রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫১ অপরাহ্ন

পানির দরে বিক্রি হচ্ছে আম

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় রবিবার, ৯ জুলাই, ২০২৩

ঠাকুরগাঁওয়ের বাজারে মৌসুমের আমে ভরপুর। কিন্তু সুস্বাদু এই আম বিক্রি হচ্ছে পানির দরে। মৌসুমের শুরুতে ঢাকাসহ বাইরের পাইকাররা বাজারে না আসায় আম নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা।
ইতোমধ্যেই পৌর শহরের বিভিন্ন স্থান ও সদর উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় বসেছে স্থায়ী ও অস্থায়ী হাট। গতকাল শনিবার (৭ জুলাই) সকালে সেই স্থায়ী ও অস্থায়ী হাটে গিয়ে জানা যায়, দুপুর পর্যন্ত বসে থাকার পরও ক্রেতার অভাবে অনেকেই আম বিক্রি করতে না পেরে খালি হাতে ঘরে ফিরে যান।
গত বছর ঠাকুরগাঁওয়ের ঐতিহ্যবাহী সূর্যপুরী আম প্রতি মণ বিক্রি হয়েছে ১৬০০ থেকে ১৭০০ টাকা পর্যন্ত। কিন্তু এ বছর ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা মণ দরে আম নেয়ার মতো ক্রেতাও মিলছে না।
আম বাগান মালিক মো. ইয়াকুব আলী বলেন, বালিয়াডাঙ্গী জগদল থেকে সূর্যপুরী ও হাড়িভাঙা আম নিয়ে এসেছি। গতবারের তুলনায় এবারে আমের ফলন ভালো হলেও গতবারের চেয়ে দাম অনেক কম। আমের আমদানি বেশি হওয়ায় ক্রেতা নেই। প্রতি কেজি আম বিক্রি করতে হচ্ছে মাত্র ১০ থেকে ১৫ টাকার মধ্যে।
আরেক ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, ঢাকা থেকে যারা আসে, তারা আম ক্রয় করে চলে যাচ্ছে। দুরুত্ব বেশি হওয়ায় আম পাঠাতে পাঠাতেই অর্ধেক পঁচে যায়। পরের বার এই আম পাইকাররা আর নেয় না। অনেক সময় আম নিয়ে যায় বাকিতে, বিক্রি হওয়ার আগেই যদি পঁচে যায়, তখন আর টাকা দেয় না। ২০০ টাকা ক্রেট বিক্রি করে লাভ আসে ১০ টাকা অথচ আমার ১৮টা লোক নিয়মিত কাজ করছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, আম গাছ থেকে পাড়ার পর তা দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায় না। ফলে দ্রুত সময়ের মধ্যে তা বিক্রি করতে না পারলে কৃষকের ক্ষতি হয়। কৃষি বিভাগ থেকে আমরা এ বিষয়ে তদারকি করছি। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে এবার ৫শ মেট্রিক টন আম বিদেশে রপ্তানির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে কিছু আম বিদেশে গেছে। কিছু দিনের মধ্যে আরও আম রপ্তানি হবে বলে তিনি জানান।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com