স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে একাধিক ফিচার যুক্ত হচ্ছে স্মার্টওয়াচে। হার্ট মনিটরিং, ইসিজি, অক্সিমিটারসহ নারীদের মিনিস্ট্রুয়াল পিরিয়ড, মানসিক স্বাস্থ্য, এমনকি ঘুমের অবস্থাও জানায় স্মার্টওয়াচ। বিশেষ করে অ্যাপল ওয়াচের এদিক থেকে জুড়ি মেলা ভার। অনেক সময় ব্যবহারকারীদের নানান সতর্কতা দিয়ে জীবন বাঁচিয়েছে অ্যাপল ওয়াচ। এবার একসঙ্গে দুজনের প্রাণ বাঁচাতে সহায়তা করলো অ্যাপল ওয়াচের স্বাস্থ্য ফিচার। আমেরিকার বাসিন্দা জেস কেলি এবং তার গর্ভের সন্তানের জীবন বাঁচিয়ে সংবাদের শিরোনামে অ্যাপল ওয়াচ।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে কেলি ছিলেন ৩৭ সপ্তাহের গর্ভবতী। ওই অবস্থায় তিনি যতটুকু শরীরচর্চা করতেন, তা মনিটরে রাখার জন্য অ্যাপল ওয়াচ ব্যবহার করতেন। একদিন হঠাৎ তিনি তার স্মার্টওয়াচে নোটিফিকেশন পান, তার হার্ট রেট বেড়ে গেছে অনেরটা। মিনিটে প্রায় ১২০ বিট। অথচ সে সময় তিনি কোনো পরিশ্রমই করছিলেন না। সমস্যা বুঝতে পেরেই হাসপাতালে যান। হাসপাতালে যাওয়ার পর চিকিৎসকেরা জানান, প্লেসেন্টাল অ্যাবরাপশনের শিকার তিনি। অর্থাৎ প্ল্যাসেন্টাটি জরায়ুর ভেতরের দেয়াল থেকে আলাদা হয়ে গেছে। জন্ম দেওয়ার ঠিক আগে এমনটা হয়ে থাকে। পরিস্থিতি বুঝে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকেরা। প্রাণে বাঁচেন মা ও শিশু দুজনই। অ্যাপল ওয়াচের মাধ্যমে করা যায় ইসিজি। সেই প্রযুক্তির মাধ্যমেই ব্যবহারকারীর হার্ট রেটের আপডেট দিতে থাকে স্মার্টওয়াচটি। এর আগেও অনেক মানুষের জীবন বাঁচাতে সহায়তা করেছে অ্যাপল ওয়াচ। কিছুদিন আগেই এক ষোলো বছরের কিশোরের রক্তে অক্সিজেন স্তর নেমে যাওয়ার বিপদ সংকেত যথাসময়ে পৌঁছে দিয়েছিল ওই ঘড়ি। চটজলদি শুরু হয় চিকিৎসা। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে