রক্ষণশীল দেশ কাতার, যেখানে মদ বিক্রি নিষিদ্ধ, সেখানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ২২তম ফুটবল বিশ্বকাপ। বিভিন্ন দেশ থেকে আসা নারী ভক্তরা চমৎকার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। বলেছেন, নিজ দেশ থেকে কাতারে নিজেদের বেশি নিরাপদ মনে করছেন তারা। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এমনটা বলা হয়েছে। ইংল্যান্ডের ভক্ত ১৯ বছর বয়সী মলোসন বলেন, ‘দেশটি নারীদের জন্য খুব বিপজ্জনক ভেবেছিলাম। এখানে নিরাপদে থাকব ভাবিনি। কিন্তু এখানে আসার পর আমার ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। একজন ভ্রমণকারী নারী ভক্ত হিসাবে বলতে পারি যে আমি খুব নিরাপদ বোধ করেছি।’ মলোসন ‘হার গেম টু’ নামে একটি ক্যাম্পেইনের অ্যাম্বেসেডর। তিনি জানান, তার বাবা এতোটাই উদ্বিগ্ন ছিলেন যে মেয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিনিও কাতারে গেছেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখা গেলো, তাদের খেয়াল রাখার জন্য কোনো অভিভাবকের প্রয়োজন ছিল না। তিনি বলেন, মদ বিক্রি নিষিদ্ধ হওয়ায় বিশ্বকাপের মধ্যেও এখানকার পরিবেশ ভালো। তারা খুব সংস্কৃতিমনা।
এই ইংলিশ তরুণী বলেন, ‘আমি খুব আমুদি একজন মানুষ। মজা করতে পছন্দ করি। তবে এখানকার পরিবেশ তেমন না। অন্যসব জায়গা থেকে আলাদা, খুব আলাদা। কিন্তু অনেক বেশি আন্তরিক তারা। অনেক বেশি বন্ধুসুলভ… কিন্তু ইংল্যান্ডের পরিবেশ এমনটা নয়।’
মলোসনের মতো আরেক ফুটবলভক্ত আর্জেন্টিনার আরিয়ানা (২১)। তিনি রয়টার্সকে বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে আসার আগে খুব উদ্বিগ্ন ছিলাম। কারণ এখানকার সম্পর্কে তেমন ধারণা ছিল না। তিনি বলেন, ‘দেশটি নারীবান্ধব। আমি ফুটবল খেলা খুব পছন্দ করি। যখন আমি আমার দেশে ছিলাম, তখন মনে হয়েছিল কাতারের এই অংশটি মানে ফুটবল খেলার ব্যাপারটি শুধু পুরুষদের জন্য। নারীরা এখানে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে না। কিন্তু আমার ধারণা ভুল। আমি এখানে খুব ভালো অনুভব করছি। স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছি।’ ইংল্যান্ডের আরেক ফুটবলভক্ত এমা স্মিথকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, তার দেশে তিনি বেশি নিরাপদ নাকি কাতারে?
জবাব ছিল, ‘অবশ্যই আমি এখানে বেশি নিরাপদ বোধ করছি। কারণ এখানে মদ নিষিদ্ধ, তাই বেশি নিরাপদ মনে হচ্ছে নিজেকে।’ সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর