জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বুকে অতি আদরে ঠাঁই নিয়েছেন তারই সুযোগ্য কন্যা দেশরতœ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুজনের মুখেই হাসির ঝিলিক। এ যেন বাবা-মেয়ের নির্মল স্নেহের ছবি। বরিশাল শহরের বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়ামে এমন অবয়বেই নির্মাণ করা হয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় ম্যুরাল। বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের অনুদানের টাকায় ম্যুরালটি নির্মাণের উদ্যোগ নেন বরিশাল সিটি তরুন মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। এরইমধ্যে ম্যুরালটিকে নিয়ে বরিশালবাসীর মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। মেয়রকে প্রশংসিত করে ফেসবুকে অনেকে পোস্ট করেছেন। ম্যুরালের সামনের মূল ভিত্তির উচ্চতা ৫০ ফুট, প্রস্থ ৪০ ফুট। এর নকশা তৈরি করেছেন ঢাকার চারুকলার একটি দল। চিত্রটির রূপ দিয়েছেন চারুকলার শিল্পী রুদ্র। ম্যুরালের পেছনে রয়েছে সবুজ ও লালের মিশ্রনে জাতীয় পতাকার প্রতিকৃতি। ম্যুরালটি ইতিহাস-ঐতিহ্যের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বরিশাল শহরকে নতুন করে জাগিয়ে তুলেছে। এখন বরিশালের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের পাশাপাশি পর্যটকরাও এটি দেখতে আসছেন। শহরের শহিদ মিনার এলাকায় নির্মিত ম্যুরালটি দেখার জন্য অনেকেই আসছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা এ ম্যুরালে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকেন। শিল্পী রুদ্র ্র বলেন, বিদেশি উন্নতমানের টাইলসের বিভিন্ন রঙের টুকরা দিয়ে এটি চিত্রায়িত করা হয়েছে। চারজন সহযোগীকে সাথে নিয়ে দীর্ঘ ৪৫ দিন রাত-দিন পরিশ্রম করে এর নির্মাণকাজ করে যাচ্ছি। আরো ১৫ দিনের মতো হয়ত লাগবে। তিনি আরো বলেন, এটিই বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে বড় ম্যুরাল। এর আগে এত বড় ম্যুরাল দেশের ভিতর অন্য কোথাও নির্মাণ করা হয়নি। ম্যুরালটি করা হয়েছে রঙিন। আমি বিশ্বাস করি বঙ্গবন্ধু বেঁচে আছেন। এ ম্যুরালের মধ্যে তাকে আরো প্রাণবন্ত করা হয়েছে। নতুন প্রজন্মের সন্তানরা ম্যুরালটি দেখে বঙ্গবন্ধুর প্রতি আরো বেশি শ্রদ্ধাশীল হবে। প্রতিবছর বঙ্গবন্ধুর জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকীতে ম্যুরালের পাদদেশে হাজারো মানুষ সমবেত হবেন। তারা বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। আমরা এ ম্যুরালের সৌন্দর্য রক্ষার জন্য সব সময় যেন আন্তরিক থাকি সেদিকে লক্ষ রাখার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।