ভূয়া দলিল দেখিয়ে ৬ শতাংশ জমি নতুবা ৬০ লক্ষ টাকা দাবী করে নির্মানাধীন কাজ বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ নিয়ে মঙ্গলবার মাধবদী প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মানিক চন্দ্র কর্মকার। সাংবাদ সম্মেলনে মানিক চন্দ্র কর্মকার তার লিখিত বক্তব্য পাঠ করে বলেন নরসিংদী-মদনগঞ্জের সাবেক রেলওয়ের সম্পত্তির লীজ পজিশন চুক্তিপত্র দলিল মূলে এম.এ. হান্নানের ছেলে এম.এ শাহিন মাহমুদ বাবুল ও মিজানুর রহমানের ছেলে মামুন গংদের নিকট হতে ৬.৮০ শতাংশ ও জাহাদ আলীর ছেলে মোতালীবের নিকট হতে ০৫ শতাংশ মোট ১১.৮০ শতাংশ সম্পত্তি খরিদ সূত্রে মালিক হয়ে প্রায় ১০/১২ বছর যাবৎ ভোগ দখল করে আসছি। ইতোমধ্যে গত ২৮ আগস্ট ২০২০ইং তারিখে উক্ত জমিতে ঘর নির্মান করতে গেলে আটপাইকা গ্রামের ভূমি দস্যু আঃ গফুরের ছেলে মজলিশ প্রধান, মজলিশ প্রধানের ছেলে আল-আমিন ও তার ভাই মহিষাশুরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রুবেল, চাঁন মিয়ার ছেলে মজিদ সহ মাধবদী থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুদ রানা ও সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন নির্মানাধীন কাজে বাধা প্রদান করে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে আমি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ডা. এনামুল হক শাহিন ও মাধবদী থানা প্রশাসনের সহযোগিতায় শান্তি পূর্ণভাবে কাজ করে আসছি। এরই মধ্যে মহিষাশুড়া ইউপি চেয়ারম্যান ডাঃ এনামুল হক শাহিন আমাকে সহ ছাত্রলীগ সভাপতি মাসুদ রানা ও সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনকে তার কার্যালয়ে ডেকে পাঠান। এ সময় ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুদ রানা ও সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন একটি ভূয়া দলিল দেখিয়ে আমার কাছে ৬শতাংশ জমি ছেড়ে দিতে বলে নতুবা ৬০ লক্ষ টাকা দিতে হবে বলে জানায় অন্যথায় কাজ বন্ধ থাকবে, আর যদি এই জমির উপর কাজ করিস তাহলে তোকে সহ তোর পরিবারকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করেন। মানিক চন্দ্র কর্মকার আরো বলেন চাঁদাবাজ ছাত্রলীগ সভাপতি মাসুদ রানা ও সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ও মজলিশ প্রধান গংদের ভয়ে তার দখলীয় সম্পত্তিতে কাজ বন্ধ রেখে মানবেতর জীবন যাপন করছে। যেকোনো মুহূর্তে ছাত্রলীগের এই দু’নেতা ও মজলিশ প্রধান গংরা আমার ওপর হামলা করে ক্ষতিসাধন করতে পারে। তিনি এ ব্যাপারে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সহযোগীতা প্রার্থনা করছেন।