ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে বিশ্বব্যাপী। রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সমস্যাকে ডায়াবেটিস বলা হয়। ডায়াবেটিস বেড়ে গেলে কিংবা নিয়ন্ত্রণে না রাখলে শরীরের বিভিন্ন গুরুতর সব অঙ্গে এর প্রভাব পড়ে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডায়াবেটিস অ্যান্ড ডাইজেস্টিভ অ্যান্ড কিডনি ডিজিজেস দ্বারা পরিচালিত এক মার্কিন সমীক্ষা অনুসারে, ডায়াবেটিস চোখের মারাত্মক ক্ষতি করে। যা ঝাপসা দৃষ্টি থেকে একসময় অন্ধত্বের কারণ হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়াবেটিসের কারণে চোখে ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি হয়। সময়মতো ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি শনাক্ত ও চিকিৎসা করা না হলে ডায়াবেটিস রোগীর মারাত্মক বিপদ হতে পারে। এজন্য অবশ্যই নিয়মিত চোখ স্ক্রিনিং করাতে হবে।
এ বিষয়ে ভারতের শার্প সাইট আই হাসপাতালের সিনিয়র রেটিনা কনসালট্যান্ট ডা. সিদ্ধার্থ সাইন জানান, প্রায়ই অস্পষ্ট দৃষ্টি বা ঝপসা দেখার সমস্যা ডায়াবেটিসের লক্ষণ হতে পারে।
ধীরে ধীরে এই সমস্যা বাড়তে থাকে। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়লে চোখের লেন্স শরীরের বিভিন্ন টিস্যুর মতোই প্রচুর পরিমাণে তরল টেনে নেয়। যা ফোকাস করার ক্ষমতাকে নষ্ট করে।
তিনি আরও জানান, ডায়াবেটিসের কারণে আমাদের রেটিনায় নতুন রক্তনালি তৈরি হতে পারে। যদি নতুন রক্তনালিগুলো চোখের বাইরে তরলের স্বাভাবিক প্রবাহে হস্তক্ষেপ করে, তাহলে চোখের গোলায় চাপ তৈরি হতে পারে। ফলে গ্লুকোমার কারণে অপটিক নার্ভের ক্ষতি হয়। কারণ রক্তে অত্যধিক চিনির কারণে ক্ষুদ্র রক্তনালিগুলো বাধাগ্রস্ত হয় ও রেটিনা তার রক্ত সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।
ডায়াবেটিসের গুরুতর আরও যে লক্ষণ দেখা দেয়:>> চোখের সামনে ভাসমান কালো দাগ দেখা বা >> অন্ধকারে কোনো রং চোখে ভেসে ওঠা ইত্যাদি। এ ধরনের পরিবর্তনগুলো যদি চিকিৎসা ছাড়াই চলতে থাকে তাহলে রোগীর স্থায়ী অন্ধত্বের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের উচিত নিয়মিত চোখের পরীক্ষা করানো। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস