মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রমজানের প্রথম দিন থেকে রাজধানীতে সুলভমূল্যে দুধ, ডিম ও মাংসের ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বাজারের তুলনায় দাম কম হওয়ায় চাহিদা বাড়ছে এসব বিক্রয়কেন্দ্রের পণ্যে। আগামী ২৮ রমজান পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর সচিবালয়ের পাশে (আবদুল গণি রোড) ও সেগুনবাগিচায় (কাঁচাবাজার) ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে বিক্রয়কেন্দ্রগুলোতে। আর নির্ধারিত পরিমাণের তুলনায় বাড়তি পণ্য নেওয়ার আবদার করছেন অনেকে।
পণ্য নিতে আসা রিকশাচালক আব্দুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘বাজারের চেয়ে এই হানে দাম কম, তাই এহানতে মাংস নিতে আইছি। আমি ১৫০ টাকা দিয়া আধাকেজি মুরগির মাংস নিছি। এমন কম দামে পাইলে আমরা একটু কিন্না খাইতে পারি। পরশু দুপুরেও আরেকটা এমন দোকানে গেছিলাম। হেই জায়গায় সব শ্যাষ হইয়া গেছিল।’ সচিবালয়ের পাশের বিক্রয়কেন্দ্রে পণ্য কিনতে আসা সামসুল আলম বলেন, ‘এখানে কম দামে মাংস, দুধ, ডিম পাচ্ছি, সেটা খুবই প্রশংসনীয়। তবে এর পরিমাণ আরও বাড়ানো দরকার। কারণ এসব বিক্রয়কেন্দ্রের চাহিদা কিন্তু বেড়েছে। রমজানের এ কদিন এখান থেকেই কিনেছি, দুপুরে আসলে কিন্তু আর পাই না। তাই পণ্যের পরিমাণ আরও বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করি।’
বিক্রয়কর্মী শহিদুল ইসলাম বাবু বলেন, ‘আগের চেয়ে মানুষের আগ্রহ বেশি। আগে সকালে ভিড় কম থাকতো, এখন সকাল থেকে মানুষের ভিড় থাকে। পণ্য বিক্রি শেষও হয় দ্রুত।’ রাজধানীর নতুন বাজার (বাড্ডা), কড়াইল বস্তি, খামারবাড়ি, আজিমপুর মাতৃসদন, গাবতলী, দিয়াবাড়ী (উত্তরা), জাপান গার্ডেন সিটি, ৬০ ফুট রোড, খিলগাঁও (রেলক্রসিংয়ের দক্ষিণে), সচিবালয়ের পাশে (আবদুল গণি রোড), সেগুনবাগিচা (কাঁচাবাজার), আরামবাগ, রামপুরা, কালশী (মিরপুর), যাত্রাবাড়ী (মানিকনগর গলির মুখে), বছিলা, হাজারীবাগ (সেকশন), লুকাস মোড় (নাখালপাড়া), নয়াবাজার (পুরান ঢাকা) এবং কামরাঙ্গীর চর এলাকায় সুলভমূল্যে এসব পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্রে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৪০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি ৯৪০ টাকা, ড্রেসড ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ৩০০ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা এবং ডিম ডজনপ্রতি ১১০ টাকা মূল্যে বিক্রয় করা হচ্ছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুধ, ডিম ও মাংসের সরবরাহ ও মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে রমজান মাসে জনসাধারণ যেন প্রাণিজ আমিষ ও পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারে সে লক্ষ্যে ব্যবসায়ী, উৎপাদনকারী ও সাপ্লাই চেইন সংশ্লিষ্ট সবাইকে সঙ্গে নিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।