ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটি ভরাটের কারণে পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকার পানি শুকনী বিলে প্রবাহিত হত। বর্তমানে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মান ও মাটি ভরাট করায় পানি কোন দিকে প্রবাহিত হতে না পারায় যখনই ভারি বর্ষণ হয় তখনই ভয়াবহ আকার ধারণ করে। আর এতে মাথায় হাত পরেছে ত্রিশাল পৌরসভার সহ ইউনয়িনের কয়েকটি গ্রামের কৃষকের। পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় উৎপাদন ব্যাহত হবে প্রায় ১ শত বিঘা জমির ধান। বতর্মানে যতœ করে লাগানো কৃষকের স্বপ্ন এখন পানির নিচে। পৌর এলাকার বেশীর বাগ মানুষ কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল এই এলাকায় এমন অবস্থা চলতে থাকলে দারিদ্রসীমার নিচে চলে যাবে এই গ্রামগুলোর মানুষেরা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আর কিছুদিন পরেই ধানগুলো ফুলতো। ইতিমধ্যে সার ও কিটনাশক বাবদ অনেক টাকা খরচ করে ফেলেছেন অনেক কৃষক। কিন্ত নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের যে বাধ দেয়া হয়েছিল, সেই বাধ দিয়ে পানি নিস্কাশনের ব?্যাবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানি জমে যাচ্ছে ফসিলী জমিতে। পানি নিস্কাশনের জন্য স্থানীয় কৃষকরা নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক উর্ধতন কর্মকর্তাকে অবহিত করলেও এর কোন প্রতিকার হয়নি। অনেক কৃষক জমিতে পানি থাকায় ধান লাগাতে পারছেনা। পানির মধ্যে গাছগুলো নস্ট হয়ে যায়। তাই খুব দ্রুত পানি নিস্কাশনের জন্য নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি সৌমিত্র শেখরকে বাধ কেটে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন কৃষকেরা। পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় তলিয়ে যাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন। পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কৃষক আব্দুল খালেক জানান, শুকনি বিল ঘেষে আমি ৫ বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছিলাম। বৃষ্টির পানি বের হতে না পারায় ধানগুলো ডুবে গেছে। আর কিছুদিন পর ধানগুলো ফুলতো। যদি বিলের পানি নিস্কাশন না হয় তাহলে আমার অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। বছরের পর বছর এভাবে চলতে থাকলে আমরা কোনদিনই লাভবান হতে পারবোনা। তাই শুকনি বিলের বাঁধ কেটে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। আরেক কৃষক আব্দুল মান্নান জানান, তিনি ১০ বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছিলেন। কিন্তু সব ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি শুকালে জমিতে এখন মরা গাছ পাওয়া যাবে। ত্রিশাল পৌরসভার মেয়র এ বি এম আনিছুজ্জামান (আনিছ) জানান, পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় কয়েক গ্রামের কৃষকের প্রায় ১শত বিঘা জমির ধান পানির নিচে। এলাকাবাসী আমার কাছে এসেছিল আমি নিজে গিয়ে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে বিষয়টি অবহিত করেছি। তিনি আশ্বস্ত করেছেন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব হাফেজ রুহুল আমিন মাদানী বলেন, পৌর এলাকার মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের কতৃপক্ষর সাথে কথা বলে বাঁধ কেটে দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।