বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার ফল বাজারে উঠতে শুরু করেছে গ্রীষ্মকালীন মৌসুমি ফল তরমুজ। শহরের ফলের দোকানগুলোতে তরমুজ প্রচুর পরিমাণে আসতে শুরু করেছে। বিক্রির পরিমাণও দিন দিন বাড়ছে বলে বলে জানান বিক্রেতারা। সান্তাহার পৌর শহরের বাজারগুলোতে ও সড়কের পাশে তরমুজ বিক্রি করতে দেখা গেছে। ফলের দোকানগুলোতে প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে। তরমুজ কিনতে আসা ক্রেতা নেহাল আহমেদ বলেন, গ্রীষ্মকালীন একটি জনপ্রিয় ফল তরমুজ। এটি শুধু শীতলকারক, তৃষ্ণা নিবারক ও প্রশান্তিদায়কই নয়, চিকিৎসকদের মতে তরমুজে সাইট্রুলিন নাইট্রিক অক্সাইড উৎপাদন করে। বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের ডা. দেলোয়ার হোসেন বলেন, তরমুজ উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। টিউমারের বৃদ্ধি হ্রাস করে, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় এবং এর বিটা ক্যারোটিন হৃদযন্ত্রের শক্তি ও কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক প্রতিহত করে। এতে বিদ্যমান পটাশিয়াম ফ্লুরিড ও মিনারেলের ভারসাম্য ঠিক রাখে, মাংস পেশির অতিরিক্ত সংকোচন দূর করে। এটি ফুসফুস, যকৃত কিডনি ও পাকস্থলীকে শক্তিশালী করে। পেপটিক আলসার সৃষ্টিতে বাধা দেয় এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এ বিষয়ে সান্তাহার রেলগেটের তরমুজ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম রাঙ্গা জানান, বর্তমানে বাজারে পতেঙ্গা, কুয়াকাটা, বরিশালসহ বিভিন্ন জেলার মোকাম থেকে কালো ও বাংলালিংক জাতের এই তরমুজ কিনে নিয়ে এসে বিক্রি করছি। ওই ব্যবসায়ী আরও জানান, প্রতি বছর এই মৌসুমি ফলের ব্যবসা করি। এ অঞ্চলে তরমুজের আবাদ তেমন হয় না। কয়েকটি এলাকাতে আবাদ হলেও এই সময়ে বাজারে আসে না। আমরা বরিশাল থেকে তরমুজ নিয়ে এসে বিক্রি করি। এর স্বাদ ভালো থাকায় বাজারে চাহিদা আছে। বেশ কয়েক দিন ধরে বিক্রি করছি। বেচাকেনা এখনও সেভাবে জমে ওঠেনি। তবে রমজান মাসে বেচাকেনা জমে উঠবে।