নির্বাচন মাঠ হলে সবজি ক্ষেতের মত”। ভালো চাষবাস করতে সক্ষম হলে ভালো ফলন আশা করা যায়।আবার ভালো চাষাবাদ হলো ঠিকই কিন্তু দুষ্ট পোকামাকড় সহ চোর চক্রের নজরের দিকেও সুনজর রাখতে হবে। আর হ্যা আমরাও সুপ্রিয় পাঠকের জন্য বলছিলাম গুয়ারেখা ইউনিয়নের উপ নির্বাচনী মাঠের চাষাবাদ নিয়ে কথা। গত এক সপ্তাহ ধরে নৌকার টিকেট পাওয়া প্রার্থী ফারজানা আক্তার বেশ শক্ত অবস্থান তৈরী করতে সক্ষম হয়েছে ইতিমধ্যে। পক্ষান্তরে সতন্ত্র প্রার্থী গাজী মোঃ মিজানুর রহমান মিজান বিভিন্ন কারণে দারুণ সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে। জনমত জরিপে সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে, “ আগামী ১৭ জুলাইর উপ নির্বাচনে কঠিন হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে “। যদিও চলতি সময়ে প্রচার প্রচারণায় গাজী মোঃ মিজানুর রহমান মিজানের চেয়ে নৌকার কান্ডারী বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ রব সিকদারের সুযোগ্য পুত্র বঁধু ফারজানা আক্তার বেশ এগিয়ে। শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করে নিজেকে একটা শক্ত অবস্থান তৈরী করতে সক্ষম হয়েছে। জনমত জরিপে জেলার বেশ কয়েকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের টিম নিয়ে গুয়ারেখা ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডের অলিগলি সহ চায়ের দোকান ও সাধারণ ভোটারদের সাথে কথা বলেন। গত কয়েক দিন ধরে রোঙ্গাকাঠী সহ গাববড়ী, রাখাতলা,বাটনাতলা, তিনগ্রামে ব্যাপক গণ সংযোগ করছেন নৌকার সমর্থকরা। পাশাপাশি সোমবার, মঙ্গলবার ও বুধবারের গণসংযোগে মনকাড়ে সকলের। সাধারণ ভোটাররা মুগ্ধ হচ্ছেন আবারও নৌকার কান্ডারী ফারজানা আক্তারের সুমদুর ব্যাবহারে। ভোটারদের মন কেড়ে নেয় সময়ের সাহসী নারী নেত্রী ফারজানা আক্তার। জরিপে নৌকার পক্ষে ৪৫% ভোটাররা গণ মাধ্যম কর্মীদের জরিপে বলেন, “ প্রথম অবস্থায় নৌকার ইমেজ তৈরী করতে সক্ষম হয়নি। তবে বর্তমান সময়ে নৌকার জয়জয়কার। হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোটাররা কিছুটা দোটানায় ছিলো দুই একজন হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের কঠিন চাপে ।জরিপে ১৯% ভোটাররা বলেন, আমাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে ইমেজ শূন্য একজন শীর্ষ নেতার চাপে ছিলেন হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোটাররা। জরিপে ৩৩% ভোটাররা বলেন, “ আমরা বহু দিন বোতল বন্দী ছিলাম “। আমাদের মাথা বিক্রি করে ঐনেতা তার গদি টিকিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু আজ আমরা সকলেই বুঝতে পারছি, উনি আমাদের মঙ্গল চায়না বরং ওনার স্বার্থের জন্য সবকিছু করতে সক্ষম। এছাড়াও ১৭% ভোটাররা গণ মাধ্যম কর্মীদের জরিপে বলেন, “ আমাদের গুয়ারেখা ইউনিয়নের মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় উন্নয়ন চাই”। কিন্তু ঐনেতার সময়ে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। শুধু মাত্র আমাদের গুয়ারেখায় বি এন পির সময়ে দারুণ উন্নয়ন হয়েছে। আবার উন্নয়ন হয়েছে স্বল্প সময়ের মধ্যে প্রয়াত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ রব সিকদারে সময়ে । জরিপ চলাকানীন সময়ে বিসাল এলাকার বেশীরভাগ হিন্দুরা জোরালো কন্ঠে আক্ষেপ সহকারে বলেন, “ আমরা হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোটাররা এক ধরনের জিম্মি “। অন লাইন পোর্টাল স্বরূপ টিভি বাংলা সহ তালাশ টিভি, জাতীয় দৈনিক সময়ের কাগজ, দৈনিক খবরপত্র, দৈনিক সকালের সময়ের জরিপে বলেন, ১৭ জুলাইয়ের উপ নির্বাচনে কঠিন হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে জনমত জরিপে সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দেয়। তবে ২৩ % ভোটাররা জরিপে বলেন, প্রাথমিক ভাবে মাঠের অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়নি গাজী মোঃ মিজানুর রহমান মিজান। অবশ্য নৌকার মাঠের প্রাথমিক সংকট দূর করে শেষ সময়ে দারুণ খোশমেজাজে। সময়ের দ্বার প্রান্তে এসে স্ব স্ব প্রার্থীরা বিজয়ের স্বপ্ন দেখে। কিন্তু শেষ হাসি কে হাসবে আর সেই ফলাফল দেখার জন্য অধীর আগ্রহে আগামী ১৭ জুলাই পর্যন্ত। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী গত কয়েক দিন ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে সাধারণ ভোটারদের ধারে ধারে পৌছে সঠিক তথ্য উদঘাটন করার গুরুত্বপূর্ণ মিশনে ছিল। গুয়ারেখা ইউনিয়নের বেশির ভাগ ভোটারদের মন মানষিকতা ছিল চমৎকার। তাদের মনের যাবতীয় কষ্ট ও আবেগের কথা তুলে ধরেন। আওয়ামী লীগের শীর্ষ কিছু কিছু বিতর্কিত নেতাদের মুখোশ উন্মোচন করে। ইউনিয়ন পর্যায়ের রাজনীতির পোস্ট পজিশন আছে কিন্তু অর্থের মোহে কঠিন বিরোধিতা করে নৌকার। জনমত জরিপে সুস্পষ্ট অনেক কিছু জানা যায়। কিন্তু সবকিছু প্রকাশ করা যায় না। এ ব্যাপারে গুয়ারেখা ইউনিয়নের সুশীল সমাজের লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, “ বেঈমান লোকগুলো চিরকালই বেঈমানী করবে”। তারপরও ধন্যবাদ দিচ্ছি গণ মাধ্যমের বদৌলতে জনমত জরিপে আমরা সকলেই অংশ গ্রহণ করতে সক্ষম হয়েছি। অবাধ সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ তৈরি হোক। যোগ্য প্রার্থী হিসেবে নৌকার কান্ডারী ফারজানা আক্তারের মত সাহসী নারী নেত্রীর জয় হোক। প্রয়াত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ রব সিকদারের অসমাপ্ত কাজগুলো করার দায়িত্ব যেন পায় জনগণের ভোটের মাধ্যমে।