জ্বালানী তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি,বিদ্যুৎতের নজরবিহীন লোডশেডিং,গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি,নিত্যপ্রয়োজনীয় মূল্যবৃদ্ধি সহ ভোলায় পুলিশের গুলিতে নুরে আলম ও আবদুর রহিমকে হত্যার প্রতিবাদে হাটহাজারী উপজেলা ও পৌরসভার যৌথ উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।আজ শুক্রবার কেন্দ্রীয় ঘোষিত সমাবেশে দীর্ঘ ৯ বছর পর আবারো বিএনপির দূর্গ হিসেবে পরিচিত হাটহাজারীর রাজপথে শক্তির জানান দিতে বিএনপি,যুবদল,ছাত্রদল,শ্রমিকদল সহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা যোগ দেবেন বলে আয়োজক কমিটির সদস্যরা জানান।এ নিয়ে ব্যাপক প্রচারনাও চালাচ্ছে স্যোসাল মিডিয়ার ফেসবুকে।দীর্ঘ সময় দলীয় কোন প্রোগ্রাম হাটহাজারীতে করতে না পারলেও ইতিমধ্যে উপজেলা,পৌরসভা,ইউনিয়ন সহ ওয়ার্ড ভিত্তিক আংশিক কমিটি গঠন করার পর থেকে সক্রিয় হয়েছে দলটির নেতাকর্মীরা।তবে দীর্ঘদিন কোন্দলের কারনে দলটির অনেক নেতাকর্মীরা পৃথক সহ বিভিন্ন মামলা পুলিশি হয়রানির কারনেও আড়ালে ছিল দলটির নেতাকর্মীরা।বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য ব্যারিষ্টার মীর হেলালের নেতৃত্বে পৌরসভা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুস শুক্কুর মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক ব্যাপক গণসংযোগ করে সু সংগঠিত করেছে উপজেলার ইউনিয়ন সহ পৌরসভার কমিটিকে।এর পরেই দীর্ঘ সময় পেরিয়ে আবারো হাটহাজারীতে গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন ওয়ার্ডে মিটিং,গণসংযোগ সহ উঠান বৈঠক করে পৌরসভা, কয়েকটি এলাকায় ঝঁটিকা মিছিল ও শোডাউন দিয়ে শক্তির জানান দিয়েছে।এতেই প্রকাশ্যে কোন সমাবেশ হওয়ায় প্রস্তুতিতে নেতাকর্মীদের মধ্যে আগ্রহ-উচ্ছ্বাস লক্ষ করা গেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে প্রকাশ্যে মাঠে নামছে শুক্রবার বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে বিএনপির দূর্গ হিসেবে পরিচিত হাটহাজারীতে শক্তির জানান দিতে।তবে সজাগ ও যে কোন বিশৃঙ্খলা এড়াতে প্রস্তুত রয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।তবে সমাবেশের কোন অনুমতি পায়নি বিএনপি। থানা প্রশাসনকে লিখিত অবহিত করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। হাটহাজারী পৌরসভার যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুস শুক্কুর বলেন,দীর্ঘ নয়টি বছর পর হাটহাজারী উপজেলাতে বিএনপিে বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ করতে যাচ্ছি কেন্দ্রীয় নির্দেশে।বিভিন্ন মামলা ও পুলিশের হয়রানির কারনে মাঠ থেকে দূরে ছিলাম।জনগনকে এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দিতে সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্যের ঊর্ধ্বগতি সহ বিএনপির দুই নেতাকে পুলিশের গুলিতে হত্যার প্রতিবাদে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।তৃণমূল নেতাকর্মীদের উৎসাহে হাটহাজারীতে বিএনপি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করবে।প্রায় ১৫/২০হাজার নেতাকর্মীরা অংশগ্রহন করবে বলেও তিনি জানান। তিনি আরো বলেন,গণতন্ত্রের জন্য আমরা অনেক ত্যাগ, তিতিক্ষার শিকার হয়েছি। আর চুপ থাকব না। বঙ্গোপসাগরে ঢেউয়ের চেয়ে বিএনপির আওয়াজ আরও অনেক শক্তিশালী উদ্দীপ্ত। মানুষের হৃদয়ে বিএনপি। আমরাই দেশে বেঁচে থাকব। দুর্নীতি ও লুটপাটের কড়ায়-গ-ায় হিসাব দিতে হবে। হাটহাজারী বিএনপির দূর্গ হিসেবে খ্যাত -২০১৪ সালের একতরফা নির্বাচনের পর থেকে হাটহাজারী উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপি সহ অংগসংগঠনের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা হামলা গ্রেপ্তার নির্যাতন করে সংগঠনকে ধংস করার চেষ্টা করা হইছে। দীর্ঘ নয় বছর পর আবারো কর্মসূচীর মাধ্যমে হাটহাজারীর গণমানুষের নেতা ব্যারিষ্টার মীর হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে হাটহাজারীতে উপজেলা ও পৌরসভার বিএনপি সহ অংগসংগঠন শক্তি প্রদর্শন করা হবে রাজপথে হাটহাজারীতে বিএনপি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করবে ইনশাল্লাহ। এ বিষয়ে হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃশাহাদাত হোসেনের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিএনপির সমাবেশের বিষয়ে অবগত নয়,তবে ওসি সাহেব জানতে পারে। হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃরুহুল আমিন বলেন,বিএনপির সমাবেশের কোন অনুমতি নাই,তার পরেও শান্তি শৃংখলা ও জনগনের জানমালের নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত থাকবে।