আমানত, তারল্য, মুনাফা, নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সংকটের মধ্যে রয়েছে দেশের অব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। সম্প্রতি এই সংকট আরও বেড়েছে। দিন যত যাচ্ছে অব্যাংকিং আর্থিকখাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর সংকট তত বাড়ছে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, এখন সিংহভাগ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দশা খুবই করুণ। কিছু প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে আর্থিকখাতের ওপর মানুষের আস্থা কমে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বড় ধরনের অনিয়ম হয়েছে। এখন খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছে ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর ভিত। মানুষ আস্থা রাখতে পারছে না। যে কারণে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যাচ্ছে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ২৩টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র আটটি প্রতিষ্ঠান চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করতে পেরেছে। আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা আটটি প্রতিষ্ঠানেরই মুনাফা গত বছরের তুলনায় বেড়েছে। এর মধ্যে ছয়টির ক্যাশ ফ্লো এখন ঋণাত্মক।
অপরদিকে যে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করতে পারেনি, সেই প্রতিষ্ঠানগুলোর সবশেষ প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১০টি লোকসানের মধ্যে রয়েছে। মুনাফায় থাকা তিনটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দুটির মুনাফা গত বছরের তুলনায় বেড়েছে।
দুটি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে উত্তরা ফাইন্যান্সের আর্থিক প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। আর পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের (পিএলএফএসএল) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ। সবশেষ প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুনাফায় প্রবৃদ্ধি হওয়া একমাত্র প্রতিষ্ঠান প্রাইম ফাইন্যান্স। এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর এই নয় মাসের ব্যবসায় শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ২৯ পয়সা। আগের বছর শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয় ৩ পয়সা। মুনাফা বাড়লেও কোম্পানিটির সম্পদমূল্য কমেছে। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ১২ পয়সা, যা আগের বছরের ডিসেম্বর শেষে ছিল ১১ টাকা ৭৬ পয়সা।
চলতি বছরের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করতে পারা আট প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশ ফাইন্যান্স, ডিবিএইচ, আইডিএলসি, আইপিডিসি, ইসলামিক ফাইন্যান্স, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স ও ইউনাইটেড ফাইন্যান্স। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মুনাফা করেছে ডিবিএইচ। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে এই কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ১ টাকা ৩৪ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৫৯ পয়সা। মুনাফা কমলেও কোম্পানিটির সম্পদমূল্য কিছুটা বেড়েছে। চলতি বছরের মার্চ শেষে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৪২ টাকা ৩৪ পয়সা, যা গত বছরে ছিল ৪১ টাকা। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আইডিএলসি ফাইন্যান্স শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৮৩ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ১৬ পয়সা। মুনাফা কমার পাশাপাশি কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো ঋণাত্মক হয়ে পড়েছে। চলতি বছরের তিন মাসের ব্যবসায় শেয়ারপ্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক ৬ টাকা ৬৯ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ঋণাত্মক ২৪ টাকা ৬৪ পয়সা। তবে সম্পদমূল্য কিছুটা বেড়ছে। চলতি বছরের মার্চ শেষে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৪৪ টাকা ৩৯ পয়সা, যা গত বছর শেষে ছিল ৪৩ টাকা ৫৬ পয়সা।
শেয়ারপ্রতি ৫২ পয়সা মুনাফা করে পরের স্থানে রয়েছে ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স। আগের বছরের কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৭৪ পয়সা। মুনাফা কমলেও কোম্পানিটির সম্পদমূল্য বেড়েছে। চলতি বছরের মার্চ শেষে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৯১ পয়সা, যা গত বছর ছিল ১৯ টাকা ৩৯ পয়সা।
বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিডি ফাইন্যান্স চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ১০ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয় ৪০ পয়সা। মুনাফা কমার পাশাপাশি কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো ঋণাত্মক হয়ে পড়েছে। তবে বেড়েছে সম্পদমূল্য। চলতি বছরের তিন মাসে শেয়ারপ্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক ১ টাকা ৮৩ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ২ টাকা ২৭ পয়সা। চলতি বছরের মার্চ শেষে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৫১ পয়সা, যা গত বছর ছিল ১৭ টাকা ৪১ পয়সা।
মুনাফা কমার পাশাপাশি ক্যাশ ফ্লো ঋণাত্মক হয়ে পড়ার তালিকায় রয়েছে আইপিডিসি ফাইন্যান্স। চলতি বছরের তিন মাসে এই কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৪ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয় ৬০ পয়সা। আর চলতি বছরের তিন মাসে শেয়ারপ্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক ১৩ টাকা ২৫ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ঋণাত্মক ১৩ টাকা ২৮ পয়সা। আর চলতি বছরের মার্চ শেষে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৩৮ পয়সা, যা গত বছর শেষে ছিল ১৮ টাকা ৩৩ পয়সা।
ইসলামিক ফাইন্যান্সের মুনাফা, ক্যাশ ফ্লো ও সম্পদমূল্য তিন সূচকেই নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। চলতি বছরের তিন মাসে এই কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৬ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৩০ পয়সা। আর তিন মাসে শেয়ারপ্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক ১ টাকা ৮৩ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ঋণাত্মক ৪ টাকা ৯৮ পয়সা। চলতি বছরের মার্চ শেষে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৬৩ পয়সা, যা গত বছরে ছিল ১৫ টাকা ৬১ পয়সা।
তিন সূচকেই নেতিবাচক প্রভাব পড়ার তালিকায় রয়েছে লংকাবাংলা ফাইন্যান্সও। এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি চলতি বছরের তিন মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ১৫ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৪৩ পয়সা। চলতি বছরের তিন মাসে শেয়ারপ্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক ২২ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ৩ টাকা ৪৯ পয়সা। আর চলতি বছরের মার্চ শেষে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৪১ পয়সা, যা গত বছর শেষে ছিল ২০ টাকা ২ পয়সা।
ইউনাইটেড ফাইন্যান্স চলতি বছরের তিন মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৩ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৯ পয়সা। চলতি বছরের তিন মাসে শেয়ারপ্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক ৬৬ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ঋণাত্মক ১১ টাকা ৯৮ পয়সা। আর চলতি বছরের মার্চ শেষে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৮ পয়সা, যা গত বছরে ছিল ১৭ টাকা ৬ পয়সা।এসব বিষয়ে ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্সের কোম্পানি সচিব মো. সরোয়ার কামাল জাগো নিউজেকে বলেন, লিজিং কোম্পানিগুলোর ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ার পিছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। এর মধ্যে বৈশ্বিক পরিস্থিতি ও দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির প্রভাব রয়েছে। আবার কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম হওয়ায় সার্বিক খাতেই এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ফলে এই খাতের ওপর মানুষের আস্থা কমেছে।
