হঠাৎ কাল বৈশাখীর প্রভাবে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে অঝোরে বৃষ্টি-বাদল। চারদিকে বৃষ্টির পানিতে হৈ চৈ! নিমিষেই ডুবে গেল সাদা স্বর্ণ খ্যাত লবণ উৎপাদনেরস্থান। এতে এলোমেলো হল প্রান্তিক চাষীদের স্বপ্ন। অন্যদিকে চাহিদা মিটাইতে হিমশিমে পড়ে। জানা গেছে উপকূলীয় অঞ্চল কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় কুতুবজোম, বড় মহেশখালী, হোয়ানক, কালারমারছড়া, শাপলাপুর, ছোট মহেশখালী, মাতারবাড়ী ধলঘাটা ইউনিয়নদ্বয়ের অধিকাংশ জনসাধারণ লবণ চাষের উপর নির্ভরশীল। শুষ্ক মৌসুমে প্রান্তিক চাষীরা কানি প্রতি ১৩০-১৬০ মন পরিমান লবণ উৎপাদন করতে সক্ষম হন। তবে চৈত্রের শুরুতে হঠাৎ কাল বৈশাখীর প্রভাবে ভারী বর্ষণ লবণ উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটে। এতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় চাষীরা। এদিকে মহেশখালীর প্রবেশদ্বার চালিয়াতলী কিছু দালাল সিন্ডিকেট চাষীদের মন প্রতি মূল্য পরিশোধ করেন ২৫০-৩০০ টাকা। সামান্য দুরুত্বে একটু দক্ষিণে লবণের মূল্য ৩০০-৪০০ টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত চাষী জাকের, সেলিম, শুক্কুর, সোহাগ জানান, রোদে পুড়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে লবণ মাঠে নিরলস পরিশ্রম করেছি। এ মৌসুমে লবণ উৎপাদনও কম!ঠিকমতো লবণ ন্যায্য দাম দেয়নি দালাল সিন্ডিকেট! তৎমাঝে আল্লাহ প্রদত্ত রহমতের বৃষ্টি। ফলে অঙ্কিত স্বপ্ন এলোমেলোর পথে। কিভাবে তোলব জমির খেসারত এবং পলিথিনের মূল্য! মোটাংকের ঋণের বুঝা মাথায় পড়ার সম্ভবনায় চিন্তায় দিশাহারা। এমনটি ভাষ্য প্রান্তিক চাষীদের। লবণ ব্যবসায়ী আমান উল্লাহ আমান জানান, লবণ উৎপাদন কম হলেও, দাম ছিলো পর্যাপ্ত। কিছু ব্যবসায়ী লভ্যাংশ বেশির জন্য প্রান্তিক চাষীদের ন্যায্য মূল্য দেননি বলে শোনেছি। চাষী বাঁচলে, দেশ বাঁচবে।” আমার কয়েকশত চাষা আছে, তাদের কিন্তু ন্যায্য মূল্য পরিশোধ করে মুনাফা কম নিয়েছি।