মা নামটি শুনলেই মনের মাঝে আনন্দের জোয়ার বয়ে যায়। মায়ের ভালবাসার তুলনা শুধুমাত্র মা” সকল মায়েরা আশা করেন তার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে। এমন এক মায়ের আকাল মৃত্যু নিয়ে এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে। গ্রামের নাম রুইয়েরকুল। চিতলমারী সদর উপজেলা থেকে প্রায় ৮কিলো মিটার অদুরে। বিলাঞ্চল বেষ্টিত একটি সবুজ-স্যামল পল্লী এলাকা। এখানে বাস করেন দীন মজুর সুদাস ব্রক্ষ্ম। জীর্নশীর্ণ একটি কুঠীরে বসবাস সুদাস ব্রক্ষ্মও তার স্ত্রী ঝর্ণা রানী ব্রক্ষ্মের। ঝর্ণা রানীর এগারো মাস বয়সী দুধের শিশুসহ ৪ সন্তানের জননী। দিন মজুর স্বামীর সাংসারে ভালোই কেটে ছিলো তার। কিন্ত গরীবের সুখ যেন আলোর নিচে অন্ধকার। তেমন একটি অনাকাংক্ষিত কালো মেঘ এসে ঝর্ণা রানীকে তার শিশুসন্তানদের কাছ থেকে চিরো দিনের জন্য চলে যেতে হলো না ফেরার দেশে। ঘাতক ক্যান্সার তাকে নিয়ে গেল পরপারে। এমনই হৃদয় বিদারক ঘটনা ঘটেছে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার রুইয়েরকুল গ্রামে। স্থানীয়রা জানান, ধার-দেনা করে স্ত্রী’র চিকিৎসা করিয়েও তাকে বাঁচাতে পারেনি স্বামী সুদাস। কাজ না করলে সংসার চলে না। যে কারণে তার শিশু সন্তানদের একা রেখে কাজে যেতে হয়। এই মুহূর্তে তাকে সরকারী সহায়তা দরকার। স্থানীয় ইউপি সদস্য তারা রানী ব্রক্ষ্ম জানান, মৃত ঝর্না রানীর বড় সন্তান সজলের বয়স ১১ বছর। পঞ্চম শ্রেনীতে পড়ে সে। ছোট ভাই-বোনদের রান্না করে খাবার তুলে দেয়। ভাই-বোনদের দেখাশুনা করতে গিয়ে তার পড়াশুনা বন্ধ হতে বসেছে। ওই পরিবারটির পাশে সকলের দাঁড়ানো দরকার। এ বিষয়ে সুদাস ব্রক্ষ্ম হতাশা ব্যক্ত করে জানান, মায়ের দুধ পান করারজন্য তার ১১মাসের শিশু সন্তান অঝরে কাঁদছে। বাড়ির ৩ শতক জায়গা ছাড়া কোন সম্পত্তি নেই। এ ব্যাপারে চিতলমারী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ নিজাম উদ্দিন জানান, মৃত ঝর্না রানীর পরিবারকে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষথেকে সহায়তা দেয়া হবে।