বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আমাদের কর্মসূচি চলবে, এই কর্মসূচি থেমে থাকবে না। এই কর্মসূচির লক্ষ্য দুঃশাসনের অবসান করা, কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসান করা। অসহনীয় লোডশেডিং এবং বিদ্যুৎখাতের দুর্নীতির প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মতিঝিলে অবস্থান কর্মসূচি করেছে ঢাকা জেলা বিএনপি। এই কর্মসূচি চলাকালে ওয়াপদা ভবনে গিয়ে জেলার পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে একটি স্মারকলিপি দেয়। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই কর্মসূচি পালন করে ঢাকা জেলা বিএনপি।
অবস্থান কর্মসূচিতে ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরীর পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এতে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে একটি মার্কেটের সামনে জমায়েত হয়ে মিছিল সহকারে মতিঝিলের বিদ্যুৎ ভবনের দিকে রওনা দেয় জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। মিছিলটি মতিঝিলে আসামাত্র পুলিশ বাধা দেয়। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই মূল সড়কের ওপরে অবস্থান নেয় বিএনপি।
এই কর্মসূচিতে আরো অংশ নেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. দেওয়ান সালাহ উদ্দিন বাবু, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা তমিজ উদ্দিন, যুবদলের রেজাউল কবির পল, ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদসহ সহস্রাধিক নেতাকর্মী।
অবস্থান কর্মসূচিতে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেন বিদেশী চাপের কাছে তিনি মাথা নত করবেন না।’ আপনি তো প্রধানমন্ত্রী জনগণের কাছেই মাথানত করেন না। কই সীমান্তে যখন আমাদের লোকজনকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হয় তখন তো আপনার মাথা উঁচু করতে দেখি না। এই সরকারের পতন অনিবার্য উল্লেখ করে রিজভী বলেন, একজন এমপি বলেছিলেন, বিদ্যুৎ নাকি ফেরি করে বিক্রি হবে, কেনারও লোক পাওয়া যাবে না। এখন তো দেখছি অধিকাংশ পাওয়ার প্ল্যান্ট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এই সরকার দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ফেরি করে বিক্রি করে বলে মন্তব্য করেন রিজভী।