোটেক্স এ্যাগ্রো লিমিটেড এর মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ এ.এম মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে। তিনি জানান, ড্রাগন ফল চাষ করার শুরুর কথা, বর্তমান অবস্থা এবং তার মালিকের স্বপ্নের কথা। তিনি জানান, অত্র এলাকায় আমাদের সিকোটেক্স এ্যাগ্রো লিমিটেড প্রথম বাণিজ্যিক ভিত্তিতে এ বাগান করেছেন। বাজারে ভালো দাম ও চাহিদা থাকায় দিন দিন বাড়ছে এ ফলের কদর। তিনি আরও জানান, অনেকেই আসছেন পরামর্শ নিতে। এপ্রিলে ফুল আসে, এরপর জুনের প্রথম সপ্তাহে ফল। ডিসেম্বর পর্যন্ত টানা সাত মাস ফল পাওয়া যায়। মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন বলেন, মতলব উত্তরে সিকোটেক্স এ্যাগ্রো লিমিটেড এর পরিচালক নাছির উদ্দীন সরকার প্রথম বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ড্রাগনের বাগান করেছেন এবং তিনি সফলতার মুখ দেখছে। তিনি তার লোকজন দিয়ে নিয়মিত বাগানের খোঁজখবর এবং পরামর্শ প্রদান করে আসছেন। তিনি আরও জানান, সিকোটেক্স এ্যাগ্রো লিমিটেড এরবাগানের একটি ড্রাগন ফলের ওজন ৩০০ গ্রাম থেকে প্রায় ৬০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। আরো কয়েকজন উদ্যোক্তা পরীক্ষামূলক ড্রাগন ফলের চাষ শুরু করেছেন। মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেন, অধিক পুষ্টি গুণসম্পন্ন এ ফল চোখকে সুস্থ রাখে, শরীরের চর্বি কমায়, রক্তের কোলেস্টরেল কমায়, উচ্চ রক্তচাপ কমানোসহ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এ ফল চাষে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।