সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:৫৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
উলিপুরে তিস্তা নদীর চরে সবুজের সমারেহ দাগনভূঞা ভূমি ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে চেক বিতরণ খুলনায় মাসব্যাপী একুশে বই মেলা শুরু শেখ হাসিনাকে দেশে এনে গণহত্যার বিচার করা ছাড়া বিএনপি ঘরে ফিরবে না-মামুনুর রশীদ মামুন শাহ এমদাদীয়া অটোমোবাইল ড্রাইভিং ট্রেনিং স্কুলের সনদ বিতরণ গৌরীপুরে ডা. মুকতাদির চক্ষু হাসপাতালে স্মৃতি জাদুঘর উদ্বোধন দুপচাঁচিয়ায় কিশোর ব্যাটমিন্টনে চ্যাম্পিয়ান সজিদ-সীমান্ত ধনবাড়ীতে ব্রোকলি চাষে সাফল্য, আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের জনগণের সেবা নিশ্চিতে নিরলসভাবে কাজ করা একজন ইউএনও “রানীরবন্দরের ইতিহাস” গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও দিনব্যাপী সাহিত্য আড্ডা-কবি ও বিশিষ্ট লেখক লুৎফর রহমানের

২২টি পরিবারের কাছ থেকে দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে লাপাত্তা প্রতারক চক্র: দিশেহারা পরিবারগুলো

হুমায়ুন কবির মুন্সীগঞ্জ :
  • আপডেট সময় সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
১.প্রতারক স্বামী ও স্ত্রী ২.ছেলে ৩.স্ত্রী ৪.স্ত্রীর এনআইডি

