চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
গতকাল সোমবার বিএনপির চেযারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমনে সরকারের হামলা-মামলা ও নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে বলেন, চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করতে সরকার বিভিন্ন কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়ে বিরোধী ও ভিন্ন মতের নেতা-কর্মীদের পূর্বের ন্যায় দমন কৌশল অবলম্বন করছে। হামলা, মামলা, গ্রেফতার নিজেরাই বোমা পুতে রেখে বিরোধী মতের নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা, নিজেদের অফিস নিজেরাই ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিরোধী মতের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার পুরোন প্রক্রিয়া শুরু করেছে। সাংবাদিক সম্মেলনের পর গণমাধ্যমের কাছে লিখিত পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। পরিসংখ্যানটি দৈনিক খবরপত্রের পাঠকদের জন্য তুল ধরা হলো: জ্বালানী তেলসহ নিত্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে, গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের লক্ষে ঘোষিত কর্মসূচী পালন করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে ভোলার আব্দুর রহিম, নূরে আলম, নারায়ণগঞ্জের শাওন প্রধান, মুন্সিগঞ্জের শহিদুল ইসলাম শাওন ও ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার নয়ন মিয়া পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে। এছাড়াও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা যশোরে আব্দুল আলিম, বাগেরহাটে নূরে আলম ভূইয়া তনু, নারায়ণগঞ্জে মো: অমিত হাসান, সিলেটে আ ফ ম কামাল নির্মম ভাবে হত্যা করেছে। ২২ আগষ্ট থেকে ২১ নভেম্বর ২০২২ পর্যন্ত সারা দেশে ৯৬টি মামলা দায়ের করেছে, ৪ হাজার ৪শত ১২ জনকে এজাহারভূক্ত আসামি করেছেন, ১০ হাজার ৬শ ৬৪ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করেছেন, ৪৪৫ জনকে গ্রেফতার করেছেন। আগামী ১০ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ বাধাগ্রস্ত করার কৌশল হিসাবে ইতিমধ্যে ঢাকা মহানগরীর উত্তরে ৫টি মামলা এবং ৬২ জনকে গ্রেফতার করেছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিনে নবীউল্লাহ নবীসহ ২৪৫ জনের নামে ১০টি মামলা করেছেন। ঢাকা জেলার সাভারে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক সংসদ সদস্য দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবু সহ ৩২ জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন, কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় ২টি মামলা দায়ের করেছেন। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য : গ্রেফতারকৃত নেতৃবৃন্দের নামের তালিকাঃ ৬২ জন ১/ মিজানুর রহমান বাচ্চু “সদস্য “ ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি ২/ হুমায়ূন কবির রওশন “সদস্য” ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি ৩/ আবুল কালাম আজাদ সাবেক সভাপতি বনানী থানা বিএনপি ৪/ আবদুর সাত্তার সভাপতি ২০ নং ওয়ার্ড, বিএনপি বনানী থানা। ৫/ মিজানুর রহমান আক্তার সাধারন সম্পাদক ২০ নং ওয়ার্ড, বিএনপি বনানী থানা। ৬/ চান মিয়া সর্দার সাধারণ সম্পাদক সেচ্ছাসেবক দল বনানী থানা। ৭/ আব্দুল আল- মামুন সাবেক সভাপতি গুলশান থানা যুবদল।
