“সবুজ বাঁচাই, সবুজে বাঁচি” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিকের সহযোগিতায় সম্মিলিত যুব সমাজ, ফুলপাখি কিশোরী সংগঠন, অক্সিজেন যুব সংগঠন এসএসপিএস ও অদম্য বাংলাদেশ এর আয়োজনে “প্রাণপ্রকৃতি মেলার আয়োজন করে দরুণবালি সবুজ গ্রামে। ফুল ও মৌসুমী ফল মেলা, প্লাস্টিক দূষণ সচেতনতায় প্রচার, নীম ও পেয়ারা গাছ বিতরণ,সাজনা গ্রামের নারীরা সাজনা শাক বিতরণ, পলিথিনের পরিবর্তে পাটের বাজারের ব্যাগ বিতরণ, পরিবেশ বান্ধব চুলা বিতরন ও আলোচনা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়। প্রাণপ্রকৃতি মেলা উদ্বোধন করেন নেত্রকোণা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জনাব মো. আবু সাঈদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাইলাটি ইউনিয় পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল হক, উজ্জীবিত নেত্রকোনার গবেষণা সম্পাদক আকন্দ সোহরাব উদ্দিন, প্রেসক্লাবের কোষাদক্ষ সুজাদুল ইসলাম ফারাস, এএসপিএসের নির্বাহী পরিচালক মুস্তাকিন বিল্লাহ, পল্লীবাংলার পরিচালক মো. সুমন, বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মো. অহিদুর রহমান, সহযোগি সমন্বয়কারী শংকর ¤্রং, অদম্য বাংলাদেশের সদস্য সচিব রনি খান, তাসমিয়া তহুরা ও রোখসানা রুমি, নেত্রকোণা সম্মিলিত যব সমাজের পার্থ প্রতিম সরকারসহ গ্রামবাসি নারীপুরুষ ও যুবরা। প্রথমেই অতিথিদেরকে কুমড়ো গাছের ফুল ও কদম ফুল দিয়ে স্বাগত জানায় ফুলপাখি কিশোরী সংগঠনের সদস্যরা। ফুলপাখি কিশোরী সংগঠনের সভপ্রধান রুপা আক্তার সবুজ গ্রাম তৈরীতে তাদের গত পাঁচ বছরের কার্যক্রম তোলে ধরেন। মেলায় গ্রামের স্থানীয় আম, জাম, কাঠাল, লটকন, কলা,পেয়ারা, গোলাপজাম, জাম্বুরা, বেল, কামরাঙ্গা, খেজুর, জামরুল, গাব সহ জাতের ১৫ জাতের ফল প্রদর্শন করা হয়। ফুল মেলায় কিশোরীরা ১৩ জাতের ফুল প্রদর্শন করেন। সবুজ গ্রামের যুবরা গত তিনবছর আগে যে সাজনা গাছ রোপন করেছিলো সেগুলোর শাক, ডাল, সাজনা আজ মানুষের মাঝে বিতরণ করেন। আজকের ফলের উপস্থিতি প্রমান করে যে অনেক জাতের ফল হারিয়ে গেছে। আলোচনায় প্রধান অতিথি বলেন যে, আমাদের পরিবেশ আমরা মানুষের কর্মকান্ডের মাধ্যমে নষ্ট করে ফেলছি। যা থাকা কথা তা নেই। বন,জলাভূমি,ফলের গাছ,স্থানীয় মাছ, বন্যপ্রাণি সবকিছুই আজ হারিয়ে ফেলছি। আমাদের পরিবেশ একটি অপরটির সাথে নির্ভরশীল। বন হারালে পাখি হারায় , মৌমাছি,প্রজাপতি কমে যায়, নদী হারালে মাছ হারায়, পানি হারায়। পলিথিন আমাদেও জীবনে এখন ভয়ানক পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। আমাদের সকলের সচেতন হতে হবে। উন্নয়ন হবে কিন্তু পরিবেশকে ক্ষতি করে নয়। সবশেষে অনুষ্ঠানে গ্রামের অংশগ্রহনকারীদের মাঝে পাটের ব্যাগ, নীমগাছের চারা,সাজনা শাক, ঔষধি গাছ বিতরণ ও মৌসুমী ফল খেয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন হাওর গবেষক জনাব আকন্দ সোহরাব উদ্দিন।