ভাসমান দোকানদারনেপালের পোখারায় কাঠমান্ডুভিত্তিক ইয়েতি এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। গতকাল রোববার সকালে পোখারায় ৭২ জন আরোহী নিয়ে ইয়েতি এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪০ আরোহীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (১৫ জানুয়ারি) স্থানীয় সময়য় সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর এনডিটিভির। নেপালের সিভিল এভিয়েশন অথরিটির তথ্য অনুযায়ী, ইয়েতি এয়ারলাইন্সের ৯এন-এএনসি এটিআর-৭২ বিমানটি কাঠমান্ডু থেকে স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৩৩ মিনিটি উড্ডয়ন করে। উড্ডয়নের ২০ মিনিটের মধ্যে পোখরা বিমানবন্দরে অবতরণের সময় পুরাতন বিমানবন্দর ও নতুন বিমানবন্দরের মাঝামাঝি সেতি নদীর তীরে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। সংস্থাটির মুখপাত্র সুদর্শন বারতৌলা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আরোহীদের মধ্যে ৬৮ জন যাত্রী ও চার ক্রু সদস্য রয়েছেন। উদ্ধার অভিযান চলছে। এ ঘটনায় কেউ বেঁচে আছেন কিনা, এখনই বলা যাচ্ছে না।’ যাত্রীদের মধ্যে দুই শিশু ও ১০ জন বিদেশি নাগরিক রয়েছেন। তবে তারা কোন দেশের নাগরিক তা জানাতে পারেননি সুদর্শন বারতৌলা। এক স্থানীয় কর্মকর্তার বরাতে এনডিটিভি জানায়, বিধ্বস্ত হওয়ার পর বিমানে আগুন ধরে যায়। উদ্ধারকর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন।
পোখারায় বিধ্বস্ত উড়োজাহাজে বিদেশি যাত্রীরাও ছিলেন: নেপালের পোখারায় বিধ্বস্ত উড়োজাহাজে বিদেশি যাত্রীরাও ছিলেন। খবর দ্য কাঠমান্ডু পোস্টের। গতকাল রোববার সকালে পোখারায় ৭২ জন আরোহী নিয়ে ইয়েতি এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। আরোহীদের মধ্যে ৬৮ জন যাত্রী ছিলেন। ক্রু ৪ জন। কাঠমান্ডু পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, যাত্রীদের মধ্যে ১৫ জন বিদেশি ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৫ জন ভারতীয়। অন্যদের জাতীয়তা তাৎক্ষণিকভাবে জানানো হয়নি। বিধ্বস্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উড়োজাহাজটিতে আগুন ধরে যায়। কাঠমান্ডু পোস্ট বলছে, যাত্রীদের মধ্যে ৬২ জন প্রাপ্তবয়স্ক। বাকি ৬ জন শিশু।
উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। দেশটির কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। বিধ্বস্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উড়োজাহাজটিতে আগুন ধরে যায়। নেপালের সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ (সিএএএন) বলছে, উড়োজাহাজটি স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৩৩ মিনিটে কাঠমান্ডু থেকে পোখারার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। উড়োজাহাজটি আকাশে ওড়ার প্রায় ২০ মিনিটের মধ্যে পোখারায় বিধ্বস্ত হয়।