৮/ ওয়েদুরজ্জামান ফরহাদ সভাপতি ৬ নং ওয়ার্ড, পল্লবী থানা। ৯/ আহসানুল্লাহ বাবুল সাধারণ সম্পাদক ৯১ নং ওয়ার্ড, বিএনপি পল্লবী থানা।
১০/ আকিল আহমেদ সিনিঃ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ২ নং ওয়ার্ড, বিএনপি পল্লবী থানা। ১১/ আবুল কালাম আজাদ নাছির সভাপতি ঢাকা মহানগর পশ্চিম ছাত্রদল। ২০/১১/২০২২ইং তারিখে: বাড্ডা থানায় ফ্লাট সংক্রান্ত চাঁদাবাজী মামলায় গায়েবি ভাবে বিএনপি ও অংঙ্গ সংগঠন নেতাকর্মীদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র গ্রেফতারকৃত নেতৃবৃন্দের তালিকা: ১। ইউসুফ বিন কালু, সাবেক সহ-সভাপতি, যুবদল ২। রফিকুল ইসলাম হাওলাদার, সাবেক সহ-সভাপতি, স্বেচ্ছাসেবক দল ৩। আব্দুস সাত্তার, যুগ্ম আহ্বায়ক, ১ নভেম্বর ২০২২ জনসন রোড থেকে ৪। রাইসুল ইসলাম চন্দন, যুগ্ম আহ্বায়ক, ২০ নং ওয়ার্ড, ৩ নভেম্বর ২০২২ সেগুনবাগিচা থেকে ৫। হারুনুর রশিদ গংগা, সাংগঠনিক সম্পাদক, বাসাবো, ৩ নভেম্বর ২০২২, বাসভবন থেকে ৬। জসিম উদ্দিন পাবেল, সহ-সভাপতি, বাসাবো, ৩ নভেম্বর ২০২২, বাসভবন থেকে ৭। ইসমাইল হোসেন, মতিঝিল থানা বিএনপি, ৫ নভেম্বর ২০২২ গুলশান থেকে ৮। আবুল বাশার, সদস্য সচিব, ৮ নং ওয়ার্ড, ৫ নভেম্বর ২০২২, বাসভবন থেকে ৮। শামীম রহমান, পল্টন থানা বিএনপি, ৫ নভেম্বর ২০২২, বাসভবন থেকে ১০। মতিউর রহমান, পল্টন থানা বিএনপি, ৫ নভেম্বর ২০২২, বাসভবন থেকে ১১। লোকমান হোসেন ফরিক, সদস্য, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি, ৫ নভেম্বর ২০২২, শান্তিনগর থেকে ১২। হারুন উর রশিদ হারুন, যুগ্ম আহ্বাক ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি, ৮ নভেম্বর ২০২২, ইস্টান প্লাজা মার্কেট শান্তিনগর থেকে ১৩। মিজানুর রহমান ভান্ডারী, আহ্বায়ক, ৪৮ নং ওয়ার্ড, ১৮ নভেম্বর ২০২২, যাত্রাবাড়ি থেকে ১৪। মো: সুমন, বিএনপি কর্মী, ১৮ নভেম্বর ২০২২, যাত্রাবাড়ি থেকে ১৫। মামুন সরদার, বিএনপি কর্মী, ১৮ নভেম্বর ২০২২, যাত্রাবাড়ি থেকে ১৬। মো: আনিছ, ৪০ নং ওয়ার্ড বিএনপি, ১৮ নভেম্বর ২০২২, গেন্ডারিয়া থানা থেকে ১৭। জাহিদ হোসেন, সদস্য, বিএনপি ১৮। ইয়াকুব হোসেন, সদস্য, বিএনপি ১৯। রিপন হাওলাদার, সদস্য, বিএনপি ২০। ইমাম হোসেন, সদস্য, বিএনপি ২১। স¤্রাট শিকদার, সদস্য, বিএনপি ২২। মো: রফিকুল ইসলাম, সদস্য, বিএনপি ২৩। মোঃ আবু তাহের আহ্বায়ক পল্টন থানা শ্রমিক দল ২৪। মোঃ জামাল ফরাজী যুগ্ম আহ্বায়ক পল্টন থানা শ্রমিক দল মানিকগঞ্জ জেলায় ৬৩ জনের নাম উল্লেখ করে ৪টি মামলা দায়ের করেছেন এবং ১ জনকে গ্রেফতার করেছেন। মুন্সিগঞ্জ জেলায় ৬২ জনের নাম উল্লেখ করে ২টি মামলা দায়ের করেছেন বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমাজ সেবা বিষয়ক সম্পাদক ও মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপি সদস্য সচিব কামরুজ্জামান রতনকে পুরোন মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে আটকে রেখেছেন। নারায়গঞ্জের সোনারগাঁয়ে ৫০ জনকে আসামী করে ১টি মামলা দায়ের করেছেন। নরসিংদী জেলায় ৮৬ জনের নাম উল্লেখ করে ৪টি মামলা করেছেন এবং ৭ জনকে গ্রেফতার করেছেন :১। সাইফুল ইসলাম সোহেল, সদস্য জেলা বিএনপি ২। মনিরউজ্জামান মনির, সাধারণ সম্পাদক, করিমপুর ইউনিয়ন বিএনপি ৩। কাইয়ুম সরকার, সাধারণ সম্পাদক, আলোকবাসি ইউনিয়ন ৪। আব্দুল বাতেন, যুগ্ম আহ্বায়ক, চিনিশপুর ইউনিয়ন ৫। তোফাজ্জল হোসেন জামান, সদস্য শহর বিএনপি ৬। মাহবুবুর রহমান, কৃষক দল নেতা ৭। মো: কামাল ভূইয়া, সদস্য, জেলা কৃষক দল। টাঙ্গাইল জেলায় কালীহাতিতে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে ১টি মামলা করেছেন এবং ৫ জনকে গ্রেফতার করেছেন ১/ আহসান হাবিব লাভলু,দপ্তর সম্পাদক কালিহাতি উপজেলা বিএনপি ও সাধারণ সম্পাদক দশকিয়া ইউনিয়ন বিএনপি ২/ ইকবাল হোসেন,যুগ্ম আহবায়ক কালিহাতি উপজেলা যুবদল ৩/ সাইদুল ইসলাম লাভলু মিয়া,সদস্য নাগবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপি
