সুস্বাদু একটি তরকারির অন্যতম প্রধান উপাদান হলো কাঁচা মরিচ বা পাকা মরিচ। যা গুঁড়ো করে কিংবা পাটায় বেটে তরকারিতে ব্যবহার করা হয়। তরকারি হোক, নিরামিষ হোকএক-আধটু ঝাল চাই-ই চাই। পরিমিত ঝাল না হলে অনেকের কাছে তরকারি স্বাদহীন হয়ে যায়। গতকাল টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলা পরিষদে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের ছাদে গিয়ে দেখা গেছে, একপাশে কাঁচা মরিচের বাগান। টবে লাগানো কাঁচা মরিচের বাগান মরিচ গাছও অনেকটাই বড় হয়ে বাতাসে দোল খাচ্ছে। এগুলোতেও ফুল এসেছে। কিছুদিনের মধ্যেই ফল ধরবে। আসলাম হোসাইন এর কার্যালয়ের ছাদ মনে হচ্ছে যেন এক টুকরো সবুজ উদ্যান। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অসংখ্য রকমের মরিচ চাষ হচ্ছে। রয়েছে এর বিভিন্ন জাত। উল্লেখ্যযোগ্য জাত হলোÍরোপা ঝাল মরিচ, বোনা ঝাল মরিচ এবং মিষ্টি মরিচ। এই তিনটি জাতের মধ্যেও রয়েছে আরো অসংখ্য জাতের মরিচ। যেমন কামরাঙ্গা, বোম্বাই, কৃষ্ণকলি, ঘৃতকুমারী, সূর্যমুখী, সিটিন, বালিজুরী, জারলা, বারোমাসী, উবধা, পুষা জাওলা, বাইন, সাইটা, শিকারপুরী, ক্যালিফোর্নিয়া ওয়ান্ডার, ম্লিমপিম, ওয়ান্ডার বেল, ফুসিমি লংগ্রিন প্রভৃতি। যাদের বিশাল ছাদ খালি রয়েছে, তাদের উদ্দেশ্যে ধনবাড়ী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আসলাম হোসাইন বলেন, নগরের যান্ত্রিক জীবনে একটুখানি সবুজের ছোঁয়া পাওয়া সত্যিই দুস্কর। বাসার ছাদে নিজস্ব বাগান গড়ে তুলে আমরা প্রতিদিনের মুহূর্ত করে তুলতে পারি সবুজ সুন্দর। এই বর্ষায় যাদের বাসার ছাদে জায়গা আছে তারা গড়ে তুলতে পারেন বাগান। বারান্দায় ছোট পরিসরে বাগান করা যায়। দিন দিন ফসলি জমি কমে আসছে, কমছে সবুজ প্রকৃতি। বাড়ছে নগরায়ণ। প্রকৃতিতে উষ্ণতা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। যাদের ভবনের ছাদ খালি রয়েছে, তারা যেন এভাবে সবুজ বাগান গড়ে তোলেন। এতে বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি পরিবারে বিষমুক্ত সবজির জোগান দেওয়া সম্ভব হবে।