তিনদিনের সন্তান নিয়ে স্ত্রীর দাবিতে আপন চন্দ্র বর্মনের বাড়িতে অনশনে বসেছেন এসএসসি পরিক্ষার ফল প্রার্থী এক নাবালিকা। ঘটনাটি ঘটেছে রংপুর জেলার কাউনিয়া উপজেলার কূর্শা ইউনিয়নের শিবু কামারপাড়া গ্রামে। শুক্রবার(১৬ জুন) রাতে অনশনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভুক্তভোগি নাবালিকা। ভুক্তভোগি নাবালিকার বাড়ি পীরগাছা উপজেলার অন্নদানগরের জাদু লস্কর গ্রামে। ভুক্তভোগি সূত্রে জানা যায়, কাউনিয়া উপজেলার কূর্শা ইউনিয়নের শিবু কামারপাড়া গ্রামের শ্রী অবিনাশ চন্দ্র বর্মনের ছেলে আপন চন্দ্র বর্মনের সঙ্গে দির্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। সম্পর্কের এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক করে আপন চন্দ্র বর্মন। শারীরিক সম্পর্কে অন্তসত্বা হয়ে পরে ওই নাবালিকা। বিয়ে করবো করবো করে আশ্বাস দিয়ে কালক্ষেপন করতে থাকে আপন চন্দ্র বর্মন। এদিকে নাবালিকার প্রসব ব্যথা উঠলে রংপুর নগরীর একটি ক্লিনিকে ভর্তি হয় এবং পরবর্তিতে ওই ক্লিনিকে ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়। সন্তানের পিতৃ পরিচয় ও স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে শুক্রবার বিকেল ৪টা থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে ছাতা মাথায় দিয়ে তিনদিনের কন্যা সন্তান নিয়ে আপন চন্দ্র বর্মনের বাড়ির সামনে অনশনে বসেন ভুক্তভোগি নাবালিকা। নাবালিকার অনশনে বসার পর থেকে অভিযুক্ত আপন গা ঢাকা দেয়। বৃষ্টির মধ্যে তিনদিনের সন্তান নিয়ে বাড়ির সামনে অনশনে বসার খবর ছড়িয়ে পরলে অনেক দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন দেখতে ভীড় করছেন ওই বাসার সামনে। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এখনও নাবালিকা অনশনে রয়েছেন। ভুক্তভোগি নাবালিকা জানান, আমি সন্তানের পিতৃ পরিচয় চাই। আমার দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। আমি এই সমাজে কিভাবে সন্তানের পরিচয় দিব। আপন আমাকে বিয়ের কথা বলে শুধু কালক্ষেপন করেছে। আপন স্ত্রী হিসেবে মেনে না নিলে আমার এখন মৃত্যু ছাড়া বিকল্প কোনো পথ খোলা নেই। এদিকে রংপুর জেলার কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোন্তাসির বিল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি শুনেছেন। প্রতিকুল আবহাওয়ার কারণে এখনও ঘটনাস্থলে যাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে খুব দ্রুত সেখানে যাওয়া হবে বলে জানান।