বিদায়ী বছর ২০২২ সালে ছয় হাজার ৮২৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় সাত হাজার ৭১৩ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুই হাজার ৯৭৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন তিন হাজার ৯১ জন। নিহতের মধ্যে ৭৬ দশমিক ৪১ শতাংশ ১৪ থেকে ৪৫ বছর বয়সী।
গতকাল শনিবার (৭ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ। নয়টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার তথ্যের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদায়ী বছরে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ছয় হাজার ৮২৯টি। এতে নিহত হয়েছেন সাত হাজার ৭১৩ জন ও আহত হয়েছেন ১২ হাজার ৬১৫ জন। এর মধ্যে ১৯৭টি নৌ দুর্ঘটনায় ৩১৯ জন নিহত, ৭৩ জন আহত ও ৯২ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ৩৫৪টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ৩২৬ জন নিহত ও ১১৩ জন আহত হয়েছেন।
২০২২ সালে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে দুই হাজার ৯৭৩টি। এতে নিহত হয়েছেন তিন হাজার ৯১ জন ও আহত হয়েছেন দুই হাজার ১৫৪ জন। নিহতের মধ্যে ৭৬ দশমিক ৪১ শতাংশ ১৪ থেকে ৪৫ বছর বয়সী।
সারাদেশে ৮২ শতাংশ রেল ক্রসিং অরক্ষিত। গত বছরে এসব রেল ক্রসিংয়ে ৫১টি দুর্ঘটনায় ৭৯ জন নিহত হয়েছেন। বাকি ৩০৩টি দুর্ঘটনা ঘটেছে রেল ট্র্যাকে ও ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে। এসব দুর্ঘটনায় ২৪৭ জনের প্রাণহানি হয়েছে। সবগুলো ঘটনাই দায়িত্বহীনতা ও অসচেতনতার কারণে ঘটেছে। সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের অদক্ষতা, শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল ও তরুণ বা যুবকদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানোর কারণে।