সোনাগাজীতে অনলাইনে আবেদনকারী মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই বন্ধের প্রতিবাদে ও দ্রুততম সময়ের মধ্যে যাচাই-বাছাই কার্যক্রম সম্পাদনের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। শনিবার সকালে সোনাগাজী পৌর শহরের জিরোপয়েন্টে (শূন্য রেখায়) এ কর্মসূচী পালন করেন আবেদনকারী মুক্তিযোদ্ধারা। সোনাগাজী উপজেলা অনলাইনে আবেদনকারী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সভাপতি জেডএম কামরুল আনামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিব উল্যাহর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, অনলাইনে আবেদনকারী মুক্তিযোদ্ধা জসিম উদ্দিন, হোসেন আহম্মদ, আবদুস সালাম, সাহাব উদ্দিন, সোলতান আহম্মদ, কালা মিয়া, দুধু মিয়া, ছুট্টু মিয়া ও নুরুল করিম সাইফুল প্রমূখ। এসময় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে নিজেদের জীবনবাজি রেখে ১৯৭১ সালে তারা মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। নানা প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তারা মুক্তিযেদ্ধা তালিকাভুক্ত হতে পারেননি। ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারা দেশের ন্যায় সোনাগাজী উপজেলার ৫৯২ জন মুক্তিযোদ্ধা অনলাইনে আবেদন করেন। আবেদনকারী মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই কার্যক্রম গত ১০আগস্ট থেকে ২১ আগস্টের মধ্যে সম্পন্ন করার জন্য জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল জামুকা গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন। কিন্তু উক্ত যাচাই-বাছাই কমিটি যথোপযুক্ত নয় বলে দাবি করে স্থানীয় সংসদ সদস্য লেফট্যানেন্ট জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী ফেনী জেলা প্রশাসকের কাছে ডিও পত্র দিলে গত ৮ আগস্ট অনিবার্যকারণ দেখিয়ে এ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এ নিয়ে তৃতীয়বার এ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। গত ৬ বছর ধরে এ কার্যক্রম স্থগিত থাকায় আবেদনকারীরা রাষ্ট্রীয় সকল সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অনেকে চিকিৎসার অভাবে যথাযথ সম্মান না পেয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন। যারা বেঁচে আছেন তারা অধিকার ফিরে পাওয়ার আশায় এমপির বাড়ি, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারদের বাড়ি এবং সরকারি অফিসের বারান্দায় বারান্দায় ঘুরছেন। দ্রুত যাচাই-বাছাই কার্যক্রম সম্পন্ন করা না হলে মুক্তিযোদ্ধারা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও রেল পথ অবরোধসহ বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দেন।