আন্তর্জাতিক পরিবেশ দিবস উপলক্ষে জাতীয় পার্টি মনোনীত মেয়র প্রার্থী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপস বলেন, আসুন সবাই মিলে আমাদের নগরীকে রক্ষা করি। বর্ষার মৌসুমে নগরীর ৫ লক্ষ মানুষ যদি ২টি করে গাছ লাগাই তাহলে ১০ লক্ষ নতুন গাছ লাগানো হবে।এটা খুব কঠিন কাজ না শুধু ইচ্ছা থাকলে হবে। তিনি বলেন, বরিশালের পরিবেশ এখন ভয়াবহ। কোন সাধারণ মানুষের পক্ষে নদী দখল, খাল দখল, রাস্তা দখল করা সম্ভব না। বর্তমানে যারা ক্ষমতায় আছে তাদের দখলবাজ বাহিনী এসব অবৈধভাবে দখল করে কেউ প্রতিবাদ করলে তার উপর নেমে আসে সীমাহীন নির্যাতন, মামলা ও হামলা। এভাবে নিরবে আর কত সহ্য করবেন এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সময় এসেছে। আগামী ১২ জুন লাঙ্গল মার্কায় ভোট দিয়ে দুঃশাসনের জবাব দিন।তিনি বলেন, আপনারা আমাকে নির্বাচিত করলে বরিশাল পরিবেশবান্ধব মডেল সিটি হবে। সবুজ শহর, পরিচ্ছন্ন শহর আর উৎপাদনমূখী মেগা সিটি করার অঙ্গীকার নিয়ে আমি আপনাদের ভোট চাইতে এসেছি। আপনারা পরিবর্তন করুন আমি একটি পর্যটকের আধুনিক নগরী উপহার দিবো। এখানে ইকোপার্ক, সবুজপার্ক গড়ে তুলবো। সারা দেশের মানুষ নতুন বরিশালকে দেখতে আসবেন। বরিশাল হবে আইটির রাজধানী। বেকার হতাশাগ্রস্থের নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত উন্মোচিত হবে আমাদের স্বপ্নের বরিশালে।
প্রয়াত হিরন ভাই শুরু করেছিলেন আমি আপনাদের নিয়ে শেষ করতে চাই। আর এই জন্য নগরবাসীকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আবারও লুটপাটের শহর চান না একটি আধুনিক নগরী উপহার পেতে চান? আমাকে এবার সুযোগ দিন আমি নিরাশ করবো না। ৫ জুন সোমবার সকালে বরিশাল সিটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় গণসংযোগ শেষে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, আমি সম্পদ বাড়াবো না। আল্লাহ আমাকে সবকিছু দিয়েছেন। এখন সারে তিন হাত মাটি আর কাফনের কাপড় নিয়ে মরতে চাই আর শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকতে চায়। আপনারা আর প্রত্যরণার শিকার হবেন না। আমি আমার পরিকল্পনা লিখিতভাবে ইশতেহারে তুলে ধরেছি। আমার ওয়েবসাইটে আছে। আপনারা একবার যাচাই বাছাই করুন তারপর সিদ্ধান্ত নিন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক মহসিন উল ইসলাম হাবুল, রফিকুল ইসলাম গফুর, এম রহমান পারভেজ, আকতার রহমান সপ্রু, নজরুল ইসলাম হেমায়েত, অধ্যাপক গিয়াস, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, ছাত্রনেতা বাহাদুর, জাহিদ প্রমুখ।