ডা. তানভীর আহমেদ ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। ২০০৯ সালে ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, চট্টগ্রাম থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি সম্পন্ন করেন তিনি। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে কার্ডিওলজিতে ডক্টর অব মেডিসিন ডিগ্রি লাভ করেন। এছাড়া ২০১৭ সালে ইউনাইটেড হাসপাতালে কার্ডিওলজি বিভাগে পোস্ট ডক্টরাল ফেলো হিসেবে এবং বর্তমানে উক্ত বিভাগে বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করছেন। তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সম্মেলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন এবং এশিয়া প্যাসিফিক সোসাইটি অব কার্ডিওলজি সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন।
২০২৩ সালে পিএইচএ প্রোগ্রামের অধীনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পর্যবেক্ষক ফেলোশিপ বৃত্তি লাভ করেন তিনি। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনার এবং জার্নালে তার ৩০টিরও বেশি প্রেজেন্টেশন এবং প্রকাশনা রয়েছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও ভারতে গুরুত্বপূর্ণ কোর্সসহ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন কর্মশালা এবং প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সোসাইটি, বাংলাদেশ সোসাইটি অব কার্ডিয়াক ইন্টারভেনশন ও বাংলাদেশ ইকোকার্ডিওগ্রাফিক সোসাইটির আজীবন সদস্য। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ হার্ট ফেইলিউর অ্যান্ড রিসার্চ ফাউন্ডেশনের যুগ্ম সচিব এবং আইপিডিআই (ইন্টারেক্টিভ প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট ইনিসিয়েটিভস) ফাউন্ডেশনের বোর্ড সদস্য।
ইসলামী ব্যাংক থেকে সরে গেল আরো ৩ প্রতিষ্ঠান:ইসলামী ব্যাংকের মালিকানা থেকে সরে গেছে আরো তিনটি কোম্পানি। কোম্পানিগুলো হলো আরমাডা স্পিনিং মিলস, কিংসওয়ে এনডেভরস ও ইউনিগ্লোবস বিজনেস রিসোর্সেস।
এ তিন প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পর্ষদ ছেড়ে দেয়ায় বেসরকারি ব্যাংকটির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের শেয়ার এক মাসেই কমেছে ৯ শতাংশের বেশি।
গত জুন মাসেই প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাংকটির শেয়ার বিক্রি করে দেয় এবং তাদের নিযুক্ত প্রতিনিধিদের পরিচালক পদ থেকে সরিয়ে নেয়া হয়।
গতকাল সোমবার (১০ জুলাই) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এমন তথ্য প্রকাশ করে। পরিচালকদের শেয়ার ধারণ কমে যাওয়ার তথ্য ডিএসইকে দিয়েছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বেনামে এসব কোম্পানির সুবিধাভোগী ছিল ব্যাংকটির মালিকানায় থাকা চট্টগ্রামভিত্তিক একটি শিল্প গ্রুপ।
গত মাসে মে মাসেও কোম্পানির শেয়ারের ৫০ দশমিক ৯৭ শতাংশ ছিল উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে। সেটি কমে জুন শেষে দাঁড়িয়েছে ৪১ দশমিক ৯০ শতাংশে।
ছয় মাস আগে গত ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির মোট শেয়ারের ৫৫ দশমিক ০৬ শতাংশ ছিল উদ্যোক্তা-পরিচালকদের। এভাবে ছয় মাসে ব্যাংকটিতে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের শেয়ার কমল ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ।
আরমাডার পক্ষে প্রতিনিধি পরিচালক ছিলেন ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক নাজমুল হাসান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই শিক্ষকের স্থলে গত ১৯ জুন ব্যাংকটিতে পরিচালক হিসেবে যোগ দিয়ে চেয়ারম্যান হন ২৭ বছর বয়সী আহসানুল আলম। উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান জেমএমসি বিল্ডার্স লিমিটেড এর প্রতিনিধি হিসেবে এই দায়িত্বে আসেন তিনি।
পরিচালক সরিয়ে নেয়া অন্য প্রতিষ্ঠান কিংসওয়ের পক্ষে ইসলামী ব্যাংকে পরিচালক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান সেলিম উদ্দিন। তিনিও ব্যাংকটিতে ইসি কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন।
ইউনিগ্লোবের হয়ে পরিচালক ছিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা অবরসপ্রাপ্ত মেজর আব্দুল মতিন।
গত কয়েক দিন ধরেই ব্লক মার্কেটে ইসলামী ব্যাংকের বড় অঙ্কের শেয়ার হাতবদল হয়ে। সবশেষ রোববার ব্লকে ২ কোটি ৬০ লাখ শেয়ার বিক্রি হয় ৮৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকায়। প্রতি শেয়ারের বাজার মূল্য ৩২ টাকা ৬০ পয়সা ধরে বিক্রি হয়।
গত ৫ জুলাই ‘ব্লক মার্কেটে’ আরো ১ কোটি ৮৫ লাখ শেয়ার বিক্রি হয় ৬০ কোটি টাকা। ওইদিনও শেয়ার দর ছিল ৩২ টাকা ৬০ পয়সা।
এ দর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) বেঁধে দেয়া ফ্লোর প্রাইস।
এর আগে, গত জুনে ইসলামী ব্যাংকের মালিকানা ছেড়ে দেয় রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আইসিবি। প্রতিষ্ঠানটির হাতে ব্যাংকটির ২ দশমিক ০৭ শতাংশ শেয়ার ছিল।
ব্যাংকটিতে পরিচালক ছিলেন আইসিবির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) আবু তাহের মো: আহমেদুর রহমান। গত ৩১ মে থেকে তিনি আর ব্যাংকটিতে পরিচালক হিসেবে নেই।