দেড় কোটি টাকা আত্মসাৎ করে লাপাত্তা প্রতারক চক্রের পরিবারের সকল সদস্য। টংগীবাড়ি উপজেলার উত্তর বেতকার মাসুদা বেগম(৩৯) তার ছেলে সবুজ ঢালী ও নাতী নাইম ঢালী। তিনজন মিলে প্রায় দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। মাসুদা বেগম ছেলে ও স্বামীকে ফ্রান্সে পাঠানোর কথা বলে ২২টি পরিবারের কাছ থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। নামে বে-নামে একেজনের কাছ হতে এন আই ডি ফটো কপি সংগ্রহ করে বিভিন্ন এনজিও থেকে লোন নিয়ে থাকেন এই প্রতারক পরিবারটি। গতকয়েকদি হয় অনত্র পলাতক থাকার পরে এলাকায় হই হুল্লর পরে এই পরিবারটি একটি প্রতার চক্র। অনেকেই সাংবাদিকদের কাছে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন। অর্থ লোন দেয়া প্রতিষ্ঠান গুলোর তালিকায় রয়েছে ঊষা, গাক, টিএমএস, পপি, সাজেদা, ব্যংক, পিদম, এবং স্বিদিপ। অভিযোগ রয়েছে লোভী মরে মিথ্যুকের কাছে। ৫লাখ টাকা দিলে ১লাখ টাকা টাকা নগদ লাভ, ১০ লাখ দিলে নগদ ২লাখ টাকা লাভ, ৫০হাজার দিলে ২০হাজার টাকা নগদ লাভ। এমন নগদ লাভ পেয়ে আদরিয়াতলার ২২ জনের কাছ থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্র। ২২টি পরিবারর এখন পথে বসেছে। মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে আদারিয়াতলার ক্ষতিগ্রস্থ মো: সিরাজুল ইসলাম(৫৪) বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ২২টি পরিবার এখন জীবন মরণ প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিস্তির টাকা কিভাবে শোধ করবে তা কিছুই বুঝতে পারছেন না। প্রতারক চক্রটি এতটাই নিষ্ঠুর যে, আপন ভাগিনীর কাছ থেকে ২০লাখ টাকা কিস্তি উঠিয়ে নিয়েছে। অভিযোগের সূত্র ধরে জানা যায়, মাসুদার স্থায়ী বাড়ি টঙ্গীবাড়ি উপজেলার বেতকা হাটের মো: নুরুল ইসলামের মেয়ে। সে বাসা ভাড়া নিয়ে আদারিয়ালা বসবাস করে আসছিল। প্রতারক চক্রের মধ্যে রয়েছে মাসুদা বেগম(৩৯), স্বামী মো: সবুজ ঢালী(৪৭), ছেলে নাইম ঢালী(২৪)। মাসুদা, স্বামী সবুজ ঢালী ও ছেলে নাইম ঢালী তিন সদস্যের পরিবারটি ১৩/১৪ বছর যাবত এলাকায় বসবাস করে আসছিল। ১নং বিবাদী তার স্বামী ও ছেলেকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে বাড়ীর বিভিন্ন প্রতিবেশীদের নিকট থেকে টাকা ধার হিসেবে চায়। মাকসুদা ঠকবাজি ও প্রতারনা করে বাদী সিরাজুল ইসলামের কাছ থেকে ২৫ লাখ টাকা ,প্রতিবেশী মাইম ২৫লাখ, নারগীসের ২০লাখ, পলি বেগম ৪লাখ, হাফছা বেগম ৫০হাজার, কুলসুম বেগম ৫০ হাজার, ঝর্ণা বেগম ১লাখ ৭০ হাজার, রাজিয়া ২০ হাজার, শাহীদা ৪লাখ ২০হাজার, ফরিদা ৫০ হাজার, রীমা ১০লাখ ১০হাজার, রহিমা ৪০হাজার, মাইমুনা ৫০হাজার, সম্পা ৮লাখ, রোকসানা ৫লাখ, রোকেয়া ১৪লাখ, সালমা ১১লাখ, পুলুক ১লাখ ১০হাজার, আনোয়ার ৫০ হাজার, মুন্নী ৪০হাজার, নাদিয়া ১লাভ ২০হাজার এবং জুলেখা ৩লাখ টাকাসহ সর্বমোট ১ কোটি ৩৬লাখ ৮০হাজার টাকা নিয়া পালিয়ে যায়। বর্তমানে সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজ করিয়া এবং বিবাদীদের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করিয়াও বিবাদীদের কোন সন্ধান পাওয়া যাইতেছে না। উল্লেখ্য, আমি সহ আমি বাড়ীর প্রতিবেশী লোকজনেরা বিভিন্ন ব্যাংক, এনজিও, কিস্তি অফিস থেকে টাকা উঠাইয়া বিবাদীদের উক্ত টাকা প্রদান করিয়াছে ভোক্তভোগী পরিবারগুলো। পরবর্তীতে আরও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিবাদীরা এলাকার আরও লোকজনদের নিকট থেকে টাকা ধার হিসেবে গ্রহণ করেছে। ২২টি পরিবার এখন নি:স্ব। নিজস্ব টাকায় ক্রয়করা বাড়িটিও গোপনে ১৬ লাখ টাকায় বাড়িটি বিক্রি করে দিয়েছে প্রতারক চক্রটি। কাউকে না জানিয়ে গোপনে বাড়িটি বিক্রি করে দিয়ে সেই বাড়িতেই ভাড়া থাকতো স্বামী ও ছেলেকে নিয়ে মাসুদা বেগম। আপন বোনের মেয়ে ভাগনী ছুম্পা জানান, মাসুদার স্বামী মালয়েশিয়া থেকে আসছে ৬/৭মাস ধরে। ছেলে ও স্বামীকে ফ্রন্স পাঠাবে তাই পদক্ষেপ এনজিও থেকে ৫লাখ, এম্বাসীতে গিয়েছে ম্যাসেজ আসছে টাকার জন্য টিকিট কাটতে পারতেছে না। গ্রামীন ব্যাংক বনিক্য পাড়া থেকে ৭লাখ টাকা। ছুম্পার নামে ৩লাখ তুলে দিয়েছেন। সৌদি আরব গিয়েছে নবেম্বরে। আলু বাবদ ৫ লাখ টাকা ঋণ নেয় গ্রামীন ব্যাংক থেকে। এ বিষয় স্বিদিপ অর্থলগ্নীর কর্মকর্তার সাথে কথা হয় প্রতিষ্ঠানের এরিয়া প্রধান ঝন্টু(৩২) সাথে। তিনি বলেন আমরা যাদের অর্থ লগ্নী দেই তাদের রের্কড দেখেই দেই। মুন্সীগঞ্জ সদরে আদারিয়াতলায় মাসুদার সেই সমর্থন আছে। যখন বলা হয় মোটা অংকের ঠাকা কিসের বলে দেওয়া হলো? এমন প্রশ্নের উত্তরে ঝন্টু বলেন মাসুদার লেন দেন ভালো, তবে মাসুদার কাছে কখনই কিস্তির টাকার জন্যে যেতে হয় নাই, সে নিজে অফিসে এসে কিস্তি দিয়ে যেতেন। এখন কি অবস্তা বলার পরেই ঝন্টু বলেন কয়েক দিন আগে মাসুদার সেল ফোনে কল দিলে ফোন বন্ধ পাই। যখন বলা হয় মাসুদা এলাকা থেকে পলায়ন, এমন কথার পরিপেক্ষিতে ঝন্টু বলেন কোন সমস্যা নাই মাসুদার পক্ষে যে নমনী তার মাধ্যমে অর্থ আদায় করবো। এত টাকা কেনো মাসুদাকে দেওয়া হলো? ঝন্টু বলে আমরা ভালো ব্যক্তি হলে ১০ লক্ষ টাকাও দিয়ে থাকি। এ বিষয় ঊষা অর্থ লগ্নী প্রতিষ্ঠানের সিও পরিচয়ে কথা বললেও নাম বলতে নারাজ। তার মোবাইল ফোনে পত্রিকার প্রতিনিধি জানালেও তার কাছে সাংবাদিক পরিচয় যতোই দেয়া হয় সে তার অফিসে এস কথা বলতে বলেন। এমন ও বলা হয় মাসুদার সাখে অনৈতিক সুবিদার মাধ্যমে এলাকার ২২টি পরিবারকে পথে বসার বিষয় উপলব্দি করে কথার উত্তর দেন, কিন্তু সেই দিকে কোন উত্তর না দিয়ে সিও সাহেব সাংবাদিকতার কার্ড দেখতে বারংবার অফিসে চা খাওয়ার জন্য দাওয়াত দিয়ে খায়ে থাকেন । এমন বিরক্তকর অবস্তায় বলা হয় এই অর্থ আদায়ে আদারিয়াতলার ২২টি পরিবারের কেউ কোন আত্ম হত্যা করলে কার উপর দায় হবে? এমন কথার পরিপেক্ষিতে সিও সাংবাদিককে মামলার হুমকী দিয়ে থাকেন। কথা হয় টিএমএস, এর ফিলাড সুপারভাইজার সোলাইমান হোসাইন(৩৬) এর সাথে তিনি জানান মাসুদার কাছে সদর থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফাইজুর খান জানান, অভিযোগ হাতে পেয়েছি ক্ষতিগ্রস্থদের কাছে বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আসলাম সৌদি আরব প্রবাসী।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com