নারী পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী ও কোরিওগ্রাফার ইভান শাহরিয়ার সোহাগের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম মাহমুদা আক্তার শুনানি শেষে জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে দেন। ইভানের পক্ষে জামিন শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খান মাহমুদুল হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে লালবাগ থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই স্বপন কুমার জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নাকচ করেন। বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর নিকেতন থেকে ইভানকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ইভানকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কামরুজ্জামান। আসামিপক্ষ থেকে তার জামিনের আবেদন করা হয়। মামলার নথি না থাকায় আদালত আজ রোববার ইভানের জামিন শুনানির দিন ধার্য করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
জানা যায়, দুবাই পুলিশের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত মাসে মানবপাচারকারী চক্রের মূল হোতা আজম খান এবং তার চার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নৃত্যশিল্পী সোহাগকে গ্রেপ্তার করা হয়। সিআইডি সূত্র জানায়, এই চক্রটি মূলত দুবাইসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ড্যান্স বারে চাকরি দেওয়ার কথা বলে নারী পাচার করতো। দুবাইয়ে আজম খানের নিজস্ব হোটেল ও ড্যান্স বার আছে। দেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যারা নাচ-গান করে তাদের অধিক আয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পাচার করা হতো। সেখানে নিয়ে নৃত্যশিল্পীদের যৌন কর্মে বাধ্য করা হতো।
সিআইডি জানায়, গত ২ জুলাই আজম খান ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেন সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মৃণাল কান্তি দাশ। উল্লেখ্য, ইভান শাহরিয়ার সোহাগ নিজের নামে (সোহাগ ড্যান্স ট্রুপ) একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নাচে অংশ নেয় তার দল। ২০১৭ সালে নির্মিত ‘ধ্যাততেরিকি’ চলচ্চিত্রে নৃত্য পরিচালনার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি।