বাগেরহাটের চিতলমারীতে বাড়ীর জায়গা ক্রয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই সেনা সদস্যের পরিবারেরমধ্যে চরম আকার ধারন করেছে। দীর্ঘদিনে এই সমস্যা নিরাসনে দুইপক্ষ থানা পুলিশ ও স্থানীয় সালিশ দারদের কাছে ধর্ণা দিয়েও কোনরুপ সুফল পায়নি। এঘটনায় প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসী আক্রমন ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ একটি পরিবারের। এঘটনা চিতলমারী উপজেলার স্যামপাড়া গ্রামে। স্যামপাড়া গ্রামের সেনা সদস্য মোঃ রমজান আলীর স্ত্রী হাসিনা বেগম জানান, প্রতিপক্ষ আল মামুন বিশ্বাস তার স্বামীর বন্ধু ছিলেন। দুজনই বাংলাদেশ সেনা বাহিনীতে কর্মরত। দীর্ঘদিন বন্ধুতের সুবাদে তাদের যৌথ মালিকানায় ৭৩ শতাংশ জমির মোট টাকার সমান অংশ পরিশোধ করার শর্তে দলিল সম্পাদন হয়। কিন্তু দলিল সম্পাদনের রমজান কর্মস্থলে থাকার কারনে; আল-মামুন শর্ত ভঙ্গ করে। তিনি দলিল সম্পাদনের সময় পেছনের জায়গাটি ধার কাতিয়ে রমজানের অংশে দেন। হাসিনা বেগম জানান তার স্বামীর বাড়ী উপজেলার বড়বাড়িয়া গ্রামে কিন্তু বন্ধুত্বেও সুত্রধওে তার নিজের এলাকায় জায়গা কিনে দিয়ে সে আমাদেও দুর্বলতার সুযোগে একেরপর এক নির্যতন চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া জমির পাশে সরকারী খাদ্য গুদামের কাছে ৫শতাংশ জায়গা বিক্রির টাকা সহ ৬ লক্ষ টাকা আত্মসাত করেন। এঘটনায় তাদের মধ্যে বন্ধুথেকে শত্রুতার সৃষ্টি হয়। তারই ধারাবাহিকতায় মামুনের ইন্দনে বারবার ওই পরিবারটিকে বাড়ীথেকে উচ্ছেদেরজন্য অনেকদিন যাবত অত্যাচার করে আসছে। সর্বশেষ মঙ্গলবার ২৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে কতিপয় দুর্র্বৃত্তদের লেলিয়ে দিয়ে রমজান আলীর ঘর-বাড়ীতে ইট, ফাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে বাড়ীতে থাকা রমজানের বৃদ্ধা মা, স্ত্রী সাবিনা, ৮ম শ্রেনীতে পড়–য়া মেয়ে মীম সহ শিশু সন্তান আঘাত প্রাপ্ত হয়। এবং ঘরে টিনের বেড়া ভেঙ্গেযায়। বর্তমান ওই পরিবারটি চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন। এব্যপারে চিতলমারী থানায় রমজান আলীর পক্ষে একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এব্যাপারে মুঠো ফোনে আল-মামুন সাংবাদিকদেও জানান, সকল অভিযোগ মিথ্যা ও সাজানো।