সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৭ পূর্বাহ্ন

অবৈধ আয়

আ স ম আল আমিন
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৬ জুন, ২০২৩

যারা অবৈধ আয় করে তারা জনগণের ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জুলুম করে। হয়রানি অথবা বাধ্য করে ব্যক্তিবিশেষ অথবা শ্রেণিবিশেষের কাছ থেকে উপার্জন করে থাকে। এতে জনগণ যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয় তেমনি সমাজে সৃষ্টি হয় অসন্তোষ। দরিদ্র ও সাধারণ লোকেরা তাদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার থেকে মাহরুম হয়।
প্রথমত, অবৈধ আয়ের অন্যতম হলো ঘুষ। তা আজ পৃথিবীতে ব্যাধির মতো ছড়িয়ে পড়েছে। বহু দেশে ঘুষ উচ্ছেদের জন্য সামরিক আইনও চালু করেছে। বর্তমান যুগে মানুষ ঘুষকে সাধারণ উপার্জনের মতোই স্বাভাবিক ভেবে নিচ্ছে, অপরাধমূলক কাজ হিসেবে খুব কমসংখ্যক লোক তা মনে করে। ঘুষ সম্পর্কে মহান রবের বাণী- ‘তোমরা নিজেদের মধ্যে একে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না এবং মানুষের ধনসম্পত্তির কিছু অংশ জেনে-বুঝে অন্যায়ভাবে গ্রাস করার উদ্দেশ্যে বিচারককে উৎকোচ দিও না।’ (সূরা বাকারাহ-১৮৮) ‘তাদের অনেককেই তুমি দেখবে পাপে, সীমালঙ্ঘনে ও অবৈধ ভক্ষণে তৎপর; তারা যা করে নিশ্চয় তা নিকৃষ্ট।’ (সূরা মায়িদা-৬২) রাসূল সা: ঘুষের ব্যাপারে ঘুষদাতা এবং গ্রহীতার ওপর অভিসম্পাত করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ) তিনি বলেন, ‘ঘুষ আদান-প্রদানকারী উভয়ে জাহান্নামে যাবে।’ (তাবারানি) হজরত আমর ইবনুল আস রা:-এর বর্ণনায়- ঘুষ সম্পর্কে একটি হাদিস রয়েছে, তিনি বলেন, আমি রাসূল সা:-কে বলতে শুনেছি, যখন কোনো জাতির মধ্যে সুদের ব্যাপক প্রচলন হয়ে যায়; তখন তারা দুর্ভিক্ষে পতিত হয়। আর যখন তাদের মধ্যে ঘুষের আধিক্য দেখা দেয়, তখন তারা শত্রুর ভয়ে ভীত হয়ে পড়ে।’ (মুসনাদে আহমাদ)
দ্বিতীয়ত, চারিত্রিক নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী বিষয়, মদ, বেশ্যাবৃত্তি ও সবধরনের খারাপ কাজ ইসলামী সমাজে নিষিদ্ধ। এসবের ব্যবসায় করাও নিষিদ্ধ, এ ধরনের কাজের মাধ্যমে সমাজে দিন দিন বেহায়াপনা বৃদ্ধি পাবে। সে জন্যই এসব জিনিসের ভোগ শুধু নিষিদ্ধই নয়; বরং এ ধরনের শিল্প-কারখানা ও ব্যবসায় করা অর্থাৎ এসব উৎস থেকে উপার্জন করাও সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
তৃতীয়ত, অবৈধ পথে অর্জিত ধনসম্পদ সাধারণত অবৈধ পথে ব্যয় হয়। এই ব্যয়ের পরিণাম হলো- সমাজে অনাচার ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। আমরা গভীরভাবে চিন্তা করলে দেখতে পাই, যারা অবৈধ পথে আয় করে তারা সে আয় সমাজবিরোধী ইসলামবিরোধী কাজে ব্যয় করে।
এ জন্যই মানবতার মুক্তির দূত রাসূল সা: কঠোরভাবে অবৈধ উপায়ে উপার্জনের সব পথ বন্ধ করেন। তিনি বলেন, ‘হারাম উপায়ে উপার্জনে তৈরি রক্তমাংস দোজখের খোরাক হবে।’ লেখক : কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক, বাংলাদেশ কওমি ছাত্রপরিষদ




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com