আমার দেখা অসাধারণ ব্যক্তিত্ববান একজন হলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বর্তমানে তিনি বিএনপি মহাসচিব। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে তিনি এখন নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অবশ্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে আন্দোলন-সংগ্রাম নতুন কিছু নয়। ১৯৬৯ সাল আইয়ুব শাসনবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে শুরু করে এই দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের এক প্রাণপুরুষ তিনি। তবে রাজনীতি নয়, শিক্ষক হিসেবে তিনি তার পেশাগত জীবন শুরু করেছিলেন। বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার হিসেবে ঢাকা কলেজসহ আরো কয়েকটি কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। পরে রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে স্থানীয় সরকারব্যবস্থার নির্বাচনে পৌরসভা চেয়ারম্যান হয়েছেন। বিপুল ভোটে নির্বাচিত সংসদ সদস্য হয়েছেন ও মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন দেশনেত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সরকারের আমলে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি সভাপতি হয়েছেন। কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছিলেন। ক্রমান্বয়ে নিবেদিতপ্রাণ রাজনীতিকভাবে ২০০৯ সাল ডিসেম্বর বিএনপি ৫ম জাতীয় সম্মেলনে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব হয়েছেন। ২০১১ সাল ২০ মার্চ তৎকালীন বিএনপি মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেন ইন্তেকাল করার পর ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হয়েছেন। ২০১৬ সাল ১৯ মার্চ বিএনপি মহাসচিব হন।
এতটা লম্বা সময়েও তাকে সামান্য বদনাম নিতে হয়নি। পুরোটা সময় তিনি সন্মান ও সততার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। বিগত সময়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়া তার সভা সেমিনারে বক্তব্য বিবৃতি ও সাক্ষাৎকারগুলো বাছাই করে প্রস্তুত করা হয়েছে এই বই। ইতি প্রকাশনা থেকে ৮০০ পৃষ্ঠায় প্রকাশিত হয়েছে। বইটিতে মহাসচিবের একটা ছোট্ট নতুন লেখাও রয়েছে। আর অর্থনীতিবিদ ডক্টর মহবুব উল্লাহ মুখবন্ধ লেখাটা দিয়েছেন।
প্রচ্ছদ ধারণা দিয়েছেন তার বড় মেয়ে মির্জা শামারুহের জামাতা লেখক ফাহাম আব্দুস সালাম। তিনি ‘বাঙালির মিডিয়োক্রিটির সন্ধানে’ বইয়ের লেখক। প্রচ্ছদ থেকে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন- আঁধারের অনেক গভীর থেকে ধীরে ধীরে আলোকরশ্মির মতো বের হয়ে এসেছেন।