বৈশ্বিক সংকটকালে ডলার ধরে রাখতে এলএনজির মতো উচ্চমূল্যের জ্বালানিপণ্য আমদানি কমিয়ে দেয় সরকার। এতে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন কিছুটা ব্যাহত হয়। জ্বালানি সাশ্রয়ে আগস্ট মাসজুড়ে রাজধানীসহ সারাদেশে আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকার পাশাপাশি রপ্তানিমুখী শিল্প এলাকায় শিডিউল করে লোডশেডিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। তবে লোডশেডিংয়ের প্রভাবে দেশের রপ্তানি খাতে বড় কোনো ধাক্কা লাগেনি। বরং চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে রপ্তানিতে সুবাতাসই বইছে।
সদ্য সমাপ্ত আগস্ট মাসে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে ৪৬০ কোটি ৭০ লাখ ডলার আয় করেছেন দেশীয় উদ্যোক্তারা। গত অর্থবছরের একই সময়ে অর্থাৎ আগস্টে ৩৩৮ কোটি ৩০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল। সে হিসাবে এ বছর আগস্টে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৬ দশমিক ১৮ শতাংশ। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ বেশি। গতকাল রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) পণ্য রপ্তানি থেকে ৮৫৯ কোটি ১৮ লাখ ডলার এসেছে। যা গত অর্থবছরের (২০২১-২২) একই সময়ের চেয়ে ২৫ দশমিক ৩১ শতাংশ বেশি।
রপ্তানির মতোই ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে রেমিট্যান্স। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে প্রবাসীরা ২ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। গত অর্থবছরের শুধু এপ্রিল মাসে রেমিট্যান্স ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি এসেছিল। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাস জুলাই ও আগস্টে প্রবাসীদের পাঠানো ৪১৩ কোটি ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে এসেছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় যা ৪৫ কোটি ডলার বা ১২ দশমিক ২৯ শতাংশ বেশি। ইপিবির তথ্য বলছে, আগস্টে ৭১১ কোটি ২৬ লাখ ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২৬ দশমিক ১ শতাংশ বেশি। এতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭ দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি আয় হয়েছে। এছাড়া চামড়াজাত পণ্যে বিগত অর্থবছরের আগস্টের তুলনায় এবার প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ, পাটজাত পণ্যে ২২ দশমিক ৬৭ শতাংশ, সিরামিক পণ্যে ১৮ দশমিক ০৬ শতাংশ, প্লাস্টিকে ৬০ দশমিক ০৯ আর স্পেশালাইজড টেক্সটাইল পণ্যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭৩ দশমিক ১৭ শতাংশ।