‘এছাড়া ব্যাংকের তুলনায় লিজিংয়ের সুদের হার বেশি। এ কারণে লিজিং কোম্পানিগুলোর ঋণ বিতরণ কমেছে। অন্যদিকে মানুষ আমানত কম রাখছে। সবকিছু মিলেই লিজিং কোম্পানিগুলোর ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তবে ভালো প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিকই ভালো ব্যবসা করছে এবং মুনাফার দেখা পাচ্ছে।’
বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিএলএফসিএ) ভাইস চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কায়সার হামিদ জাগো নিউজকে বলেন, ২০২৩ সালের প্রথম যে প্রান্তিক ছিল, সে প্রান্তিকে আমরা লক্ষ্য করলাম প্রতিটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মুনাফায় নেতিবাচক প্রবণতা দেখা গেছে, আমরা যদি প্রথম সারির কোম্পানির কথা বলি। আর যারা লস করছে, তাদের লস ক্রমান্বয়ে বাড়ছে গত এক-দুই বছর ধরে। এর কারণগুলোর মধ্যে বড় একটি কারণ হলো স্পেড কমে যাওয়া। বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২২ সালের জুলাই থেকে সুদের হারের ওপর একটা ক্যাপ দিয়ে দিয়েছে। ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ১১ শতাংশ এবং আমানত নেওয়ার ক্ষেত্রে ৭ শতাংশ।
‘এই ১১ শতাংশ বেঁধে দেওয়ার কারণে লোনের যে ইন্টারেস্ট ইনকাম, সেটা সিগনিফিকেন্টলি নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট হয়েছে ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে। অন্যদিকে, আমানতের রেট সিগনিফিকেন্ট বেড়েছে। আমরা দেখলাম আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কস্ট অব ফান্ড ইনডেক্স বেড়েছে। এর কারণ মূল্যস্ফীতি ও ব্যাংকগুলোর তারল্য সংকটের কারণে তারা (ব্যাংক) যখন ইন্টারেস্ট রেট বাড়িয়েছে, তার একটা প্রভাব আমরা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ওপর দেখেছি। অনেক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক থেকে ধার নেওয়া আছে। সেটার ইন্টারেস্ট রেট যখন বেড়ে গেছে, তখন নেট স্পেড (ঋণ ও আমানতের সুদের ব্যবধান) কিন্তু কমে গেছে। এটা হচ্ছে প্রথম কারণ।’
দ্বিতীয় কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়া। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ২০২০ ও ২০২১ সাল ছাড়ের মধ্যে ছিল। ২০২২ সালেও কিছুটা শিথিল ছিল। কিন্তু ২০২৩ সালে এ ধরনের সুবিধা দেওয়া হয়নি। ফলে কোভিডের কারণে যাদের ব্যবসায়িক সমস্যা ছিল, তারা তাদের সস্থানে ফিরে যেতে পারেনি। ফলে তারা তাদের ঋণের কিস্তি ঠিকমতো দিতে পারেনি। ফলে খেলাপি ঋণ পুরো ইন্ডাস্ট্রিতে বেড়েছে। সেটার একটা প্রভাব মুনাফায় পড়েছে। তিনি আরও বলেন, আরেকটা বিষয়, যদি আমরা দেখি ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিক এবং ২০২২ সালে শেষ সমগ্র খাতের আমানত ও ঋণের গ্রোথ কমে গেছে। ঋণের গ্রোথ কমে যাওয়ার কারণে ইন্টারেস্ট রেট কমছে। অন্যদিকে, ডিপোজিট তুলে নেওয়ার একটা প্রবণতা আমরা দেখতে পেয়েছি। এতে ক্রেডিটের গ্রোথটা ইনশিওর করা যায়নি। সেটা আর একটা বড় কারণ ছিল। আরেকটা কারণ ছিল পুঁজিবাজার থেকে আয় না আসা। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান ফ্লোর প্রাইসে থাকায় যেসব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্রোকারেজ হাউস আছে, সেখান থেকে উল্লেখযোগ্য আয় হয়নি। সবগুলো মিলেই আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মুনাফার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
লিজিং কোম্পানিগুলোর এই চিত্র সম্পর্কে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ব্যাংক থেকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুদের হার বেশি। মানুষ এখন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিতে চাচ্ছে না। আবার কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বড় ধরনের অনিয়মের তথ্য বেরিয়ে এসেছে। যে কারণে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে আমানতের পরিমাণ কমে গেছে। সব মিলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর এই চিত্র। তিনি বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর এই চিত্র সার্বিক অর্থনীতির জন্য ভালো লক্ষণ না। অর্থনীতির একটি অঙ্গ যখন খারাপ করে, তার প্রভাব অন্য খাতের ওপর পড়ে। সুতরাং, আর্থিকখাতের যে খারাপ অবস্থা তা সার্বিক অর্থনীতির ওপরও চাপ সৃষ্টি করবে।-সূত্র: জাগোনিউজ২৪.কম