৪/ মোঃ শহিদ সিকদার,যুগ্ম আহবায়ক পারখী ইউনিয়ন যুবদল ৫. হাফিজুর রহমান তালুকদার, ইউনিয়ন বিএনপি নেতা। উল্লেখযোগ্য যারা গ্রেপ্তার হয়েছে। রাজশাহী বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করার লক্ষে সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ উপজেলায় জেলা বিএনপি’র সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য রুমানা মাহমুদ এবং বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সম্পাদক সাবেক এমপি সৈয়দা আশিয়া পাপিয়া কে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা করে আহত করেন , তাদের গাড়ি ভাংচুর করে ইতিপূর্বেও রুমানা মাহমুদের উপর ৩বার হামলা করেছে এবং পুলিশ তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে তিনি কোন মতে বেঁচে গেলেও তার পাশে থাকা মহিলা দলের নেত্রী মেরী পুলিশের গুলিতে দুই চোখ হারিয়ে আজ অন্ধ্য অবস্থায় দিন অতিবাহিত করছেন। উল্টো বিএনপি’র শতাধিক নেতা-কর্মীদের নামে মামলা দিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা সানোয়ারকে গ্রেফতার করে।
নাটোর জেলার গোপালপুর বিএনপি অফিসে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে অফিস ভাংচুর করে এবং অফিসে বোমা পেতে রেখে বিএনপি’র নেতা নজরুল ইসলাম মোলাম, সাইফুল ইসলাম রানাসহ বিএনপি নেতা-কর্মীদের নামে পুলিশ মামলা দায়ের করেন। ফেনী জেলায় গত রোববার ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ গুলি চালিয়ে প্রায় ২০ জন নেতা-কর্মীকে আহত করে এবং ইব্রাহিমকে গ্রেফতার করে। ফেনীতে জেলা ছাত্রদলের মিছিলে পুলিশের গুলি। আহত, ফেনী জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক কাজী নজরুল ইসলাম দুলাল, ফেনী জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মইনুল পারভেজ, ফেনী সদর উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন আরাফাত, ফেনী জেলা ছাত্রদলের সদস্য মোঃ শরিফ, মারুফ। গুলিবিদ্ধ ফেনী সদর উপজেলা ছাত্রনেতা জাহেদ হাসান রনি, মোঃ অপু, মোঃ মনির। পৌর ছাত্রনেতা মোজাম্মেল হোসেন অর্পন, মোঃ মুরাদ হোসেন, মারুফ, মামুন, রমজান, রবিন, আরমান। গ্রেফতার, ফেনী পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইব্রাহীম ইভু। পাঁচগাছিয়া ইউনিয়ন ছাত্রনেতা মোঃ রবিন। রাজবাড়ি জেলায় গতকাল পুলিশ বোমা উদ্ধারের নামে ছাত্রদলের ৫ জন নেতা-কর্মীকে গ্রফতার করে। নোয়াখালী জেলায় পুলিশ বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশী চালাছেন এবং গতরাতে স্বেচ্ছাসেবক দলের জেলার সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজানকে কোন মামলা ছাড়াই গ্রেফতার করেছেন। সিলেট বিভাগীয় গণ-সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতা-কর্মীদের উপর গুলিবর্ষণ করে প্রায় ৩০ জনকে আহত করেছেন এবং ৯টি মামলা দায়ের করেছেন শত শত নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে।