যুক্তরাষ্ট্র খাদ্য সহায়তার জন্য আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ইউক্রেন থেকে প্রায় দেড় লাখ টন শস্য কেনার পদক্ষেপ নিচ্ছে। খাদ্যগুলো সংগ্রহ করা হবে, যেসব বন্দর যুদ্ধের কারণে বন্ধ অবস্থায় নেই, তেমন বন্দর থেকে। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকেএ কথা জানিয়েছেন বিশ্ব খাদ্য কর্সূচির প্রধান।
বিশ্ব খাদ্য কর্সূচির প্রধান ডেভিড বিসলি জানান, এসব শস্যের চূড়ান্ত গন্তব্যগুলো নিশ্চিত করা হয়নি। তবে, এ বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, জাতিসঙ্ঘ সংস্থাগুলোর মধ্যে ডব্লিওএফপি ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়াই করে। তারা দুর্ভিক্ষের বিরুদ্ধে লড়তে আগের তুলনায় ছয়গুণ বেশি খাদ্য সরবরাহ পেতে চাইছে। সংস্থাটির খাদ্যশস্য ভর্তি একটি জাহাজ এখন ইউক্রেন থেকে আফ্রিকার শৃঙ্গ-এর (হর্ন অফ আফ্রিকা) দিকে যাচ্ছে, যেখানে মানুষ দুর্ভিক্ষের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বিসলি শুক্রবার প্রচ- খরা কবলিত উত্তর কেনিয়া থেকে জানান, খরা আফ্রিকার শৃঙ্গ-কে নির্জীব করে ফেলছে। তিনি স্থানীয় নারীদের সাথে করে একটি কাঁটা গাছে নিচে বসে ছিলেন। ওই নারীরা তখন এপিকে বলেন, ২০১৯ সালে সেখানে শেষবার বৃষ্টি হয়েছিল। এই হাড়-সর্বস্ব মানুষগলো কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আরো একটি বৃষ্টিহীন বর্ষাকালের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি এই অ লের কিছু অংশ, বিশেষ করে প্রতিবেশী সোমালিয়াকে দুর্ভিক্ষের দিকে ঠেলে দিতে পারে। ইতোমধ্যে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি বলছে, এখানে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা দুই কোটি ২০ লাখের মতো।
বিসলি বলেন, ইউক্রেনের বন্দরগুলো ধীর গতিতে খোলার কারণে এবং আরো কিছু কারণে কৃষ্ণ সাগরে জাহাজগুলো সবধানে চলাচল করায়, বিশ্বের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে কোনো সম্ভাব্য সমাধান দেখা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, বিশ্বের ক্ষুধার্ততম অ লে খাদ্য ও অন্যান্য সহায়তা সরবরাহে ধনী দেশগুলোর আরো অনেক কিছু করার আছে। বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুধার্ত অ লে শস্য ও অন্যান্য সহায়তা অব্যাহত রাখার ধনী দেশগুলোকে আরো অনেক কিছু করতে হবে বলে মন্তব্য করেন।