ভাত না খেলে চলে,গাঁজা না খেলে চোখে দেখি না,ভাতের পরিবর্তে গাজাই খাই, গাজা না খেলে বাঁচে না আমার প্রাণ-এমনটিই বলছিলেন ৯৩ বছর বয়সী মুনতাজ ফকির সাধু।জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের হাটবাড়ী মাঝিপাড়া গ্রামে তার বসবাস। গতকাল বৃহস্পতিবার মুনতাজ ফকির সাধু ও তার স্ত্রী নাজমা বেগমের বাড়ীতে তাদের সাথে আলাপ চারিতায় কথাগুলো বলেছেন। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,সরিষাবাড়ী উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের হাটবাড়ী মাঝিপাড়া গ্রামের মুনতাজ ফকির সাধু ছোট বেলা থেকেই গাঁজা সেবন করে আসছিল। সে বিভিন্ন সময়ে গাজা সেবন ও বিক্রি এবং বাড়ীর আঙ্গীনায় গাজার গাছ লাগানোর অপরাধে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে হাজতবাস করেছেন। এলাকার কথিত সাধু মুনতাজ ফকির ৬৫ বছর ধরে তার বাড়ির আঙিনায় গাঁজা চাষ করে সেবন ও বিক্রি ও তার বাড়ীতে গাজা সেবনের আড্ডা অব্যাহত রেখেছেন বলে স্থানীয়রা সাংবাদিকদের জানান। তার এ হেন কর্মকান্ডে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সচেতন এলাকাবাসী নিষেধ করলেও বৃদ্ধাংগুলি দেখিয়ে তার মত করেই চালাচ্ছেন কর্মকান্ড। মুনতাজ ফকিরের বিরুদ্ধে আইনি ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সচেতন মহল। মুনতাজ সাধু’র স্ত্রী নাজমা বেগম বলেন, কিনে খেতে পারে না তো গাঁজার গাছ গাইরাই খায়। না খেলে তো চলে না, হার্টফেল করে। এ ব্যাপারে ডোয়াইল ইউপি চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন রতন বলেন,ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে মুনতাজ সাধুকে গাঁজা সেবন ও বিক্রি করা নিষেধ করলেও তা অমান্য করে দীর্ঘদিন যাবৎ তার বাড়ীতে গাঁজার গাছ লাগানোসহ তার বসত ঘরে গাঁজা সেবনের আসর ও বিক্রি করে আসছে। আমরা এলাকাবাসী মুনতাজ ফকিরের বিরুদ্ধে আইনি ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।