ব্রহ্মপুত্র নদের উপর ব্রীজের দাবী
দেশের উত্তরাঞ্চলীয় রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ১৬ টি জেলার মধ্যে দরিদ্রতম জেলা কুড়িগ্রাম। ব্রম্মপুত্র নদ এবং ধরলা, দুধকুমর, হলহলি, সোনাভরি ও জিঞ্জিরাম নদী দ্বারা বেষ্টিত ও ভারতীয় আসাম সীমান্ত ঘেষা রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলা দুটির সাথে লাগোয়া দক্ষিণের ময়মনসিংহ বিভাগের ৩টি জেলা ময়মনসিংহ, শেরপুর ও জামালপুর। আজ বাংলাদেশের অর্ধশতক বছরে পর্দাপনেও জেলা সদরের সাথে সড়ক যোগাযোগ স্থাপন হয়নি রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলা দু’টির। ৬০ কিঃ মিটার নৌকা যোগে পারাপার হতে হয় জেলা সদরে। সড়কের অভাবে জেলা শহরের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে উপজেলা দু’টির প্রায় ৫ লক্ষ মানুষের। বর্তমান ডিজিটাল ও আধুনিক উন্নয়নশীলদেশ গড়ার লক্ষে এগিয়ে গেলেও নদী বেধৌত চরাঞ্চল, স্বাধীনতার মুক্তাঞ্চল, দরিদ্রতম এলাকা রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলা উন্নয়নের সাথে তাল মিলিয়ে নিয়ে যাওয়ার দেখার যেন কেউ নাই। কুড়িগ্রাম জেলা সদর থেকে রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলার দুরুত্ব প্রায় ৬০ কিঃ মিটার। এর মধ্যে ২২ কিঃ মিটার দুর্গোম নদী পথ। বর্ষা মৌসুমে রৌমারী রাজিবপুর উপজেলা সদর থেকে জেলা শহরে পৌছতে সময় লাগে ৬ থেকে ৭ ঘন্টা এবং শুকনা মৌসুমে ৮ থেকে ৯ ঘন্টা। ফলে যে কোন কাজে জেলা শহরে যাতায়াতে সময় লাগে ২ দিন। এতে নানা ভোগান্তির শিকার হতে হয় অবহেলিত ভারতীয় আসাম সীমান্ত ঘেষা রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলা দুটির হতদরিদ্র মানুষদের। উপজেলা দুটির বিভিন্ন অফিস আদালতে কর্মরত ওপারের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার কারনে নিয়মিত অফিসে উপস্থিত হতে পারেন না। ফলে সাধারণ জনগণ এসব প্রতিষ্ঠান অফিসের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এমনি নানা বঞ্চনা ও যন্ত্রনা সহ্য করেও এই দীর্ঘদিন উপজেলা দুটির প্রায় ৫ লক্ষ মানুষের জেলা শহরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে। এসব জনদুর্ভোগের কথা বর্তমান ডিজিটাল যুগে ও উন্নয়নশীলদেশ গড়ার লক্ষে অবহেলিত এ অঞ্চলকে উন্নত অঞ্চলে গড়ার এহেন চিন্তাধারা আছে কি না জানা নেই। তবে এক সময় জানা গেছে, এসব জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে স্থানীয় এলজিইডি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে রৌমারী কুড়িগ্রাম সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের একটি পরিকল্পনা তৈরী করা হয়েছিল ২০০৬ ও ২০০৭ সালের দিকে। এনিয়ে জাতীয় দৈনিকসহ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় লেখা লেখিও হয়েছিল। পরিকল্পনায় বলা হয়েছিল, কুড়িগ্রাম শহর থেকে ধরলা সেতু পেরিয়ে যাত্রাপুর পর্যন্ত পাকা সড়ক রয়েছে। সেখান থেকে মোল্লার হাট পর্যন্ত ৪ কিঃ মিটার একটি সেতু নির্মান অথবা ফেরী পারাপারের ব্যবস্থা করলে রৌমারী ও রাজিবপুর আসা খুব সহজ হবে। অথবা রৌমারী বলদমারা খেয়া ঘাট হতে মাত্র ৬ কিঃ মিটার উলিপুর উপজেলার ফকিরের হাট পর্যন্ত পাকা সড়ক ও একটি ব্রীজের ব্যবস্থা করলে কুড়িগ্রামের সাথে রৌমারী ও রাজিবপুরের সড়ক যোগাযোগ পূর্নাঙ্গ ভাবে স্থাপিত হবে। এই পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নের জন্য দলমত নির্বিশেষে কুড়িগ্রামের ৪ টি আসনের সংসদ সদস্য. সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য ও জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর ডিও লেটারে জেলা এলজিইডি একটি এস্টিমেট এবং ব্যয়ের একটি প্রস্তাব এলজিইডির প্রধান কার্যালয় প্রদান করেছিলেন। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষে খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মানুষের মাঝে একটু স্বস্থির ফিরে এসেছিল। কিন্তু হঠাৎ করে এ স্বস্থির ঝড় থেমে যায়। ২০২১-২০২২ এসে ব্রম্মপুত্র নদের উপর একটি ব্রীজ স্থাপনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আলহাজ¦ জাকির হোসেনের দৌড়ঝাপে এ এলাকার মানুষের মাঝে সড়ক যোগাযোগ এর মাধ্যমে কুড়িগ্রামসহ উত্তরাঞ্চলের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬ টি জেলার সাথে ও পূর্ব দক্ষিণাঞ্চলের ময়মনসিংহ বিভাগের ৩ টি জেলা ময়মনসিংহ, জামালপুর ও শেরপুর জেলার উন্নয়ন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার আশ^াসে মানুষের মাঝে আবারও স্বস্থির নিশ^াস ফেলছে। আমরা হয়তো আর বিফলে যাবো না। এবারই ব্রম্মপুত্র নদের উপর একটি ব্রীজসহ সড়ক যোগাযোগ হবে বলে আশা করছি। রৌমারী রাজিবপুর ও চিলমারী কুড়িগ্রাম ৪ আসনের কৃতি সন্তান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আলহাজ¦ জাকির হোসেন এমপি সংসদে বারবার ব্রম্মপুত্র নদের উপর একটি ব্রীজের দাবী উথ্যাপনে ও তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গত ৭ নভেম্বর ২০২১ ব্রম্মপুত্র নদের উপর ব্রীজ নির্মানে মাষ্টার প্লান পরিদর্শনে ডঃ মনিরুজ্জামান (পিএনডি) পরিচালক প্লানিং এন্ড ডেভলোপমেন্ট বাংলাদেশ ব্রীজ অথরিটি, লিয়াকত হোসেন প্রজেক্ট ডিরেক্টর বিবিএ মাষ্টার প্লান প্রজেক্ট, মিষ্টার মোঃ আবুল হোসান ডেপুটি সেক্রেটারী বাংলাদেশ ব্রীজ অথরিটিসহ স্থানীয় ভাবে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল্লাহ, ওসি মোস্তাছির বিল্লাহ, এসিল্যান্ড তানভির আহমেদসহ অনেকেই। মাষ্টার প্লান পরিদর্শনের কয়েক মাস পর ব্রম্মপুত্র নদে ব্রীজ নির্মান পরিকল্পনায় রৌমারী বন্দবেড় বলদমারা ঘাট হতে উলিপুর ফকিরের হাট পর্যন্ত মাঝামাঝি স্থানসহ কয়েকটি স্থানে নদের সোয়েল টেস্টে আসেন এবং সোয়েল টেস্টের জন্য মাটি নিয়ে যান। ব্রীজসহ সড়ক নির্মানে প্রতিমন্ত্রী আলহাজ¦ জাকির হোসেন এমপি দরিদ্রতম এলাকার মানুষের কষ্টের দুর্দশা লাঘোবের প্রচেষ্টার হাল ছাড়েননি। ব্রীজটি বাস্তবায়নের ফলে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের রংপুর রাজশাহী ও ময়মনসিংহ, ঢাকা এবং চট্রগ্রাম বিভাগের মানুষের ভাগ্য ব্যাপক পরিবর্তন ঘটবে। ব্রীজ ও সড়ক যোগাযোগ চালু হলে কম সময়ে যাতায়াত ব্যবসা বানিজ্য ও কর্ম সংস্থানের ব্যাপক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে গড়ে উঠবে শিল্প কলকারখানা, বেকার সমস্যা হ্রাস, দারিদ্র বিমোচনসহ ব্যাপক উন্নতি হবে। এখানে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান বাড়বে। ব্রম্মপুত্র নদে ব্রীজ নির্মান হলে বড়বড় মেগা প্রকল্পের কাজ অত্র এলাকায় শুরু হবে। বিভিন্ন জেলার কোটি প্রতি শিল্পপতিসহ অনেক ব্যবসায়ী ব্রীজ নির্মান ও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার কথা শুনে জায়গা জমি ক্রয় করার আগ্রহ বাড়ছে। এর ফলে জায়গা জমির ব্যাপক দাম বৃদ্ধি পাবে। রংপুর রাজশাহী ময়মনসিংহ ঢাকা ও চট্রগ্রাম বিভাগের প্রায় ২৬ টি জেলার মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা খুবই সহজ হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবসায়ীরা ঢাকা চট্রগ্রাম রংপুর রাজশাহী থেকে মালামাল ক্রয় করে গন্তব্য স্থানে পৌছতে পারবে। ব্রম্মপুত্র সেতু ও রেল সড়ক চালু হলে রৌমারী স্থলবন্দর ও লালমনির হাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দরের সঙ্গে মালামাল আমদানী রফতানী খুবই সহজ ও সময় সাশ্রই হবে। প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক দৃষ্টি নন্দন হিসাবে ব্রম্মপুত্র নদের উপর ব্রীজ দেখতে ভীর করবেন। ব্যবসায়ী প্রদ্বীপ কুমার সাহা, ফুলুমিয়া, হার্ডওয়ার ব্যবসায়ী কদম আলী, কুড়িগ্রাম জেলা হার্ডওয়ার ব্যবসায়ী শ্রী রঞ্জন কুমার, সজিব সিকদার, গালামাল ব্যবসায়ী সরদার নওশাদসহ অনেকেই বলেন, ঢাকা থেকে মালামাল আনলে কয়েক দিন সময় লাগে এবং নৌকা পারাপারে মালামাল আনা নেয়াতেও বিভিন্ন যন্ত্রনা লাঞ্ছনা পোহাতে হয়। এতে পাইকারি ব্যবসায়ীদের মালামালদিতে সময় কালক্ষেপণ হয়। তাতে ব্যবসায়ীদের সাথে মনোমালিন্য হয়। ব্রম্মপুত্র নদের উপর ব্রীজটি হলে ঢাকা কিংবা চট্রগ্রাম রংপুর থেকে মালামালসহ আনা নেয়া করলে একদিকে সময় বাচবে অন্যদিকে খরচ কমবে এবং ব্যবসায়ীদের সাথে সম্পর্ক ভালো থাকবে। গাড়ী চালকরা বলেন, রংপুর, বগুড়া হয়ে ঢাকা যাতায়াতে অনেক সময় লেগে যায়। ব্রম্মপুত্র নদের উপর ব্রীজটি হলে অল্প সময়ে রৌমারী জামালপুর, কিংবা ময়মনসিংহ লাইনে যাতায়াত করলে সময় কম লাগবে। সুন্দর ভাবে আসা যাওয়া করা যাবে। ফলে মালিক শ্রমিক ও ব্যবসায়ীসহ সবাই মিলে লাভবান হবো। এ বিষয়ে কৃষকরা বলেন, ব্রীজটি নির্মান হওয়ার কথা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে এখানকার জমির দাম বাড়ার আলোচনা শুরু হয়েছে। ব্রীজ নির্মান কাজ শুরু হলেই জমির দাম ৩ গুন বাড়বে। অন্যদিকে এ এলাকার কৃষি উৎপাদনে ধান পাট সহজে বিভিন্ন জেলা সদরে নেয়া যাবে এবং উচ্চ মূল্যে বিক্রয় করা যাবে। এতে এ এলাকার মানুষ অনেক লাভবান হবে এবং প্রায় বাড়িঘর উজ্জল হবে। এলাকার মানুষ কোটি পতি হতে দেরি হবে না। জেলা উপজেলা বর্তমান সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা বলেন, উত্তর বঙ্গের ২ টি বিভাগের ১৬ টি জেলা। ব্রম্মপুত্র নদের উপর ব্রীজ নির্মান হলে কুড়িগ্রাম জেলার অবহেলিত উপজেলা রৌমারী রাজিবপুর হবে সোনার শহর। এখানে গড়ে উঠবে বড়বড় হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, ভারত বাংলাদেশের বাড়বে আমদানী রফতানী। এতে গড়বে মানুষের আয়ের উৎস্য, থাকবে না কোন বেকার যুবক। কোন জটিল অসুস্থ্য রোগীকে নিয়ে যেতে হবে না অন্য জেলা সদরে। শিক্ষার পরিবেশ হবে নিজ বাড়ি হতেই। উন্নত হবে অত্র এলাকা। অবহেলিত ও চরাঞ্চল ঘুঘুমারীর মাঝ বয়সী সুলতান, জসিম উদ্দিন, শুকুর আলী বলেন, আমাদের এদিক দিয়ে ব্রীজ নির্মান হলে রংপুর, বগুড়ায় অল্প সময়ে যাতায়াত করা যাবে। উন্নয়ন বাড়বে এ এলাকা। আর থাকবে না বেকার সমস্যা। দুর হবে সকল দুভোর্গ। এখানকার ছেলে মেয়েরা সহজেই উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারবে। রোগী নিয়ে নৌকা ঘাটে অপেক্ষা করতে হবে না। ব্রীজ নির্মান বাস্তবায়িত হলে কুড়িগ্রাম জেলা সদরসহ রংপুর দিনাজপুর, রাজশাহী এবং ঢাকা চট্রগ্রাম শহরের সাথে ব্রম্মপুত্র পূর্ব পারের দুর্গম চরাঞ্চলের অবেহেলিত রৌমারী রাজিবপুর উপজেলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হবে। বিরম্বনার হাত থেকে রক্ষা পাবে উপজেলা দু’টির প্রায় ৫ লক্ষ মানুষ। রৌমারী ও রাজিবপুরের ৫ লাখ মানুষের বর্তমান সরকারের মানবতার মা, উন্নয়নের রোল মডেল ও দেশ গঠনের নায়ক বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনর মাধ্যমে প্রাণের দাবী ব্রম্মপুত্র নদের উপর ব্রীজ ও সড়ক নির্মান প্রকল্পে যোগাযোগ ব্যবস্থা বানিজ্য ও এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে ব্রম্মপুত্র নদের উপর ব্রীজসহ যোগাযোগ সড়কটির নির্মান কাজ এলাকার মানুষের স্বপ্ন বাস্তাবায়নে তরাম্বিত হোক। রৌমারী উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ আব্দুল কাদের সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউজ্জামান, ডিপুটি কমান্ড শাহার আলী, সাবেক কমান্ড বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াদুদ মন্ডলসহ আরো অনেকে বলেন, রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলাটি ছিল স্বাধীনতা যুদ্ধের মুক্তাঞ্চল, এ অঞ্চলটি স্বাধীনতার পর থেকেই অবহেলিত। কড়িগ্রাম জেলার পূর্বাঞ্চল চরাঞ্চল রৌমারী ও রাজিবপুর বাংলাদেশ সৃষ্টির ৫০ বছর অতিবাহিত হলেও জেলার সাথে কোন সড়ক যোগাযোগ নেই। অতি কষ্টে নৌকাযোগে পারাপার হতে হয়। আমরা দীর্ঘদিন থেকে রৌমারী মুক্তাঞ্চল হিসাবে সরকারী ভাবে স্বীকৃতির দাবী করে আসছি। একই সাথে দাবী করছি ব্রম্মপুত্র নদের উপর একটি ব্রীজ। যার মাধ্যমে এ অঞ্চল উন্নয়নের সারা জাগাবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আলহাজ¦ জাকির হোসেন (এমপি) বলেন, ব্রীজটি বাস্তবায়নের করতে পারলে উত্তরাঞ্চলের রংপুর রাজশাহী ও পূর্ব দক্ষিনাঞ্চলের ময়মনসিংহ, ঢাকা এবং চট্রগ্রাম বিভাগের প্রায় ২৬ টি জেলার মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা খুবই সহজ হবে। মানুষের ভাগ্য ব্যাপক পরিবর্তন ঘটবে। ব্রীজ ও সড়ক যোগাযোগ চালু হলে কম সময়ে যাতায়াত ব্যবসা বানিজ্য ও কর্ম সংস্থানের ব্যাপক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে গড়ে উঠবে শিল্প কলকারখানা, বেকার সমস্যা হ্রাস, দারিদ্র বিমোচনসহ ব্যাপক উন্নতি হবে। এখানে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান বাড়বে। ব্রম্মপুত্র নদে ব্রীজ নির্মান হলে বড়বড় মেগা প্রকল্পের কাজ অত্র এলাকায় শুরু হবে এবং বিভিন্ন জেলার কোটি প্রতি শিল্পপতিরা, বিভিন্ন শিল্প কারখানা গড়ে তুলবে। এমনকি প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক দৃষ্টি নন্দন হিসাবে ব্রম্মপুত্র নদের উপর ব্রীজ দেখতে ভীর করবেন।